রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
‘সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার’
কোনো সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পাওটানা মহাবিদ্যালয় মাঠে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা আঘাত এলে এবং অবমাননা হয় এমন রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকেন, সে যেই হোক, যত বড় নেতাই হোক, তাকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’
সম্প্রদায় বিবেচনায় নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষের স্বপ্নের জায়গা থেকে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। আমাদের যে প্লাটফর্ম থেকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তার নাম লেখা আছে। আমরা একটি বৈষম্যহীন গণতন্ত্র চেয়েছি।’
উন্নয়ন বৈষম্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে বাংলাদেশে এলাকাভিত্তিক বৈষম্য ছিল। যে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হয়েছে সেই এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। আমরা বৈষম্য নিরসন করে সারা দেশে উন্নয়ন করতে চাই।’
বাজেটসহ অন্যান্য বিষয়ে রংপুরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের সময় গোপালগঞ্জসহ দুই-একটি জেলার উন্নয়ন করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলোর সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে রংপুরবাসী আর কোনো বৈষম্যর শিকার হবে না।’
ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো নাগরিক সেবা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিকল্প ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
পরে অসহায়-দুঃস্থ পরিবারের মাঝে প্রায় ৬০০ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্য রাজমিস্ত্রী শহীদ মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন, পোশাককর্মী শহীদ মামুন মিয়ার বাবা আজগর আলী এবং শহীদ সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রানী বেগম তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি রংপুরের পীরগাছা ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে তিস্তা নদীর ওপর প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণের জন্য পানিয়ালেন ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় উলিপুর উপজেলার শত শত মানুষ তাদের দাবি জানাতে পানিয়ালের ঘাটে উপস্থিত হন। এছাড়া নবনির্মিত পীরগাছা উপজেলা পরিষদ ভবনও উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে
১ মাস আগে
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন স্থগিত
নাশকতা ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলেছেন। সেই সাথে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২০ জুন পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।
রবিবার ওই দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে ৩০ মে হাইকোর্ট ওই দুই মামলায় আসলাম চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে, যা চেম্বার আদালত হয়ে আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়। এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। আসলাম চৌধুরীর আইনজীবীর তথ্য মতে, নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালে করা ওই দুই মামলায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
৩ বছর আগে