সংগঠন
ইসকনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী, জানতে চান হাইকোর্ট
‘ইসকন’ কী ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কি না, সংগঠনটির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, সেসব জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) করা এক আবেদেনর শুনানিকালে বৃহস্পতিবারের (২৮ নভেম্বর) মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এ তথ্য আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনে সংগঠনটির কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে আদালতের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
এ সময় আদালত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ইসকনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চান।
আরও পড়ুন: আইনজীবী হত্যা: ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ মিছিল
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম নামে চট্টগ্রামের এক আইনজীবী নিহত হন। এরপর মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামলার ঘটনায় আহত আরও ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই নির্মম ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টে তুলে ধরা হয়।
ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারি এবং সংগঠনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশ প্রার্থনা কর হয়। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত। পরে ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ জানাতে বলেন হাইকোর্ট।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে বিষয়টি জানাব।’
এছাড়া ইসকনের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক বলে ‘হাইকোর্টকে জানিয়েছি’ বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ওই ঘটনাটি ফৌজদারি অপরাধ। এ কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে ইসকন নিষিদ্ধ করা হবে কি না, তাদের নিবন্ধন আছে কিনা- এসব সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।’
আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মান্ধদের হাতে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ইসকন নিষিদ্ধের দাবি
৩ সপ্তাহ আগে
সংগঠনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের স্মরণে আইসিএমএবিতে ‘জ্যোতির্ময় সংবর্ধনা’
সংগঠনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শুক্রবার আইসিএমএবির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
আইসিএমএবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রাক্তন সব প্রেসিডেন্টই এই প্রতিষ্ঠানের সুনামকে অক্ষুণ্ন রাখতে সততা ও উৎকর্ষতার সঙ্গে আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছেন, তারা অনুজদের অনু্প্রেরণার উৎস। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সিএমএ) পেশার ঐতিহ্যকে সফলভাবে বহন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রদ্ধেয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের অবদানকে স্মরণীয় করতেই এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন। যা সিএমএ প্রফেশনালদের জন্য অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ সাধন করেছে।
তিনি প্রত্যাশা করেন সিএমএ প্রফেশনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে অবদান রাখা সব প্রেসিডেন্টদের সফলতার পথ ধরে এগিয়ে যাবে আইসিএমবি।
আইসিএমএবির কাউন্সিল সদস্য এবং ব্রাঞ্চ কাউন্সিল চেয়ারম্যানরা এই মিলনমেলায় যোগ দেন।
প্রক্তন প্রেসিডেন্টদের পরিবারের সদস্য, বিপুল সংখ্যক ফেলো এবং অ্যাসোসিয়েট সদস্য বর্ণিল এই আয়োজনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
৭ মাস আগে
লেখক সদস্যদের সম্মাননা দিয়েছে ডিক্যাব
সংগঠনের লেখক সদস্যদের মধ্যে চলতি বছর যাদের নতুন বই প্রকাশ হয়েছে, তাদের সম্মাননা দিয়েছে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লজ হলরুমে প্রথমবারের মতো লেখক সদস্য সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলতি বছর ডিকাবের দুইজন সদস্যের বই বেরিয়েছে। তার মধ্যে ভিউজ বাংলাদেশের সম্পাদক রাশেদ মেহেদির কবিতার বই ‘ফেসবুকে দেখি চাঁদ’ প্রকাশ করেছে জাগতিক প্রকাশনী এবং যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশুর সাক্ষাৎকার সংকলন ‘ঢাকা টক: ডিপ্লোমেটস অ্যান্ড মাহফুজ মিশু’ প্রকাশ করেছে নিমফিয়া পাবলিকেশন্স।
সম্মাননাপ্রাপ্ত দুই লেখককে সম্মাননা সনদ এবং ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার প্রধান অতিথি এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
আরও পড়ুন: ডিক্যাব নির্বাচন: সভাপতি হাসিব, সাধারণ সম্পাদক অপু
ডিক্যাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার বলেন, সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে লেখালেখির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা এবং সৃজনশীল লেখনির জন্য ডিক্যাব সদস্যদের স্বীকৃতি দিতে এ আয়োজনে আসা।
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত চর্চায় না থাকলে সৃজনশীল লেখালেখি হয় না। আপনারা সাংবাদিকরা যেহেতু লেখালেখির মধ্যে থাকেন, আপনাদের সেই সুযোগটা আছে।
তিনি বলেন, লেখনি যদি চালু না থাকে, প্রমিত বাংলায় লেখা হারিয়ে যাবে এবং সেটার পরিণতি হবে বেশ হতাশার।
আয়োজনের জন্য ডিক্যাবকে সাধুবাদ জানিয়ে সৃজনশীল লেখনির সঙ্গে জড়িত সদস্যদের এমন সম্মাননা দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন গওসোল আযম সরকার।
বাংলা সাহিত্যের অনেক লেখক-কবির সাংবাদিকতায় সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, সাংবাদিকতা যারা করেন, তাদের জন্য লেখালেখি করাটা খুব প্রয়োজন। পাশাপাশি পড়াশোনা করাটাও অনেক বেশি জরুরি।
তিনি আরও বলেন, অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য হলেও সদস্যদের সম্মাননা দেওয়ার এই আয়োজন চালু থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শ্রদ্ধা
৯ মাস আগে
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের নেতৃত্ব দিয়ে আজকে তারেক রহমান বিএনপিকে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড দলে, সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত করেছে। আর সেটার সামাজিক ও রাজনৈতিক যন্ত্রণা ভোগ করছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের জনসমর্থন হারিয়ে এখন পলাতক দল। তারা গুপ্ত স্থান থেকে আন্দোলনের ডাক দেয় আর গাড়ি-ঘোড়াতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। প্রকৃত অর্থেই বিএনপি-জামাত এখন আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগ বিএনপির কার্যালয়ে তালা লাগায়নি, সরকার তালা লাগায়নি, তারা নিজেরাই তালা লাগিয়েছে। তাদের অফিসে তালা খোলার জন্য যারা একটা মানুষ খুঁজে পায় না, তারা আবার সরকার পতন ঘটাবে!
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের অনেক বিএনপি নেতার সঙ্গে বিমানবন্দরে, ট্রেন স্টেশনে, বিয়ে-সাদিতে দেখা হয়, তখন তাদের জিজ্ঞাস করি, ভাই আপনারা কী করছেন? তারা বলেন সব ওনার ইচ্ছা, লন্ডনে যে আছেন ওনার ইচ্ছা। অর্থাৎ বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য এক তারেক রহমানই যথেষ্ট আর কারো দরকার নেই। পৃথিবীর কোথাও গত দুই-তিন দশকে রাজনীতির দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য গুপ্ত স্থান থেকে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়নি, যেটি বিএনপি আজকে করছে। এই বিএনপির জন্য আবার কেউ কেউ মায়াকান্না করে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্লোগান দেয় আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। আর আজকে ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নারী-শিশুসহ মুসলমানদের যে হত্যা করা হচ্ছে তার কোনো প্রতিবাদ তারা করেনি। বিএনপিও করেনি। বিএনপি-জামায়াত আজ শুধু ইসলামের শত্রু নয়, মানবতার শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। কারণ ফিলিস্তিনে শুধু মুসলমানরাই নয়, বহু খ্রিস্টানও ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, ৭টি গির্জা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আর এটির বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আর বিএনপি কোনো কথা বলে না। যারা নির্যাতন-হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে, বিএনপি-জামায়াত তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও নরম সুরে বলেছে এইভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু বিএনপি এই কথা বলতেও ব্যর্থ হয়েছে। এরা আবার রাজনীতি করে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি পীর সাহেবদের সম্মান করি, আমার বাপ-দাদাও সম্মান করতেন, আমিও করি, কারণ এই দেশে ইসলাম কায়েম হয়েছে পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে। দুই-একজন পীর সাহেব সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, কিন্তু ফিলিস্তিনে যে আজকে মানুষ হত্যা হচ্ছে সেটির বিরুদ্ধে মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। তারা একটি ঘুষির প্রতিবাদে সারাদেশে মিছিল করে, আর ঐদিকে যে হাজার হাজার মানুষকে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে সেটির জন্য একটা মিছিল বের করতে পারে না। আমি প্রার্থনা করি এই পীর সাহেবদের যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল নির্বাচন আমরা করতে পারব কী পারব না। এখন বুঝতে পেরেছে যে উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। যারা বাতাস দিচ্ছিল তারা বাতাসটা সরিয়ে নিচ্ছে। যারা তলে তলে তাল দিচ্ছিল তারাও বুঝতে পেরেছে এই অপদার্থ বিএনপিকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি এই আগুনসন্ত্রাসীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে, আন্ডারগ্রাউন্ড দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না, আলোচনা হয় যারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে। আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকতে এবং কোনো আগুনসন্ত্রাসীকে বা সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারীকে দেখলে পুলিশে সোপর্দ করতে আহ্বান জানাবে।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’ এর ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’-এর পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। এ সময় তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন সেট ও দলের কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কুমিল্লার দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া সাকিন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৭২১
গ্রেপ্তারেরা হলেন- চাঁদপুরের মশিউর রহমান ওরফে রাসেল (৩৭), কুমিল্লার আবু সুফিয়ান (২০), কুমিল্লার সালাউদ্দিন (৪৩), ফেনীর আলাউদ্দিন (৩১) ও জুলহাস হোসেন (২৫)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া সাকিন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটটি মোবাইল ফোন সেট ও দলের কাগজপত্র জব্দসহ তাদের আটক করা হয়।
তারা সবাই ‘আল্লাহর দল’-নামক জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।
এতি আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিযবুত তাহরীরের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
১ বছর আগে
শ্রমিকদের অধিকার-সংগঠনের স্বাধীনতা বাইডেন প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র
সংগঠনের স্বাধীনতা ও সম্মিলিত আলোচনাসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শ্রমিক ও ইউনিয়ন সংগঠকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পাশাপাশি ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্য এবং শ্রমিকদের উপর শক্তি প্রয়োগ সম্পর্কিত অনুশীলনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার(২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) কাউন্সিলের সপ্তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সহসভাপতি ছিলেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ এবং বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
উভয় প্রতিনিধি দলে বাণিজ্য, শ্রম, মেধা সম্পত্তি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থার কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়: মাইকেল কুগেলম্যান
টিকফা কাউন্সিলের বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। বিশেষ করে শ্রম সংস্কার, সেইসঙ্গে জলবায়ুতে বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল বাণিজ্যকে প্রভাবিত করে এমন নীতি, মেধা সম্পত্তি সুরক্ষা ও প্রয়োগ এবং কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে, একটি ত্রিপক্ষীয় শ্রম আইন পর্যালোচনা কমিটি বাংলাদেশের শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধনগুলো পর্যালোচনা করছে। একই সঙ্গে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে(ইপিজেড) সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত আলোচনার সুযোগ প্রসারিত করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছে।
বাংলাদেশে ইউনিয়ন নিবন্ধন করার সময় শ্রমিকদের যে বাধার সম্মুখীন হতে হয় তা দূর করতে কিছু প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে আইনি সময়সীমার মধ্যে আবেদনগুলোকে সহজে নিবন্ধিত করা এবং নিরপেক্ষ ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে মার্কিন সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ‘আকাঙ্ক্ষা’র সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা
এ ছাড়াও, বাংলাদেশকে শ্রম পরিদর্শন এবং প্রয়োগের জন্য আরও সম্পদ উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র গত এক বছরে বাংলাদেশের তথ্য সুরক্ষা আইন(ডিপিএ) নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক সংলাপের প্রশংসা করেছে।
উভয় পক্ষই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে আস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেক্টরের উন্নতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছে।
ডিপিএ খসড়ার বাংলাদেশের নতুন সংস্করণে আগের সংস্করণগুলোর উন্নতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি দণ্ড অপসারণ, ব্যক্তিগত তথ্যে ডিপিএ’র সুযোগ সীমাবদ্ধ করা এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়া করে এমন সংস্থাগুলোর আবেদন সীমিত করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা রপ্তানির ক্ষেত্রে তুলা জীবানুমুক্ত করতে রাসায়নিক ধোঁয়া দেওয়ার বিষয়টি বাতিল করায় বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই নিয়ম চলে আসছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কৃষি জৈবপ্রযুক্তি সংলাপে সহযোগিতা করেছে।উভয় দেশ চলতি বছর তাদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে আগ্রহী।
উভয় দেশই অর্থনীতিতে উদ্ভাবন রক্ষার জন্য মেধা সম্পত্তির (আইপি) সুরক্ষা ও প্রয়োগের গুরুত্ব স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কপিরাইট আইন সংশোধন, শিল্প নকশা আইন, পেটেন্ট বিল ও বাস্তবায়ন প্রবিধান এবং আইপিআর এনফোর্সমেন্ট (আমদানি ও রপ্তানি) বিধিসহ আইপি-সম্পর্কিত আইন ও বিধিমালার সংশোধনের জন্য চলমান প্রক্রিয়াগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত থাকার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ ছাড়া ইউএসটিআর-এর ২০২৩ সালের বিশেষ ৩০১ নম্বর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নকল পোশাকের শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি এসব নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন ডিসি-তে ২০২৪ সালে আগামী টিকফা কাউন্সিলিং বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে উভয় প্রতিনিধিদল এই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি’: মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন, তা আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হলো।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে রংপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্র প্রকল্পস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপির কয়েকজন সদস্য যখন কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। কানাডার একটি আদালত সেসময় তাদের রায়ে বলেছিলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বল প্রয়োগ করে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তারা গাড়ি-ঘোড়া ও মানুষ পোড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এরপর আবার কয়েক দিন আগে বিএনপির আরেকজন সদস্য সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং সে ক্ষেত্রে কানাডার ফেডারেল আদালত আবার একই রায় দিয়েছেন যে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সুতরাং তাদেরকে আর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না এবং এই মর্মে তার আবেদন তারা খারিজ করে দিয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত যে কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলো এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এভাবে যখন বিএনপি সদস্যরা আবেদন করেছে, অনেক জায়গাতেই প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছে।
বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও ডিবি কার্যালয়ে গয়েশ্বর রায়কে সরকারের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার ও সেবাদান নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, এটি আওয়ামী লীগের শিষ্টাচার এবং ১৫ বছর তাদের আদর করা হয়নি সেটি সঠিক নয়। যখনই তারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে এবং কারাগারের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ভালো রাখা যায়, সে চেষ্টা সব সময় করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এবং আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেতা যখন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের খোঁজখবর নিয়েছি, যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
হাছান বলেন, এটি আমাদের দলের শিষ্টাচার, যা আমাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। এই শিষ্টাচার বিএনপির মধ্যে নাই, এর মর্মও তারা বোঝে না।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ বেগম মতিয়া চৌধুরীকে রাসেল স্কোয়ারে টানাহেঁচড়া করেছে, আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের সেবা-শুশ্রূষা তো দূরের কথা, কোনো কিছুই করা হয়নি।
বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা যেটি করেছেন, এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এটির প্রশংসা আমানউল্লাহ আমান নিজেও করেছেন। আবার বের হওয়ার পর ভোল পাল্টিয়েছেন।
সোমবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে হাছান বলেন, তারা নিজেরাই তো বোল্ড-আউট হয়েছে। বিএনপি ঢাকা অবরোধ করতে চেয়েছিল, সেখান থেকে পালিয়েছে। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জনসভা দেখে আমার নিজেরই লজ্জা লাগলো যে, ফাঁকা মাঠ, বিএনপির জনসভায় মানুষ এতো কম কেন!
এর আগে বিটিভি রংপুর কেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে বলেন, আমাদের সরকার প্রত্যেকটি বিভাগে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, একনেকে অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, রংপুর বিভাগেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সেটি হলে এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সবাই সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তাদের দক্ষতা সারা দেশে তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার সুযোগ পাবে।'
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
তৃণমূলের সমর্থন যোগাতে ৪ মার্চ থানা পর্যায়ে মিছিল করবে বিএনপি
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ৪ মার্চ (আগামী শনিবার) তাদের বিভাগীয় শহরের আওতাধীন সকল থানায় মিছিল করবে।
শনিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব জেলায় তাদের পদযাত্রা শুরুর পরপরই প্রধান বিরোধী দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে - যা একই ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ।
এ কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রতিবাদ করা হবে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিতে , মূলত তার বিরুদ্ধে করা 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারকে চাপ দেয়া এবং দলের ১০ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে না সরালে বিপদে পড়বে বাংলাদেশের জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে সরকারকে তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে এবং পদত্যাগে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দলের আন্দোলনকে সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেন।
৯টি জেলায় সংঘর্ষ ও অবরোধের মধ্যে ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপি শনিবার দেশের সব জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে।
ঝালকাঠি, নীলফামারী ও নেত্রকোনায় তাদের পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া পটুয়াখালীতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কুমিল্লায় মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালায় বলে তারা জানান।
পুলিশের বাধায় বাগেরহাট ও রাজবাড়ীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি এবং গাজীপুর ও মাগুরায় পুলিশের বাধায় দলীয় নেতাকর্মীরা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
এছাড়া মিছিল শুরুর আগে নাটোরে দলের কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণে দলটির পদযাত্রা কর্মসূচি বানচাল করা হয়।
মির্জা ফখরুল তার বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো সরকার পতনের জন্য একযোগে আন্দোলন শুরু করে, অথবা অন্তত আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্ব-গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় বিধান উপলব্ধি করে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
দলটি তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে সারাদেশের সব ইউনিয়ন ও বিভাগীয় শহরে একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
১ বছর আগে
সিলেটে বিএনপির সমাবেশ শেষ, যানবাহন চলাচল শুরু
সিলেটে শনিবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পরিবহনের ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল।
কিন্তু বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বিকাল পাঁচটার দিকে শেষ হওয়ার পরপরই যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বৈঠকে বসে চার দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে-যেসব অটোরিকশার নিবন্ধন নেই, সেগুলোকে নিবন্ধন দেয়া, সিলেটের সব কটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেয়া, সিলেটের লামাকাজী ও শ্যাওলা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ এবং হাইওয়ে সড়কে ব্যাটারিচালিত টমটম ও রিকশার চলাচল বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৭ম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
এ ছাড়া জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজন এবং নতুন করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন না দেয়ার দাবিতে সিলেট জেলায় শনিবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দেয়।
পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়ার পর বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এবং পরিবহন নেতাদের দিয়ে এসব ধর্মঘট পালন করানো হচ্ছে। তবে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতাদের দাবি ছিল, তাদের কর্মসূচি পূর্বঘোষিত।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউল কবীর বলেন, যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। নির্ধারিত কর্মসূচির পর ধর্মঘট শেষ হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের দাবির বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। আমরা দাবির বিষয়টি নিয়ে পরে যোগাযোগ করব।
সিলেট জেলা গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মইনুল হক বলেন, আমরা সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্মঘটের কথা বলেছিলাম। এর মধ্যেই ধর্মঘট শেষ হয়েছে। আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। এ জন্য আমরা এইচএসসি পরীক্ষার পর আবার ধর্মঘট ডাকব।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
২ বছর আগে
খুলনায় ৬ দফা দাবিতে মালিক-শ্রমিকদের ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি
জ্বালানি তেলের ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবিতে খুলনায় জ্বালানী তেল সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকরা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে খুলনার নতুন রাস্তা শ্রমিক ভবনের সামনে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সমর্থনে খুলনায় এ কর্মবিরতি পালন করেন চারটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ডাক জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের
সংগঠনগুলো হলো-বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যান সমিতি।
কর্মবিরতি পালনকালে সভায় বক্তরা বলেন,জ্বালানী তেলের দাম বাড়লেও তেল পরিবহন ও উত্তোলনের সংশ্লিষ্টদের কমিশন বৃদ্ধি করা হয়নি। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে (বিপিসি) একাধিকবার চিঠি ও অভিযোগ জানিয়ে নামমাত্র কমিশন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যা মালিক ও শ্রমিকদের কোনো কাজে আসবে না।
৬ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট যা গেজেট আকারে প্রকাশ, ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রদান চালু, ট্রেড ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য কোন দপ্তর কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ফিলিং স্টেশনের প্রবেশদ্বারে জমির জন্য ইজারা গ্রহণ প্রথা বাতিল, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সকল তেল ডিপোতে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের বিশ্রামাগার ও শৌচাগার নির্মাণ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আজিম, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
২ বছর আগে