নাশকতা
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা ১ হাজার ৯৬৭টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪১ জন।
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মাদারীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এবং ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান শাজাহান খান।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে মোট ১৮৮ জন নিহত ও ৪ হাজার ৯৭৩ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, 'এসব নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ৮ হাজার ১০৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৬৭টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে এবং ১ হাজার ২৪১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়ের করা মামলাগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা নির্বাচন প্রতিহতের নামে অযৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে অগ্নিসন্ত্রাস, নিরীহ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার মতো অগ্নিসন্ত্রাসের ঘৃণ্য খেলায় লিপ্ত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার নামে অগ্নিসন্ত্রাস, হরতাল ও অবরোধের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তারা ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও নিরীহ মানুষকে হত্যা, রেললাইন উপড়ে ও লাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবন ও যানবাহন ভাঙচুর করে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চিঠি
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে সহিংস কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশে ছয় শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮৪টি যাত্রীবাহী বাস, ৪৮টি ট্রাক, ২৮টি কাভার্ডভ্যান, ৩টি সিএনজি, ৪টি প্রাইভেটকার, ১১টি পিকআপ, ৫টি ট্রেন, ১৫টি মোটরসাইকেল, ৩টি লেগুনা, ১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস, ১টি অটোরিকশা, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি বাড়ি, ১টি বৌদ্ধ মন্দির ও ১টি নৌকাসহ ৩২৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, চালক, হেলপার, পুলিশ, বিজিবি, শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেকে অবরোধ ও হরতালে নিহত, আহত বা পঙ্গু হয়েছেন।
এসব ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ট্রেনে নাশকতায় নিহত হয়েছেন ৯ জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও শাস্তি দিতে দেশে দক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার ব্যবস্থা এবং আইন রয়েছে। বিদ্যমান আইনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবারের বইমেলায়
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ কে সামনে রেখে সম্ভাব্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গি হুমকি মোকাবিলায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিষয়টি তুলে ধরেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার নিরাপত্তা প্রটোকল খতিয়ে দেখার পর কমিশনার রহমান বলেন, ‘দর্শনার্থীরা যাতে কোনো ধরনের শঙ্কা ছাড়াই মেলা ঘুরে দেখতে পারেন সেজন্য আমরা একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলেছি।’
আগামীকাল বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা এখন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাঁচটি নির্ধারিত গেট দিয়ে প্রবেশ ও বের হতে পারবেন, যার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে বিশেষ প্রবেশদ্বার রয়েছে। নিরাপত্তা বাড়াতে প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।ৎ
আরও পড়ুন: বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
ডিএমপি কমিশনার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা পরিধি স্থাপন এবং ছদ্মবেশী গোয়েন্দাদের দ্বারা অব্যাহত নজরদারিসহ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন। এছাড়াও, যে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা তদারকি এবং প্রতিরোধ করার জন্য অসংখ্য ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে পুরো মেলা এলাকা সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের অধীনে রয়েছে, যেগুলো একটি ডেডিকেটেড কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত। মেলা সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন টহল ইউনিটের ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি। ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের উপস্থিতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা সরবরাহ করবে।
এসব নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুস্থতার জন্য ডিএমপি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিখোঁজ শিশুদের জন্য একটি লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, মায়েদের জন্য একটি নার্সিং সেন্টার, রক্তদান এবং মেলা প্রাঙ্গণে বিশুদ্ধ খাবার পানির সুবিধা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা শুরু
বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে ৭ জানুয়ারি ভোট দিন: শেখ হাসিনা
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের উপযুক্ত জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'শুধু ভোট দেবেন না, ভোট রক্ষাও করবেন। অগ্নিসংযোগ, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী বিএনপি ও জামায়াতকে উপযুক্ত জবাব দিন।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত দেশকে ধ্বংস করতে চায় বলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ থাকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগামী নির্বাচনে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আপনাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী ৭ জানুয়ারি সকালে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে কেউ তাদের ভোটাধিকার ও নির্বাচন কেড়ে নিতে না পারে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
নাশকতার মামলায় রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ওই ইউনিয়নের দেওয়ানি পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুজন রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, ঢাকার একটি নাশকতার মামলায় সোমবার দুপুর ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: সন্দ্বীপে অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
রেলপথে নাশকতা: নাটোরের ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার
রেলপথে নাশকতা রোধে নাটোর জেলার ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে নাটোর রেল স্টেশনসহ রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন রেলওয়ে পাকশির বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহম্মদ।
এসময় নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁঞা ও পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ প্রশাসন ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলওয়ের ডিআরএম জানান, নাশকতা রোধে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার জানান ইতোমধ্যেই নাটোরে রেলপথে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে।এসব কারণে ঝুকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের নলডাঙ্গায় ভেঙে গেছে রেললাইনের কিছু অংশ
দিনাজপুরে রেললাইনে স্লিপার রেখে নাশকতাচেষ্টার অভিযোগ, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
ফেনীতে রেললাইনের ১২টি স্লিপারের রিং খুলে নাশকতার চেষ্টা
ফেনীর ফাজিলপুর রেলস্টেশন এলাকায় সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের স্লিপারের রিং স্পাইক (ক্লিপ) খুলে নেওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেছেন আনসার সদস্যরা। এ সময় তারা খুলে নেওয়া ১২টি ক্লিপ রেখে পালিয়ে যায়।
এর আগে শনিবার ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেললাইনে ১৩০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ফেনী জেলা আনসার সূত্রে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা ফাজিলপুর রেল স্টেশন এলাকায় রেললাইনের স্লিপারের ক্লিপ খুলে ফেলার সময় টহলে থাকা কয়েকজন আনসার সদস্যের নজরে পড়ে। তারা ধাওয়া করলে ১২টি ক্লিপ ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ফেনী জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট জানে আলম সুফিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে টহল সদস্য বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছি।
ফেনী ফাজিলপুর রেলস্টেশন মাস্টার মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে রেলের লোকজন গিয়ে মেরামত করেছে। শিডিউলের ট্রেন চলাচলে অসুবিধা হয়নি। তবুও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ফেনীর রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া রেল পুলিশের কয়েকটি টিম ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেলপথ ও রেল স্টেশনে সর্তক পাহারায় রয়েছে। এর মধ্যে ফেনী স্টেশন, শর্শদী, ধুমঘাট, ফাজিলপুর, কালিদহসহ রেললাইনের চারটি, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১১টি, ফেনীর অংশে স্থানে স্থানে ব্যাটেলিয়ান ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার মো. হারুন জানান, ঘটনাটি জিআরপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনে নাশকতা ও ট্রেনে আগুনে দেওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
হবিগঞ্জে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৪
কুড়িগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খালেক ময়নাকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
পৌর শহরের জিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুর খালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একজন গ্রেপ্তার রয়েছে। আগামীকাল শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম যুবদলের সভাপতি মো. রায়হান কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে ট্রেনে নাশকতার পৃথক মামলায় ৩ আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে পৃথক দুটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সান্তাহার রেলওয়ে থানার পুলিশ।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর)ভোরে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়পুরহাটের নিশিপাড়া মহল্লার অপু ও তাইজুল ইসলাম এবং আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রামের মমিন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে লবণবোঝাই ট্রাকে ১৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, আটক ২
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন জানান, 'গত ৪ ডিসেম্বর ভোরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ও ১৫ ডিসেম্বর রাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
ওই দু’টি নাশকতার ঘটনার সন্দেহভাজন মূল হোতা অপু,তাইজুল ও মমিন।
তিনি বলেন, আজ আকস্মিক অভিযান চালিয়ে তাদের জয়পুরহাটের নিশিপাড়া ও জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা সকলেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সান্তাহার রেলওয়ে থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল গেটে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ডের আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমিত কুমার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, ৩ নভেম্বর সহিংসতার সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
গাজীপুর রেললাইনে নাশকতা: সিটির কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৭
গাজীপুর রেললাইনে নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূইয়াসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূইয়া, বিএনপি ও ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতা-কর্মী সোহেল রানা, জান্নাতুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, জুলকার নাঈম আশরাফী, শাহানুর আলম ও সাইদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৩০ টাকায় প্রতি প্যাকেট ‘কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম এ ব্যাপারে রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
তিনি জানান, ১১ ডিসেম্বর রাতে ওই নাশকতার আগে কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূইয়ার বাসায় নাশকতায় জড়িতদের মিটিং হয়। মিটিং করে পরিকল্পনা অনুযায়ী নাশকতা করা হয়। নাশকতার কারণে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাত বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিচে পড়ে গিয়ে গিয়ে একজন যাত্রী নিহত ও কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছিলেন। রেললাইনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি আরও জানান, রেললাইনে ওই নাশকতার আগে কাউন্সিলর হাসান আজমলের বাসায় এ বিষয়ে একটি মিটিং হয়। পরিকল্পিতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই স্থানে নাশকতা ঘটানো হয়।
গাজীপুরের ভাওয়াল গাজীপুর ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় ১৩ ডিসেম্বর (গত বুধবার) ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকো মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় বৃহস্পতিবার মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১: বিজিবি
রাজশাহীতে ১০ কেজি হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ২