ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণ ঘটা শিরিন ম্যানশনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' ঘোষণা
সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ ঘটা শিরিন ম্যানশনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত আঞ্চলিক কমিটি’।
সোমবার ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীনের নেতৃত্বাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত আঞ্চলিক কমিটি শিরিন ম্যানশনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ইতোমধ্যে সেখানে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে।
আঞ্চলিক কমিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বাধীন ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত ডিএসসিসি'র টেকনিক্যাল কমিটি’-কে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। টেকনিক্যাল কমিটি এ ভবন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে বিস্ফোরণ একটি বড় দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, বিস্ফোরণে ভবনটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেজন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আঞ্চলিক কমিটি কর্তৃক ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা এবং 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' চিহ্নিত করে ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পুলিশ ও অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক তদন্ত কার্যক্রম ও আলামত সংগ্রহ চলছে। আলামত সংগ্রহ ও তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে ভবনটি নিয়ে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বাধীন ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত ডিএসসিসি'র টেকনিক্যাল কমিটি’- পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শঙ্কায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ও শিক্ষকদের অফিস রুম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ১৯৩৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০১৮ সালে জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮শ। এটি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা কেন্দ্র। বিদ্যালয়টিতে ৬০ ও ৮০ এর দশকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি ভবন নির্মাণ হয়। কিন্তু গত দুই বছর ভবন দুটিসহ দুটি টিনশেডের আধাপাকা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: নান্দনিক সড়কবাতিতে ঝলমলে রাজশাহী শহর
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে আবেদনও করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২ বছর আগে
পটুয়াখালী গণপূর্তের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মানুষের বসবাস
পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৪৪টি আবাসিক ভবনের ৫৩টি ভবন বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য ঘোষণা করা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো অনেকে স্বপরিবারে ওইসব ভবনে বসবাস করছেন। পরিত্যক্ত এসব ভবন সংলগ্ন আবাসিক এলাকার বসতিরা ভবন ধসে পড়ার অজানা আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালীকে মহাকুমা থেকে জেলায় রুপাস্তরিত করা হয় দেশের অন্য ১৮টি জেলার মতো। জেলা হেড কোয়াটার নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগ দায়িত্ব পায়। সেই থেকে সিঅ্যান্ডবির তত্ত্বাবধানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসস্থান জন্য এ টাইপ, বি ও সি টাইপ নামক আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হয়। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে ভবনগুলোর অবস্থান। সরকারি এসব ভবনের মধ্যে এ টাইপ ক্যাটাগরির ৩২টি ভবনের ২৪টি, বি টাইপ ভবনের ৭২টির মধ্যে ১৭ ও ৪০টি সি টাইপ ভবনের ১২টি ভবন বসবাসের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আর এসব পরিত্যক্ত ভবনগুলো রাতের বেলায় অপরাধীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়। তবুও নিম্নশ্রেণির কর্মচারীরা ওইসব ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় দিন পার করছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফকির মিসকিনও এই গ্রামোত আসপের চায় না’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বি টাইপের একটি জরাজীর্ণ ভবনে বসবাসরত একজন কর্মচারী জানান, তিনিসহ অধিকাংশই অনুমতি ব্যতিত বসবাস করছেন। বহু আগেই ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী ও কর্তৃপক্ষের ঝুকিপূর্ণ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হলেও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দিন পার করছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের একজন রাখাল সাহা জানান, দিন যায় ভালো কিন্তু রাতটি প্রতিনিয়ত আতঙ্ক নিয়ে পার করতে হয়। যেকোন সময় ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তিনি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অনেক আবাসিক বসতিদের মধ্যে এই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরকারিভাবে প্রতি বছর আবাসিক ভবনগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ না থাকায় গণপূর্ত বিভাগ অসহায় হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাণহীন জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরি!
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ জানান, জরাজীর্ণ ভবনগুলোকে শিগগিরই নিলাম করা হবে। আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এর মধ্যে ১০তলা বিশিষ্ট সাতটি বহুতল আবাসিক ভবনের নকশা প্রস্তুত করে স্থাপত্য অধিদপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৩ বছর আগে
সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অনুসন্ধানে কাজ করবে শাবিপ্রবি ও সিসিক
সিলেট নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অনুসন্ধানে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।
সম্প্রতি সিলেটে ঘন ঘন ভূমিকম্পের ফলে করণীয় নিয়ে বুধবার বিকালে শাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি বৈঠক হয়।
বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিলেট নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অনুসন্ধান করবে শাবিপ্রবির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগ ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের শিক্ষকরা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো খুঁজে বের করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ভবনের ঝুঁকিপূর্ণতা নিয়ে সিসিককে পরামর্শ দিবে শাবিপ্রবি।
আরও পড়ুন: আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সিলেট
পরামর্শ অনুযায়ী, যে ভবনগুলো ভেঙে ফেলা দরকার, আর যেগুলো মেরামত করা দরকার, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে সিসিক।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়াচ্ছি। এই কাজটি আমরা দ্রুতই শুরু করতে সিসিককে প্রপোজাল দিবো। আগামী সপ্তাহে সিসিকের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। সিসিকের সাথে যৌথভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা করবো এবং সম্ভাব্য সকল বিপদ এড়াতে প্রস্তুতি গ্রহণ করবো।’
এছাড়া নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে নানা সচেতনতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে আরেক দফা ভূমিকম্প
বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান প্রমুখ। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে- উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, এপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইমরান কবীর, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে