অভিযোগ গঠন
চট্টগ্রামে সংঘর্ষ : আমীর খসরুসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামশুল আরেফীনের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর আগে আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি কাজীর দেউড়ির নুর আহমদ সড়কের বিএনপির মহানগর কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরে পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ৩৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পরে ২০১৭ সালের ২৭ জুন পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আরও ৭৬ জনকে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ওই সময় মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হয় ১২ জনকে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মফিজুল হক বলেন, ‘২০১৫ সালে বিস্ফোরক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল বুধবার। আমরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সেটি না মঞ্জুর করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ড. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে।’
আগামী জুনে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: বুয়েটের অধ্যাপক নিখিলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে জামিনে থাকা নিখিল রঞ্জনধরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ২ দিনব্যাপী 'রোবো কার্নিভাল' শুরু
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন।
এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তেজগাঁও জোনাল টিমের উপপরিদর্শক সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
এর আগে, গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের উপপরিদর্শক শামীম আহমেদ অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া মামলার অভিযোগ গঠন পেছাল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ৮ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিলো। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। এদিন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ৮ আগস্ট অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম ও ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। বিভিন্ন সময় ছয় আসামি মারা যান। বর্তমানে আসামির সংখ্যা সাত জন।
আরও পড়ুন: খালেদার সঙ্গে দেখা করলেন ফখরুল
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা
নাইকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘গত ১৯ মার্চ ঢাকার একটি আদালত এ মামলায় চার্জ গঠন করেন। ওই চার্জ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেছি। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করা আছে।
বিচার শুরু হওয়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷
আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুদক।
তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে শেষ বারের মতো অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময় মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলাটির অভিযোগ শুনানির কথা ছিল। এজন্য সকালে সম্রাট আদালতে হাজিরা দেন।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
তবে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর আদালত শেষ বারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ শুনানির নতুন তারিখ ১ জুন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়েক করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
চট্টগ্রামে সুদীপ্ত হত্যা: আ’লীগ নেতা মাসুমসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এছাড়া এছাড়া এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পরীমণির মামলায় নাসির-অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৯ এপ্রিল
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সুদীপ্ত হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল আজ। আদালত আসামিদের ডিসচার্জ পিটিশন নামঞ্জুর করে ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ৩০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ গঠনের সময় ২৪ জন আসামির মধ্যে আবু জিহাদ সিদ্দিক নামে এক আসামি ছাড়া জামিনে থাকা অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুপস্থিত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরের সদরঘাটের দক্ষিণ নালাপাড়ায় নিজ বাসার সামনে মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ১৮ জন বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হন।
পরবর্তীতে ২৪ আসামির মধ্যে ২৩ জন জামিনে রয়েছেন।
পিবিআই’র দেয়া অভিযোগপত্রে সুদীপ্ত খুনের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে লালখানবাজার ওয়ার্ড আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করা হয়। দিদারুল আলম মাসুমের পাশাপাশি খুনে সরাসরি জড়িত হিসেবে খাইরুল নূর ইসলাম ওরফে খায়ের, আমির হোসেন ওরফে বাবু, মোক্তার, জিহাদসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া সাক্ষী করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
অভিযোগপত্রে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে বলা হয়, লালখানবাজার এলাকা থেকে আটটি অটোরিকশা করে দক্ষিণ নালাপাড়া গিয়েছিল হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা। পিবিআই মামলার তদন্তভার নেয়ার পর সাতটি অটোরিকশা জব্দ করে। জব্দ করা হয় একটি মোটরসাইকেলও।
এসব অটোরিকশা চালকদের মধ্যে তিন জন সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: অভিযোগ গঠন ফের পেছাল
রায়হান হত্যা: অভিযোগ গঠন ফের পেছাল
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ফের পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুত না থাকায় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ধার্য তারিখে মামলার চার্জ গঠন হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সুমন পারভেজ। আদালত আগামী ১৮ এপ্রিল চার্জ গঠনের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (বরখাস্তকৃত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ সকল আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে সিলেট নগরীর কাস্টঘর এলাকা থেকে পুলিশ ধরে এনে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। পুলিশের দাবি ছিল রায়হান ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হলে পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পরই হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পিবিআই গত বছরের ৫ মে রায়হান হত্যার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। চলতি বছরের ৮ মার্চ সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচার আবদুল মোমেনের আদালতে বহুল আলোচিত এ মামলাটি উপস্থাপন করা হলে বিচারক মামলার বিচার কাজ পরিচালনার জন্য সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
রায়হান হত্যার এক বছর: এখনও শুরু হয়নি বিচার কাজ
দুই মামলায় প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ফরিদপুরের প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে ট্রাইবুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
জানা গেছে, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, অর্থআত্মসাৎ, প্রতারণা ও সাইবার অপরাধে দেশের বিভিন্ন জেলায় অর্ধ ডজনের বেশি মামলার আসামি সিকদার লিটন। ফরিদপুর, খুলনা, পাবনা ও ঢাকার আদালতে মামলাগুলোর বিচার চলছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন তিনি। তবে প্রতারণা বন্ধ ছিল না। ছদ্মবেশে নানাভাবে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থআত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। পরে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে যে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তার দুটোই ফেসবুকে এসে অশালীন মন্তব্য ও কুৎসা রচনার অভিযোগে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুফিয়া বেগম রোজীকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় মামলা করা হয় লিটনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
২০২০ সালের ২৫ আগস্ট সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অপর মামলাটি দৈনিক ঢাকা টাইমস সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুৎসা রটনা, মিথ্যাচার ও ভাবমূর্তি নষ্টের অপরাধে করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আকিবুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দুটো মামলাতেই বিচার শুরু হলো সিকদার লিটনের। আগামী ৯ জুন থেকে বিচার শুরু হবে। প্রথম দিনই মামলার স্বাক্ষ্য নেয়া হবে।
অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সাভারের রানা প্লাজা ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের সাড়ে পাঁচ বছর পর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুইয়ার আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সাভার থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ।
আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দেন। কিন্তু মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অধিকাংশ আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল নিষ্পত্তির পর আজ মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা কারাগারে রয়েছেন। জামিনে আছেন বাকি ৪০ আসামি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার
ভয়াবহ ওই ভবন ধসের ঘটনায় সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ জুন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক সচিব মর্জিনা খান, সাবেক সচিব মো. আবুল বাশার, ফ্যান্টম এপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেডের এমডি বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
যাকাতের অর্থ আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে সাঈদীর আবেদন
যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দাখিল করেছে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।