রাষ্ট্র
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি: ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধাই সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী মন্ডল মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরে আমরা যাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ, আবিদা সুলতানা যুঁথী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের, সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) অভিজিৎ দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ: ধর্মমন্ত্রী
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
৩ মাস আগে
বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নয়নশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে আয়োজিত জনসভায় সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই দেশকে বিক্রি করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সিলেটে সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছে। সিলেট নগরীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধার মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি দেশের কল্যাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, নগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, শাকিল তালুকদার, রিপন হাওলাদারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
৯ মাস আগে
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশ থেকে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করাই বিজয় দিবসের প্রত্যয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫২ বছর’শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতিগত উন্নয়নের জন্য শুধু বস্তুগত নয় মানুষের আত্মিক উন্নয়নও অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন আর দরিদ্র নই তবু অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, মূল্যবোধে আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একটি সামাজিক রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, তালাকপ্রাপ্তা ভাতা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা চালু করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে দেশকে আমরা একটি মানবিক, সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই, যেখানে সমস্ত আর্ত-পীড়িত, দরিদ্রদের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। এখন জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম আর পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ২৫ কিংবা ২৭তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, এই উন্নয়ন অগ্রগতি আমরা আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতাম যদি দেশে ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক, গুজব ছড়ানোর রাজনীতি না থাকত, কারণ এগুলো দেশের অগ্রগতিকে শ্লথ করেছে। আজকে রাজনীতির নামে মানুষ, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, ট্রেন লাইন কেটে ফেলা হচ্ছে, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং করছে। সুতরাং দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে হয় তাহলে রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। আমরা সেটি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং আজকে বিজয় দিবসে আমাদের প্রত্যেকের শপথ হওয়া প্রয়োজন এই নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে চিরতরে দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই রাষ্ট্র-সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি, এরা মানবতারও শত্রু। এদের প্রতিহত করতে হবে।’
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাপ্তাহিক ‘চাঁটগার সংবাদ’ পত্রিকার ১১তম বর্ষপূর্তি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছে। তাদের নেতারা গর্তের মধ্য থেকে একটু একটু করে তাকিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে।’
তিনি আরও বরেন, ‘তারা গাড়িতে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়, মানুষের উপর হামলা চালায়, স্কুল-ঘর পুড়িয়ে দেয়, ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকের বেশ ধরে গাড়িতে আগুন দিতে যায়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেশকে ধ্বংস করার জন্য বায়তুল মুকাররমে আগুন দেওয়া হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়া হয়েছিল, শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু ট্রেন-লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। শতাধিক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি-জামাত।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই অগ্নিসন্ত্রাসকে মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালেও সেই একই অপচেষ্টা হয়েছিল, তারা সফল হয়নি। এবারও দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
চাঁটগার সংবাদ পত্রিকার জন্য শুভকামনা জানিয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, আজকে যে দেশটা বদলে গেল, মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে আমরা যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, পাকিস্তান যে আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে, বাংলাদেশ কীভাবে তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে আমরা অতিক্রম করেছি, সেই সত্যটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো, সেই গল্পটাও গণমাধ্যমে আসা দরকার।
আরও পড়ুন: বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার কথা কে ভাববে?: প্রশ্ন চীনের রাষ্ট্রদূতের
চীন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সংযম প্রদর্শন, বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায়সঙ্গত অবস্থান গ্রহণ, সংঘাত প্রশমনে কাজ করার এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ওপর আরও বড় ধরনের আঘাত এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
'চীন বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা ও হামলার নিন্দা জানায় এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী সব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে।’
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদানের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব কথা বলেন।
এসময় উভয় পক্ষ ফিলিস্তিন ইস্যুতে গভীর মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন, সংঘাতের সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে চীন মনে করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লড়াই বন্ধ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো, এটি অবিরামভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধ করা এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো, যত দ্রুত সম্ভব মানবিক উদ্ধার ও সহায়তার পথ উন্মুক্ত করা এবং মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় রোধ করা অপরিহার্য।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের যথাযথ ভূমিকা পালন করা উচিত।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারি বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
সশস্ত্র সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে একটি রেড লাইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থাও নিতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও আরও বলেন, নির্বিচারে বলপ্রয়োগ অগ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। জাতিসংঘের কর্মী ও মানবিক সহায়তা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, চীন সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে চীন সরকারের বিশেষ দূত শিগগিরই এ অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট দেশগুলো সফর করবেন এবং সহিংসতা বন্ধ ও উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাবেন।
ইতোমধ্যে শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে এবং ফিলিস্তিন সমস্যার একটি সমন্বিত, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কাজ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আরও কর্তৃত্বপূর্ণ, প্রভাবশালী ও বিস্তৃত পরিসরে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে চীন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন যে ফিলিস্তিন প্রশ্নে এটি মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুর কেন্দ্রবিন্দু এবং একটি ক্ষত যা আজকের বিশ্বকে আহত করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'এই প্রশ্নের মূল কারণ হচ্ছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচারের প্রতিকারে ব্যর্থতা।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'ইসরায়েলের যেমন রাষ্ট্রের অধিকার রয়েছে, তেমনি ফিলিস্তিনেরও রয়েছে। ইসরায়েলিরা বেঁচে থাকার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা অর্জন করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার বিষয়ে কে চিন্তা করবে? ইহুদি জাতি বিশ্বে আর গৃহহীন নয়, কিন্তু ফিলিস্তিনি জাতি কখন তার বাড়িতে ফিরে আসবে? পৃথিবীতে অন্যায়ের কমতি নেই, কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচার চলছে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে। যে দুর্ভোগগুলো প্রজন্মকে জর্জরিত করে তা চলতে দেওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে অভিভূত: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, প্রশ্নটির উত্তর হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘এভাবেই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারে এবং আরব ও ইহুদিরা কীভাবে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারে। 'দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলেই মধ্যপ্রাচ্য সত্যিকার অর্থে শান্তি উপভোগ করতে পারবে এবং ইসরায়েল স্থায়ী নিরাপত্তা উপভোগ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সঠিক উপায় হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করা। শান্তির জন্য সকল প্রক্রিয়াকে অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন প্রশ্নে শান্তির পক্ষে চীন, ন্যায়বিচারের পক্ষে, আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে। বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার পক্ষে এবং মানুষের বিবেকের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকবে তার দেশ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের স্থল হামলার হুমকিতে অনেক ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়েছে
১ বছর আগে
আর পারছি না রাষ্ট্র: ওমর সানি
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবার হতাশা প্রকাশ করলেন চিত্রনায়ক ওমর সানি।
এই তারকা তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন, 'সাধারণ মানুষ কী খাবে—বলে দেন সরকার। খাবারের লিস্ট দিয়ে দেন আমরা কী খাব। আর পারছি না রাষ্ট্র।'
অনেকদিন অভিনয়ের বাইরে রয়েছেন ওমর সানি। এই সময়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি।
আর সেই কারণে বাজারের নিয়মিত খোঁজ রাখছেন এই তারকা। সেই উপলব্ধি থেকে তার ফেসবুক পোস্ট।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়াই মাইকেল হাত ধরে আমাকে সরাতে গেছেন: সায়ন্তিকা
পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন
অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প 'জাওয়ান' থেকে নেওয়া: বর্ষা
১ বছর আগে
ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: ইআরডিএফবি
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে ১৬০ জন বিশ্বনেতার সাম্প্রতিক বিবৃতিকে সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি উল্লেখ করে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সংস্থাটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সই করা একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, বিচার স্থগিত চাওয়া একটি স্বাধীন দেশের বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে দেওয়া বিশ্বনেতাদের বিবৃতি আমাদের সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস অন্যায়ের সম্মুখীন কি-না মূল্যায়নে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ মনে করে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সবকিছু আইনানুসারে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এক্ষেত্রে কারও কোনও হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে সরকার হয়রানি করছে না, বিবৃতিদাতাদের প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগকে না জেনে, যথাযথ পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিবৃতি বা চিঠি দেওয়া বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ ও ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বিবৃতি বা চিঠি দেওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন বলে আশা করে সংস্থাটি।
ইআরডিএফবি মনে করে বিভাজিত মানবাধিকার ও বাছাইকৃত ন্যায়বিচারের দাবি বিশ্বে নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় অন্তরায়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: এইউবি ও ডিইউটিএ
১ বছর আগে
রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা
বিএনপি তাদের এক দফা দাবি ঘোষণার একদিন পর সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার ‘সংস্কার’ এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা উন্মোচন ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে যেসব দল আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই রূপরেখা প্রণয়ন করেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি এটা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই।’
বিএনপি নেতা বলেন, ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য তারা বুধবার রাজধানীতে তাদের সমাবেশ থেকে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র নির্বাচন ও শাসন পরিবর্তনের জন্য নয় বরং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তন এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা এখন ৩১-দফা রূপরেখা ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
ফখরুল বলেন, এই রূপরেখা জাতির জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ,’ কারণ, এতে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাদের দলের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। ‘তারা (জনগণ) এখন দেশের মালিকানা হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।এই রাষ্ট্রটি মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করা দরকার।’
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের একটি জনকল্যাণমুখী সরকার গঠন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অতীতের নৈরাজ্যের জন্য বিএনপি দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিচার বিভাগ দুর্বল হলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচার বিভাগ যদি দুর্বল হয় তাহলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের যে তিনটি অঙ্গ; সেই অঙ্গের একটি হলো বিচার বিভাগ। যদি জুডিশিয়ালি (বিচার বিভাগ) দুর্বল হয়, তাহলে সেই রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না। আর তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে করে পাবলিক (সাধারণ জনগণ) ন্যায়বিচার প্রার্থনায় আদালতে আসেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ন্যায় কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জনগণ যাতে সহজে স্বল্প সময় ও খরচে ন্যায় বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। বিচার বিভাগকে গতিশীল করে দ্রুততম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে বিচারকদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা হিসেব-নিকেশ করে দেখেছি যে ডিস্পোজালের (নিষ্পত্তি) রেট মোটামুটি ১২৫ শতাংশ করা যায় তাহলে এখন থেকে ৫-৭ বছরের মধ্যে বর্তমান যে মামলার জট রয়েছে তা আসতে আসতে কমে যাবে।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সামুদ্রিক প্রকল্পে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
জলবায়ু সংকট; একটি টেকসই নীল অর্থনীতির জন্য সমর্থন; বৈশ্বিক স্বাস্থ্য; যুক্তরাষ্ট্র ও আইওআরএ প্রধান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর অংশ হিসেবে একসঙ্গে যে অগ্রাধিকারগুলো মোকাবিলা করে তার মধ্যে সমুদ্র নিরাপত্তা অন্যতম।
মঙ্গলবার মরিশাসে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মহাসচিব সালমান আল ফারিসির সঙ্গে বৈঠক করেন স্টেট ফর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস-এর উপ-সচিব রিচার্ড ভার্মা।
উপ-সচিব ভার্মা যুক্তরাষ্ট্র ও আইওআরএ'র মধ্যে চলমান সম্পর্কের জন্য মহাসচিব আল ফারিসিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে আইওআরএ'র ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: আইওআরএ সম্মেলন: চলতি সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উপ-সচিব ভার্মা ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ এশীয় উপ-অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা ও আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে আইওআরএ’র সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং ভারতের সঙ্গে সমুদ্র নিরাপত্তায় সহযোগিতার জন্য ৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনাও কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছেন বলে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভার্মা ও আল ফারিসি সংস্থাটিকে মার্কিন প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আরও অনুসন্ধান করতে সম্মত হয়েছেন।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলটি বিশ্বজুড়ে মানুষ ও অর্থনীতিকে সংযুক্ত করে। কারণ এই অঞ্চল ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল, যা বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
হরমুজ প্রণালী থেকে মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত এর বিস্তৃত উপকূল রেখায় বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেন রয়েছে।
বিশ্বের সামুদ্রিক তেলের চালানের ৮০ শতাংশই ভারত মহাসাগরের জলপথ অতিক্রম করে এবং এই অঞ্চলটিতে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যসম্পদ রয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট অনুসারে, ২০২১ ও ২০২২ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওআর দেশগুলোকে সহায়তা করতে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে ৮০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রশাসন।
শুধু ২০২২ অর্থবছরেই প্রশাসন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এবং আইওআর জুড়ে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ মোকাবিলায় অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারসহ এই অঞ্চলজুড়ে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কর্মসূচির জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রদানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই অঞ্চল জুড়ে আমাদের সম্পৃক্ততা আরও গভীর করব এবং এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অংশীদারদের পাশাপাশি আমাদের কাজ বাড়িয়ে তুলব এবং আইওআর জুড়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও মানব সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করব।’
আরও পড়ুন: সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সহায়তা করুন: আইওআরএ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে