বোয়াল মাছ
তিস্তায় ধরা পড়লো ১৭ কেজি ওজনের বোয়াল
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীতে এবার জেলেদের খোঁচার আঘাতে ধরা পড়েছে ১৭ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব ডাউয়াবাড়ি এলাকায় তিস্তা নদীতে মাছটি ধরা পড়ে।
মাছটি মুহূর্তেই এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: লাখ টাকায় বিক্রি হলো ১৩৭ কেজি ওজনের মাছ!
জানা গেছে, সোমবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব ডাউয়াবাড়ি গ্রামের জেলে সাজু মিয়া তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় তার খোঁচার আঘাতে ১৭ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়ে। মাছটি পাওয়ার পর বিক্রয়ের জন্য স্থানীয় ঘুন্টি বাজারে নিয়ে এলে উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
জেলে সাজু মিয়া বলেন, গত দুইদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর বোয়াল মাছটি উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করলে আমার খোঁচার আঘাতে মাছটি আটক হয়। পরে ঘুন্টি বাজারে নিয়ে এলে ১৭ কেজি ১৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি করি।
ঘুন্টি বাজারের দোকান মালিক সমিতির সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, বোয়াল মাছটি জেলে সাজু মিয়ার কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকায় কিনে ১৫ জন মিলে ভাগাভাগি করে নিয়েছি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৩৫ কেজির বাগাড় মাছ
ঘুন্টি বাজারের তবারক হোসেন জানান, তিস্তা নদীতে এত বড় বোয়াল মাছ কোনো দিন দেখিনি। এটিই প্রথম।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ি ঢল ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তিস্তা নদীতে উজানে বিভিন্ন জাতের মাছও বেড়েছে। এরমধ্যে তিস্তা নদীতে বৈরালি, ইলিশ, কালীবাইস, গুলশা, টেংরাসহ বিভিন্ন মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
২ বছর আগে
চলন বিলে অবাধে মা বোয়াল মাছ শিকার, ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন
সিরাজগঞ্জের ঐতিহাসিক চলন বিলে ডিমওয়ালা বোয়াল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে অসৎ মৎস্যজীবীরা। প্রজননের সময় অবাধে এ মা-মাছ শিকার করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, চলন বিলে জ্যৈষ্ঠের এ সময় বৃষ্টি হলেই বোয়াল মাছ প্রজননের জন্য ফাঁকা মাঠে উঠে আস। আর উঠে আসা এই ডিমওয়ালা মা-মাছগুলো সৌখিন ও অসাধু মৎস্য জীবীদের শিকার হচ্ছে। ডিমওয়ালা এ মাছ স্থানীয় হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও স্থানীয় মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিরোধমূলক ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ, রেকর্ডের সম্ভাবনা
এ অঞ্চলের বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের সময় এ চলন বিলে বোয়ালসহ দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ডিম ছাড়তে ছুটাছুটি করতে থাকে। বিশেষ করে ৫ থেকে ১২ কেজি ওজনের বোয়ালসহ ওই সকল মাছ গুলো ফসলী মাঠে উঠে আসে। আর এ সময় সৌখিন এবং অসাধু মৎস্যজীবীরা কোঁচ, জুতি, পলো, তেউরি জালসহ অনান্য কৌশলে এসব শিকার করছে।
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মশগুল আজাদ বলেন, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা। তাড়াশের চলনবিল এলাকায় ইতোমধ্যেই ডিমওয়ালা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে