সংরক্ষিত বন
কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনে হাতির মৃত্যু
কক্সবাজারের রামুর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অসুস্থ একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনে হাতিটি পড়ে থাকার খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা শুরু করলেও বিকাল ৪ টার দিকে মারা যায় হাতিটি।
হাতির বয়স অনুমানিক ৭০ বছর এবং বার্ধক্যজনিত কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা।
রামু রাজাকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, রামু উপজেলার রাজারকুলের দারিয়ারদীঘি এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে একটি হাতি অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে এমন খবর পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা পশু চিকিৎসক ও ডুলহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ঘটনাস্থলে যান। এরপর চিকিৎসা প্রদানও শুরু হয়। হাতিটি বারবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। বিকাল ৪টার দিকে হাতিটির মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, হাতিটির ময়নাতদন্ত শেষে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
চট্টগ্রামে ডোবায় পড়ে বাচ্চা হাতির মৃত্যু
সুনামগঞ্জে মেছোবাঘ মেরে এলাকাবাসীর উল্লাস
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত বন থেকে একটি মেছোবাঘকে কুচ দিয়ে ঘাঁ মেরে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীরা। মেছোবাঘটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট ও প্রস্থ ২ ফুটের বেশি।
মঙ্গলবার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের মধুখালীতে মেছো বাঘ আটক
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবৎ তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে গোলাবাড়ি গ্রামে একটি বাঘ আছে বলে চারদিকে আতংকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে হাওর পাড়ের শিশুরা মেছোবাঘের আক্রমণের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারত না। এই কারণে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার বিকালে কুড়াল, কুচ, লাঠি নিয়ে মেছোবাঘটিকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে গোলাবাড়ি গ্রামের একটি হাওরে বাঘটিকে দেখা মাত্র প্রথমে মাছ মারার কুচ দিয়ে ঘাঁ মেরে আহত করে আটক করা হয়। পরে কুড়াল, লাঠি, দিয়ে মাথায় ও বুকে আাঘাত করে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। মেছোবাঘটিকে হত্যার পর আনন্দ উল্লাসের মিছিল বের করে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
মেছোবাঘ মারার ও আনন্দ উল্লাসের মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও এ পর্যন্ত কিছু জানতে পারেনি বনবিভাগ।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া জানান, এ ধরনের মেছোবাঘ একসময় টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রচুর দেখা গেলেও এখন বন-জঙ্গলের পরিধি কমার সঙ্গে সঙ্গে এ প্রজাতিও বিলুপ্তির পথে।
পরে নিহত মেছো বাঘকে নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মেছো বাঘের ৩ শাবক উদ্ধার
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, বিষটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে বনবিভাগকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।