মাশরুম
মাশরুমের পাঁচ পদের সহজ রেসিপি
মাশরুম এক ধরনের ছত্রাক। আমাদের দেশে এটি ব্যাঙের ছাতা নামে বহুল পরিচিত। অ্যাগারিকাস ছত্রাকের মাংসল কোমল ও ভঙ্গুর বীজাধারই হলো মাশরুম। এদের অধিকাংশই ব্যাসিডিওমাইকোটা, তবে কিছু অ্যাসকোমাইকোটার অন্তর্ভুক্ত।
চীন, কোরিয়া, জাপানসহ ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশে কয়েক ধরনের মাশরুম খাবার হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও আধুনিক খাবার হিসেবে মাশরুমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটছে।
পুষ্টি উপাদান
কাঁচা অথবা রান্নাকৃত মাশরুম স্বল্প-ক্যালরিযুক্ত খাদ্য হিসেবে স্বীকৃত। কাঁচা অবস্থায় এতে ভিটামিন বি থাকে। যাতে রিবোফ্লোবিন নায়াসিন ও প্যান্টোথেনিক এসিড এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান থাকে।
এছাড়াও অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে মাশরুমে ভিটামিন ডি২ তৈরি হয়।
আসুন পুষ্টিগুণসম্পন্ন ও মুখরোচক এই খাবারটির পাঁচটি পদ রান্না সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
১ বছর আগে
মাশরুম চাষে সফল যশোরের ফয়সাল
২৬ বছরের যুবক ফয়সাল আহম্মেদ। বন্ধুর সঙ্গে আড্ডার ছলেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন জাগে। আর এতেই স্বল্প পুঁজি নিয়ে মাশরুম চাষও শুরু করে দেন তিনি। ইউটিউবে চাষের পদ্ধতি ও পরিচর্যার ভিডিও দেখে শুরুতেই সফল হন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।
ফয়সাল আহম্মেদ যশোরের বাঘারপাড়ার দরাজহাট গ্রামের হাজী হায়দার আলীর ছেলে। তিনি ছাতিয়ানতলা দাখিল মাদরাসায় ইমামতি করেন।
ফয়সাল জানান, নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পালন করা একটি ছাগল বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বাড়ির আঙিনায় মাশরুম চাষ শুরু করেন। মাগুরার ড্রিম মাশরুম সেন্টার থেকে ৩০০ পিস স্পন (বীজ) এনে প্রথমে এক হাজার বেডে চাষ করেন। আর প্রথম চালানেই ২০ হাজার টাকা মতো লাভ হয় তার।
তিনি জানান, চাষের শুরু থেকেই ইউটিউব দেখেন তিনি। এর কয়েক মাস পরে মাগুরায় ড্রিম মাশরুম সেন্টার থেকে তিনদিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষের পাশাপাশি বীজ উৎপাদনও শুরু করেন। আগ্রহ আর ইচ্ছা শক্তির বলে মাশরুম চাষের এক বছরের মধ্যেই সফলতা অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তরমুজ চাষে সফল হওয়ার প্রত্যাশা পাঁচ তরুণের
বর্তমানে দুটি ঘর করে দেড় হাজার বেডে মাশরুম চাষ করেছেন। এ থেকে তিনি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার কেজির মতো মাশরুম উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন। একই সঙ্গে বসতঘরের একটি কক্ষে বীজ উৎপাদনের কাজ করছেন। ওয়েস্টার, প্রিয় টু ও ডাব্লিউ এস জাতের বীজ ব্যবহার করছেন তিনি। এতে সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার।
৩ বছর আগে
মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ও সারাদেশে মাশরুমের চাষ সম্প্রসারণ করতে প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে মাশরুমের উন্নত জাত ও চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। এখন সারা দেশে দ্রুততার সাথে কৃষক ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা প্রয়োজন। সেজন্য, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে। পাশাপাশি অন্যান্য উদ্যোগও অব্যাহত আছে।’
রবিবার সাভারে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও নানান প্রণোদনার ফলে বিগত ১২ বছরে কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের এখন লক্ষ্য কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করা এবং সকলের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে মাশরুমের সম্ভাবনা অনেক। এটির চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে: মন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে যারা চাকরির জন্য চেষ্টা করছে। তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে। অন্যদিকে, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় সহজেই মানুষের পুষ্টি চাহিদার অনেকটা পূরণ হবে।’
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, মাশরুম উৎপাদন দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ প্রায় সব দেশেই মাশরুম আমদানি করে থাকে । বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাশরুম রপ্তানির অনেক সুযোগ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজিব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সারাদেশ থেকে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘বাংলাদেশে মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা, সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ।
৩ বছর আগে
বাজেট: যেসব পণ্যের দাম কমবে-বাড়বে
আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সাথে সাথে (২০২১-২২) বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে ও কমতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্তমানে বাংলাদেশ 'বিস্ময়ের বিস্ময়’: অর্থমন্ত্রী
দাম কমবে
যেসব পণ্য ও পরিষেবার মূল্য কমতে পেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে মাইক্রোবাস, হাইব্রিড যানবাহন, এলইডি বাল্ব, স্টেইনলেস স্টিল, মুরগি/মাছের খাবার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য ব্যবহৃত উপকরণ, ওষুধ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত উপাদান, অটিজম পরিষেবাদির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিন, তাজা ফল, চাল।
আরও পড়ুন: বাজেট: স্বাস্থ্য খাতের জন্য ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ব্লেন্ডার, জুস মেশিন, মিক্সার, গ্রিন্ডার, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং বৈদ্যুতিক চুলার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বা এসেম্বলড কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নোটবুক, নোটপ্যাড, ট্যাব, প্রিন্টার, স্ক্যানার, কীবোর্ড, মাউস, মাদারবোর্ড, পাওয়ার ব্যাংক, রাউটার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস, স্পিকার, সাউন্ড সিস্টেম, ইয়ারফোন, হেডফোন, পেন ড্রাইভ, সিসিটিভি, মনিটর, প্রজেক্টর, ইউএসবি কেবল, ডেটা কেবল, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, সম্মিলিত হারভেস্টার এবং থ্রেসার মেশিন।
আরও পড়ুন: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
দাম বাড়বে
যেসব পণ্য ও পরিষেবার দাম বাড়তে পারে তার মধ্যে রয়েছে মাশরুম, আমদানি করা মাংস, পাখির হিমায়িত মাংস, মিনারেল ওয়াটার, মোবাইল ফোন (সেলুলার ফোন), লোহার বার এবং রড, অস্বচ্ছ নুন, চিনির মিষ্টান্ন, যানবাহনের সুরক্ষা কাঁচ, আমদানি করা গাজর, চুইংগাম, শিল্প লবণ এবং বিদেশি সাবান।
৩ বছর আগে