বই দিয়ে ফটক
বই দিয়ে নির্মিত কলেজের প্রধান ‘ফটক’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ব্যতিক্রমি ও অসাধারণ একটি কাজ করেছেন দইখাওয়া আদর্শ কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০ বই দিয়ে প্রধান ফটক নির্মাণ করেছেন। দৃষ্টিনন্দন এই ফটক দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতীবান্ধা-চাপারহাট আঞ্চলিক সড়কের পাশেই চোখে পড়বে বইয়ের আদলে গড়ে তোলা আদর্শ কলেজের প্রধান ফটকটি। দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০ বই দিয়ে দুই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফটকটি।
ঠিক ওপরে রয়েছে হাতের মুঠোয় গ্লোব। যে কারণে বইয়ের কারুকাজে মন কাড়ছে দর্শনার্থীদের। এক নজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন তারা। অনেকেই দাঁড়িয়ে কথাসাহিত্যিকদের নামগুলো পড়ছেন। আবার এসব বইগুলো লাইব্রেরিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
এছাড়াও কলেজের ভেতরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটিকে আগলে ধরে রেখেছে একটি বই। বইয়ের মলাটে রয়েছে বর্ণ। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প।
কলেজের সৌন্দর্য বাড়াতে দৃষ্টিনন্দন ফটক তৈরি করতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কাজ করছেন বলে জানালেন শিক্ষকরা। চারুকলার শিক্ষার্থীরা ফটক নির্মাণের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজ ফান্ড থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। টানা ১ বছর কাজ করে তৈরি করা হয়েছে ৫০ বই দিয়ে ফটকটি।
মূলত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই দৃষ্টি নন্দন ফটকটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের ৫০ বই দিয়ে তৈরি করা হয় এটি।
কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মমতাজ সাথি বলেন, শিক্ষকদের পরিকল্পিত চিন্তাভাবনার কারণে এ ধরনের একটি ফটক তৈরি হয়েছে। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার, ফটকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুঝানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলাম বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই ফটকটি তৈরি করা হয়।
ফটকটির বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ফটকটি তৈরি করা হয়েছে। সে কারণে দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০টি বই দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
৩ বছর আগে