ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অনুসন্ধানে কাজ করবে শাবিপ্রবি ও সিসিক
সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অনুসন্ধানে কাজ করবে শাবিপ্রবি ও সিসিক
সিলেট নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অনুসন্ধানে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।
সম্প্রতি সিলেটে ঘন ঘন ভূমিকম্পের ফলে করণীয় নিয়ে বুধবার বিকালে শাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি বৈঠক হয়।
বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিলেট নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অনুসন্ধান করবে শাবিপ্রবির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগ ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের শিক্ষকরা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো খুঁজে বের করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ভবনের ঝুঁকিপূর্ণতা নিয়ে সিসিককে পরামর্শ দিবে শাবিপ্রবি।
আরও পড়ুন: আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সিলেট
পরামর্শ অনুযায়ী, যে ভবনগুলো ভেঙে ফেলা দরকার, আর যেগুলো মেরামত করা দরকার, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে সিসিক।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়াচ্ছি। এই কাজটি আমরা দ্রুতই শুরু করতে সিসিককে প্রপোজাল দিবো। আগামী সপ্তাহে সিসিকের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। সিসিকের সাথে যৌথভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা করবো এবং সম্ভাব্য সকল বিপদ এড়াতে প্রস্তুতি গ্রহণ করবো।’
এছাড়া নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে নানা সচেতনতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে আরেক দফা ভূমিকম্প
বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান প্রমুখ। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে- উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, এপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইমরান কবীর, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে