ক্যাপসুল
সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু
সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের মাধ্যমে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে নিপসম অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকা কেন্দ্র (ইপিআই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে আগামী শুক্রবার সকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। একযোগে দেশের সব জেলায় শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
নাটোর-
২ লাখ ৪৮ হাজার শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নাটোরে শুরু হয়েছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন।
মঙ্গলবার সকালে নাটোর শহরের ফুলবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঞাঁ।
তিনি জানান, জেলার মোট ১ হাজার ৩৮৮টি স্থানীয় কেন্দ্র ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা খাওয়ানো হবে।
ঝালকাঠি-
ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পৌরমেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
এদিকে জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়।
মাগুরা-
মাগুরায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মাগুরা পৌরসভা ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে পৌরসভা কার্যালয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, জেলার চারটি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শামিম কবির জানান, কর্মসুচি সফল করতে মাগুরা জেলার চার উপজেলা ও একটি পৌরসভায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১২ হাজার ৬৬৭ শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮১ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
চার দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মাগুরায় ৩৯১ জন স্বাস্থ্য কমী ও এক হাজার ৮৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবক সেবা প্রদান করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-
অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মুল ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিভিল সার্জন ডা. একরামুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় মঙ্গলবার জেলার ৯ উপজেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে দুই হাজার ৪৩৩ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।
এর মধ্যে- ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ২৬৫ জন শিশুকে একটি করে নীল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ শিশুকে একটি করে লাল টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ সহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বছরে দুই বার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা-
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি শিশুকে।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর ২ নম্বর কাস্টমঘাটস্থ আমিরাবানু বেগম নগর মাতৃসদন প্রাঙ্গণে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর মৃত্যুঝুঁকি কমায়।
তিনি আরও বলেন, তাই শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রত্যন্ত এলাকা, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাটসহ প্রতিটি স্থানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
অভিভাবকদের টিকা কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র।
এছাড়া খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও দুইটি পৌর সভায় মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৪ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ হাজার ৮৭৯ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ১১৫ জন।
কর্মসূচি সফল করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের চারটি জোনে ৭১০টি কেন্দ্রে ৬২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া খুলনা জেলার দুইটি পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনসহ ৯টি উপজেলায় ৬৮টি ইউনিয়ন এবং ২০৪টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৪১টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৮২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
নড়াইল-
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নড়াইল পৌরসভার ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে নড়াইল পৌর সানফ্লাওয়ার প্রিপারেটরি স্কুলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
এ বছর নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯৩ হাজার ৫০০ শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১১ হাজার ৬২২ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮১ হাজার ৮৭৮ শিশুকে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এসময় শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হয়।
ঝালকাঠি-
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠির আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার ৮৯ হাজার ৩৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
এছাড়া জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসুচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমান টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ায়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন অফিসের এমও ডা. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগ ও আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন:
১০ মাস আগে
চাঁদপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে সাড়ে ৩ লাখ শিশুকে
চাঁদপুরের আট উপজেলায় ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৫১ হাজার ২৮৮ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সেমাই খেয়ে অসুস্থ ৮, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ৩ জন
এতে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর জেলার আট উপজেলার দুই হাজার ৩৩২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় গত রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৩৬৬ জন।
তিনি বলেন, শিশুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৮২ জন। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ০৭ ভাগ। এছাড়া গত রাউন্ডে ১২ থেকে ৫৯ বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ১২ হাজার ৯৪১ জন।
তিনি আরও বলেন, শিশুর সংখ্যা তিন লাখ ৯ হাজার ৭৪৩ জন। অর্জনের হার ৯৮ দশমিক ৯৭ ভাগ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও চাঁদপুরে ভূমিকম্প আতঙ্কে দ্রুত বের হওয়ার সময় আহত ৩০
চাঁদপুরে শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
১০ মাস আগে
সাড়ে ১৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে মঙ্গলবার
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এর মধ্যে জেলার ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন এবং সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়ের দায়ের কোপে প্রাণ গেল বাবার!
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চসিকের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ প্রথম দিন ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে ক্যাপসুল খাওয়াবে।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাসের ৮১ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের (এক লাখ ইউনিট) ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল (দুই লাখ ইউনিট) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি জানান, এ সময় জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধ এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করাতে পুষ্টিবার্তার প্রচার করা হবে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এর আগে গত ১৮ জুন ছয় থেকে ১১ মাসের ৭৮ হাজার ১২৪ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাসের চার লাখ ৫১ হাজার ৯০৫ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ শতাংশ।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, এবারের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় আট লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, জেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জনের মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সাত লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন।
তিনি বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নে একযোগে এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে। এর জন্য স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ চার হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বিভিন্ন স্টেশন, টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে।
ছয় খেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুরা পাবে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নাজমাঈ ডেমিরেল সিটি করপোরেশন দাতব্য চিকিৎসালয় মিলনায়তনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী চসিকের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. সুমন তালুকদার, ডা. আখিল মাহমুদ, চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
১০ মাস আগে
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামীকাল সোমবার থেকে দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ। মোট দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা চার শতাংশ প্রায় নাই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতদের মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর জন্য ঘোষণা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় ‘এ’ ক্যাপসুল। এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারেও কমেছে।
বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্মলিত খুদে বার্তা দেয়া হয়েছে।
দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞদেরকে (সরকারি-বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
খুলনায় ২ লাখ ৯২ হাজার ২৪১ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার নয়টি উপজেলার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯২ হাজার ২৪১ শিশুকে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইনে অভিভাবকদের শিশুর জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব ও শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পরিমান মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতন করা হবে।
আরও পড়ুন: মহামারির মাঝেও দেশে টিকাদানের অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল ইউনিসেফ
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে খুলনা নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে জেলার সাংবাদিকদের জন্য সিভিল সার্জন দপ্তরের আয়োজনে এক ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় এসকল তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: প্রায় ২০০ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ইউনিসেফ
সভাপতির বক্তৃতায় সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল রাতকানাসহ শিশুর অনেক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি শিশুর শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্যাম্পেইন চলাকালে জেলার ৯ টি উপজেলার ১ হাজার ৬৪১ টি টিকাদান কেন্দ্রে ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকায় এ ক্যাম্পেইনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সর্তকতা অনুসরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ১৩ লাখ শিশু বন্যার ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ভরাপেটে খাওয়ানো ভালো। এই ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এটি খাওয়ালে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোন ঝুঁকি নেই। ভ্রমণে থাকাকালীন রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে ৬ মাসের কম অথবা ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু, ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে এমন শিশু এবং মারাত্মক অসুস্থ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
৩ বছর আগে