সীমানা
মধুপুর শালবনের সীমানা চিহ্নিতকরণ শুরু
টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবনের ১৮ হাজার ৫৬৫ একর বনভূমির সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ কাজ চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের একটি বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হলো।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ মৌজা ও ময়মনসিংহের কমলাপুর মৌজার সীমান্ত এলাকা থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। অরণখোলা, বেরিবাইদ, চুনিয়া, গাছাবাড়ি, ইদিলপুরসহ ১৫টি মৌজার বনভূমির সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার দাবি পর্যটকদের
দীর্ঘদিন ধরে সীমানা নির্ধারণ না থাকায় বনভূমি দখল হয়ে আসছিল। গড়ে উঠেছে বসতি, চাষ হচ্ছে আনারস, কলা ও পেঁপে। নতুনভাবে সীমানা চিহ্নিত হলে বন রক্ষা ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মধুপুরের শালবন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এছাড়া, বন অধিদপ্তরের বার্ষিক উচ্ছেদ কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত করে শাল ও অন্যান্য বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে। সামাজিক বনায়নের আওতায় উপযোগী গাছের চারা রোপণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে হলদু, কড়ই, হরিতকি, বহেরা, অর্জুন, জারুলসহ বিভিন্ন গাছের চারা সংগ্রহ চলছে। পাশাপাশি সরাসরি শাল বীজ রোপণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
৬৮ দিন আগে
রেললাইনের পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেই সীমানা দেওয়াল
কুমিল্লার লাকসামে রেললাইনের পাশে তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে নেই কোনো সীমানা দেওয়াল। এর ফলে শব্দদূষণের পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী।
লাকসাম-নোয়াখালী রেলরুটের পাশে লাকসাম উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের তপইয়া গ্রামের অবস্থিত তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ১১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
তবে সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে কমছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির পরিমাণ। অতি শিগগির বিদ্যালয়ে সীমানা দেওয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।
তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী আবদুল ওয়াদুদ খোকন বলেন, ‘এখানে মনপাল, তপইয়া ও কৃষ্ণপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
অভিভাবক রাশিদা খাতুন বলেন, ‘ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি—কখন না ট্রেন আসে, কখন আবার সে রেললাইনে উঠে পড়ে।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি শুরু ২০ জানুয়ারি, যেভাবে চলবে প্রক্রিয়া
স্কুলের শিক্ষক বিদ্যুৎ পাল বলেন, ‘ট্রেন এলে আমরা রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। যাতে শিক্ষার্থীরা রেল লাইনে উঠতে না পারে। এছাড়া এলাকাবাসীও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকে।’
প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে উপজেলায় আবেদন করেছি। দুই বছর ধরে এই বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সেটি পাস হবে।’
৮৫ দিন আগে
পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ এবং সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু’র নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ এর সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছেন। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণের আগে পিরোজপুর-১ আসনটি পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। আর পিরোজপুর-২ আসনটি কাউখালি, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল।
তবে নির্বাচন কমিশন গত ৩ জুন সংসদীয় আসন দু’টির সীমানা পুনর্র্নিধারণ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয় পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানি উপজেলাকে। আর পিরোজপুর-২ সঙ্গে যুক্ত করা হয় পিরোজপুর-১ আসনে থাকা নেছারাবাদ উপজেলাকে ।
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
নির্বাচন কমিশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ ও মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান এবং নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
রিটের শুনানি নিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা প্রশ্নে গত ৩০ জুলাই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ) রুল খারিজ করে রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কামাল খান দাউদ।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
৬০৯ দিন আগে
মতলবে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ৩
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শুক্কুর আলী (৬৫) উপজেলার ১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের উত্তর ফৈলাকান্দি গ্রামের মৃত নছর আলী খানের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত শুকুর আলীর ছেলে মহিউদ্দিন নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ফৈলাকান্দি গ্রামের মনোয়ার খান এবং মনোহর আলী খানের দুই ছেলে আল আমিন ও আহাম্মদ খান।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিহত শুকুর আলী ও বিরোধী মনোয়ার খান, আলামিন, আহাম্মদ গংদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এদিন সকালে তাদের জমির একটি সীমানা তুলে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় শুকুর আলী ও অপরপক্ষের আলামিন আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শুকুর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আলামিন বর্তমানে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ইউএনবিকে জানান, জমির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রামের একই বাড়ির নিহত শুকুর আলী ও একই প্রতিপক্ষ মনোয়ার খান, আল-আমিন, আহাম্মদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ৭টার সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শুক্কুর আলী নামে এক বৃদ্ধ আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শুকুর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মনোয়ার খান, আল আমিন ও আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষযয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
৮২৪ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় সীমানা পেরিয়ে দুই যুবকের ভারতে প্রবেশ, ফিরিয়ে আনল বিজিবি
মানসিক প্রতিবন্ধীসহ অসাবধানতাবশত বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দুই যুবককে আটক করে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬)।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন বড়বলদিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মুকুল ও একই এলাকার বুদু মিয়ার ছেলে মানসিক প্রতিবদ্ধী সাগর।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পক্ষ থেকে আটক ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে এনে পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫.৬ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার: বিজিবি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল বিকালে বিএসএফ কর্তৃক নির্মিত কাঁটাতারের বেড়া দেখার জন্য সীমান্ত ৮৪/৭২-টি পিলারের নিকট যায় মুকুল ও সাগর। এ সময় ভুলবশত দু’জনেই শূন্য লাইন অতিক্রম করার সময় ৫৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাদিপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য কর্তৃক আটক হয়।
পরবর্তীতে বিজিবি’র চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন-৬ অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক প্রতিপক্ষ ৫৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রমকারী বাংলাদেশি নাগরিকদ্বয়কে ফেরত দেয়ার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ৮৪/৮৪-টি পিলারের নিকট বিজিবি বড়বলদিয়া-বিএসএফ কাদিপুর ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত আনা হয় বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: বিজিবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী
জাতি ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পুনরাবৃত্তি চায় না: বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
৮৪৯ দিন আগে
জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রাণ গেল শিশুর, গ্রেপ্তার ৪
রংপুরের কাউনিয়ায় জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিশু আঞ্জুয়ারা বেগম (১২) মারা গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নিহত আঞ্জুয়ারা উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-বিশ্বনাথ গ্রামের ইব্রা মিয়া, খলিল মিয়া, মজনু মিয়া ও মোস্তফা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিশ্বনাথ গ্রামের আব্দুল হামিজের বসতভিটার কিছু অংশ প্রতিবেশি আব্দুল হাকিম নিজের দাবি করে এক মাস আগে সীমানা নির্ধারণ করেন। সেই সঙ্গে জমিতে থাকা গাছ কেটে ফেলেন। এই সীমানা নিয়ে সন্দেহ হলে হামিজ ও তার স্বজনেরা সোমবার বিকালে পুনরায় সীমানা নির্ধারণ করতে যান। এতে হাকিম বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে হামিজসহ তার পক্ষের ছয়জন এবং হাকিমের পক্ষের তিনজন আহত হন। পরে হামিজসহ তার পক্ষের ছয়জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আঞ্জুয়ারা ও হামিজের স্ত্রী আমেনাকে রমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিশু হত্যার ঘটনায় নারী আটক
এ ঘটনায় হামিজের চাচাতো ভাই আব্দুল সোলেমান বাদী হয়ে সোমবার রাতে কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদার রহমান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে আব্দুল সোলেমান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার পরই অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আহত শিশু আঞ্জুয়ারা বেগম বৃহস্পতিবার ভোর তিনটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, তার লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে শিশু হত্যা মামলায় চাচীর যাবজ্জীবন
খুলনায় শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
১০৮৮ দিন আগে
সীমানায় আটকে মানবতা!
বাংলাদেশ-ভারতের আইনী জটিলতায় গুরুতর আহত ভারতীয় নাগরিক কার্তিক বিশ্বাস (৫৬) নিজ দেশে ফিরতে পারছেন না। ফলে মানসিক ভারসাম্যহীন এই মানুষটি গত ১৫-২০দিন ধরে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ্ হয়ে ভর্তি ছিলেন। গত ৫ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ভারত পাঠাতে নেয়া হচ্ছে না কোন উদ্যোগ। গত বছরের নভেম্বর মাসে তিনি ভুল করে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলে আসেন। তিনি ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরাম থানার নাজিরপুর গ্রামের গনপতি বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি
গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় পুরুষ ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে শুয়ে আছে এক বয়স্ক। পাশের বেডের রোগীরা জালালেন তার নাম কার্তিক বিশ্বাস। গত ১৫-২০দিন ধরে পায়ে আঘাত নিয়ে ভর্তি আছেন। পায়ে আঘাত ছাড়াও তিনি ডায়াবেটিক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালের নার্স ছাড়া তাকে সেবা করার কেউ নেই।
এদিকে ভারতে যোগাযোগ করা হলে কার্তিক বিশ্বাসের স্ত্রী বেবি বিশ্বাস জানান, ‘গত ২৭ নভেম্বর সকালে বাড়ীর বাইরে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কার্তিক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। এরপর আত্মীয়-স্বজন সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া না গেলে গত ১৪ ডিসেম্বর বালুরঘাট থানায় জিডি করি । ৭/৮ মাস পর খবর পাই তাকে বাংলাদেশের জয়পুরহাটে দেখা গেছে। সেখান থেকে আবার তিনি হিলি আসার পথে গত ১৫-২০দিন আগে রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে ডান পায়ে চরম আঘাত পেয়ে হিলি (হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে তার ডান পা ইনফেকশন হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে দ্রুত দেশে ফিরাতে না পারলে তা পা কেটে ফেলতে হতে পারে। আমরা দুই দেশের সরকারের কাছে আবেদন করছি আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগ শেষে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি
কার্তিক বিশ্বাসে বোন অনিতা বিশ্বাস জানান, আমার অসুস্থ্ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাংসদ, জেলা প্রশাসক (ডিএম), বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোন সাড়া পাইনি। মানবিক বিবেচনায় তাকে দ্রুত আনা না হলে হয়ত আমার ভাই সেখানে মারা যেতে পারে। বর্তমানে তিনি খুবই অসুস্থ্।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, গত ৫ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য কার্তিককে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি হাকিমপুর হাসপাতালে প্রায় ২০ দিনের মতো ভর্তি ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ভারতে পাচার হওয়া ৭ তরুণী দেশে ফিরলেন
১৩০৪ দিন আগে
শেরপুরে সীমানা বিরোধের জেরে কৃষক খুন, আটক ৯
শেরপুরে বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় নাজিরুল ইসলাম বদন (৬০) নামে এক কৃষক খুন হবার ঘটনা ঘটেছে। নিহত নাজিরুল বদন ওই গ্রামের মৃত চিনু শেখের ছেলে।
শেরপুর সদর উপজেলার হাওড়া নিজপাড়া গ্রামে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু’জন। তারা হলেন- বদন মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫) ও প্রতিবেশী আল-আমিনের ছেলে মনির হোসেন (২৫)। তাদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন-মো. জমসেদ আলী, তার ছেলে তোরমান আলী, মো. লোকমান, জোসনা বেগম. মো. হিরণ, আক্তার আলী, অজুফা বেগম, হাসনা বেগম ও নুরুন্নাহার।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নাজিরুল ইসলাম বদনের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী জমশেদ আলী ও তার পরিবারের বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ ওই সীমানায় শুক্রবার সকাল আটটার দিকে নাজিরুল ইসলাম বদন গরুর গোবর ফেলতে গেলে জমসেদ আলীর ছেলে তোরমান আলীর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারপিট শুরু হলে নাজিরুল বদন ও তার ছেলে মোশারফ গুরুতর আহত হয়।
এসময় মারপিট থামাতে গিয়ে প্রতিবেশী মনির হোসেনও আহত হন। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাজিরুল ইসলাম নাজিরুল বদন মারা যায়।
সংবাদ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৯ জনকে আটক করেন।
১৪২৩ দিন আগে