ফরাসি
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি, কানাডা ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৃথক বৈঠকে দূতরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ৫ গ্যাসকূপ অনুসন্ধানে আগ্রহী গ্যাসপ্রম, বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে: রাষ্ট্রদূত
২ মাস আগে
১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসবেন। যা বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপক্ষয়ি সম্পর্ককে ‘গভীর করার সুযোগ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফরাসি সরকার সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র ঢাকা সফরের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এসময় ফ্রান্স বাংলাদেশকে এমন একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেটি ‘দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার অংশীদারিত্বে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে’।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও দারুণ একতা দেখায়। বিশেষ করে প্যারিস এজেন্ডা ফর পিপলস অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেটের কাঠামোর মধ্যে, যা বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে।’
যেহেতু দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, তাই ম্যাক্রোঁ তার মানবিক ফ্রন্টে; বিশেষ করে নিয়মিত বন্যার মুখে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ফ্রান্সের দৃঢ়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করবেন।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতিথেয়তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংহতি ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দেশ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লি যাবেন।
এরপর ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি।
আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে পৌঁছেছে ফ্রান্স নৌবাহিনীর জাহাজ ‘এফএস সার্কাফ’
গত জুনে প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি নতুন গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং প্যাক্টের জন্য শীর্ষ সম্মেলনের ফলোআপ করারও একটি সুযোগ হবে জি২০-তে।
এই শীর্ষ সম্মেলনটি পিপলস ও প্ল্যানেটের জন্য প্যারিস এজেন্ডা প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছে। যাতে কোনো দেশকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং পৃথিবীর সুরক্ষার মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সফরের সময় জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা ছাড়াও বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবে।
প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘নারী ক্ষমতায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন-এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছেন।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ তার প্রাসঙ্গিক তহবিলের লস এন্ড ড্যামেজ বিষয়টি বড় আকারে উত্থাপন করবে।
ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স বাংলাদেশকে বিমান চলাচল ও সমুদ্র নিরাপত্তায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী: ফরাসি দূত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
দুই নেতার নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ফ্রান্স ও বাংলাদেশ তাদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং কৌশলগত দিকনির্দেশনার জন্য নিয়মিত রাজনৈতিক পরামর্শের মাধ্যমে তাদের অংশীদারিত্বের সমস্ত দিক বিকাশ ও গভীর করার জন্য তাদের যৌথ ইচ্ছার কথা তুলে ধরেছে।
উভয় দেশ রাজনীতি ও কূটনীতি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তাদের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে।
উভয় দেশ প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে টেকসই এবং সহযোগিতার গুরুত্ব স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স তাদের অংশীদারিত্বের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপাদানকে আরও উন্নয়নের ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।
সেই লক্ষ্যে, উভয় দেশ সংলাপ জোরদার করতে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। বিশেষ করে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে, যা এই সফরের সময় চালু হয়েছিল।
এছাড়া তারা প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ব্যক্ত প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিটি পক্ষের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য প্রযুক্তি স্থানান্তর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই বিষয়ে, উভয় পক্ষই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি ইচ্ছাপত্র সইকে স্বাগত জানিয়েছে।
ফ্রান্স ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সকলের জন্য ভাগ করা সমৃদ্ধির সঙ্গে একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ফরাসি বাহিনীর কর্মকর্তা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত ফরাসি বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ইমানুয়েল স্লারস।
রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ড্রাইডক সহযোগিতা এবং সমুদ্রপথে চলাচল সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
শেখ হাসিনা চলতি বছরের ২-৬ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানের জন্য ফরাসি ফ্রিগেট ‘এফএইচ সারকফ’ ভেড়ায় স্বাগত ও অভিনন্দন জানান।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে ফ্রান্স ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিল এবং ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালে আন্দ্রে ম্যালরাক্স এবং বার্নার্ড-হেনরি লেভির মতো নেতৃস্থানীয় ফরাসি বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে আমাদের জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাও প্রধানমন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ বাংলাদেশের: সুইডিশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড্রাইডক বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল ইমানুয়েল স্লারস বলেন, ফ্রান্স ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি দেশ এবং তারা নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং আকাশ পথের স্বাধীনতার পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রের আইনকে সম্মান করা উচিত।’
তিনি বলেন, মানব পাচার, বিশেষ করে নারী পাচারও বিশ্বের জন্য একটি বড় সমস্যা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
বাংলাদেশ এবং ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ২৭৭ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)ঋণ সুবিধা চুক্তি (সিএফএ) সই করেছে।
২২ জুন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশের জন্য এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনোইট চ্যাসাটে সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।
ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় এএফডি, বিআরটি প্রকল্পের জন্য ৬২ মিলিয়ন ইউরো, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো এবং বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন(বিইএসটি) প্রকল্পের জন্য ৪০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি কোম্পানি কম্পোনেন্ট) নামে পরিচিত প্রথম প্রকল্পটির লক্ষ্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে (জিসিসি) একটি টেকসই নগর পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রকল্পটি একটি ২০ কিলোমিটার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) করিডোর প্রবর্তন করবে — যা সমন্বিত শহুরে গতিশীলতার জন্য একটি সামগ্রিক সমাধান প্রদানের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কাজ করছে।
দ্বিতীয় প্রকল্প হলো উত্তর কাট্টলীর জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প। এটি পোর্ট সিটির বাসিন্দাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চাহিদা পূরণ করে। এটি চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বর্জ্যপানি পরিশোধন অবকাঠামো নির্মাণ করবে।
বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বিইএসটি) প্রকল্প নামে তৃতীয় প্রকল্পটি এএফডি এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টা। এর লক্ষ্য বাংলাদেশে পরিবেশগত বিধিবিধান এবং প্রয়োগ বৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি দেশের কারিগরি ও প্রশাসনিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে দূষণ রোধ এবং পরিবেশের গুণগতমান উন্নত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
এএফডি ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী একটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সংস্থা ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এএফডি’র সহায়তায় নগর উন্নয়ন এবং পানি ও স্যানিটেশন, গণপরিবহন, এবং নগর পরিষেবার মতো পরিকাঠামোগত উদ্যোগসহ বিস্তৃত উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা বিদ্যুত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোতেও অগ্রাধিকার দেয়, যার মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা এবং নবায়ণযোগ্য বিদ্যুত, নিরাপত্তা মান এবং পরিবেশগত এবং সামাজিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্পোরেট এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রচেষ্টা।
আজ পর্যন্ত এএফডি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্পে ২ হাজার ১০১ মিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট সহায়তা ঋণ প্রদান করেছে, যা দেশের উন্নয়নে তার টেকসই প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন আইএমএফ’র ডিএমডি
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর
১ বছর আগে
বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
২১ শতকে বিদেশি ভাষা শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। বিশ্বায়নের গতিশীলতায় বহুজাতি সংস্কৃতিগুলো পরস্পরের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সম্প্রদায়গুলো অভ্যস্ত হয়ে উঠছে একে অপরের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যত বিশ্ব নেতাদের চিহ্নিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাই করছে। নিয়োগকর্তারা এমন লোক খুঁজছে যারা বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট দেশের ভাষা আয়ত্ত্বের মাধ্যমে সে দেশে বৃহত্তর একাডেমিক অর্জনের পাশাপাশি চাকরি ক্ষেত্রেও মিলছে বিস্তর সুযোগ। তাই আজকের ফিচারে থাকছে উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক তেমনি কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিদেশি ভাষার কথা।
উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক ১০টি বিদেশি ভাষা
ম্যান্ডারিন চাইনিজ
গত দুই দশকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে ম্যান্ডারিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় পরিণত হয়েছে। উৎপাদন এবং রপ্তানি শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগের উদ্ভব হওয়ায় ম্যান্ডারিনে দক্ষতার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভাবনীয় শিল্পের মধ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিনান্স এবং লজিস্টিকস।
ম্যান্ডারিন চাইনিজ চীন এবং তাইওয়ানের ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা। এছাড়াও ভাষাটি ইন্দোনেশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, মঙ্গোলিয়া এবং ফিলিপাইনেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সেই সূত্রে সিভিতে ম্যান্ডারিন ভাষার সংযোজন যে কোন প্রার্থীর মান উন্নত করতে পারে।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ ম্যান্ডারিন চাইনিজ ভাষা শেখানো হয়।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
জাপানিজ
১২০ মিলিয়নেরও বেশি জাপানিজ ভাষাভাষি মানুষের দেশ জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল শিল্পের অত্যন্ত উন্নত স্তরের অধিষ্ঠিত। সুতরাং গ্যাজেট সম্পর্কিত যে কোন ব্যবসার জন্য জাপানি ভাষা শেখা অবধারিত। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লজিস্টিকসে চাকরির সুযোগের জন্য প্রাসঙ্গিক শিল্প-মান দক্ষতার সাথে জাপানিজ ভাষা দক্ষতার অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং থ্যানেক্স জাপানিজ স্কুল জাপানিজ ভাষা শেখার জন্য সেরা জায়গা।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
জার্মান
ইউরোপকেন্দ্রিক ক্যারিয়ারে সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে জার্মান শেখা। জার্মান ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথিত ভাষা। এছাড়াও অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ এবং সুইজারল্যান্ডেও ব্যাপকভাবে জার্মান বলা হয়। ইউরোপের অর্থনীতিতে চতুর্থ বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। এখানে ফিনান্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানুফ্যাকচার, ডিজাইন বা ফার্মাসিউটিক্যাল্স ক্ষেত্রগুলোতে পেশাদারের চাহিদা প্রচুর।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জার্মান শেখার বিস্তর সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাস স্বীকৃত গোথ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
তুর্কী
বিশ্ব জুড়ে আনুমানিক ৭৫ মিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা তুর্কি যা এটিকে বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি সর্বাধিক কথ্য মাতৃভাষায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তুরস্ক ছাড়াও, তুর্কি-ভাষী আছে বলকান, ককেশাস এবং পশ্চিম ইউরোপে। তুর্কি অভিবাসীদের বৃহত্তম অংশটি বাস করেন জার্মানিতে, যেখানে জার্মানির পরে তুর্কি দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা।
এখানে প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, এনার্জি, ট্যুরিজম, ফিন্যান্স, আইন, ব্যবসার মতো বৈচিত্র্যময় সেক্টরে অসংখ্য ক্যারিয়ারের সুযোগ বিদ্যমান। পাবলিক সেক্টরে কর্মজীবনে আগ্রহীদের জন্য কূটনীতি, বুদ্ধিমত্তা এবং সামরিক ক্ষেত্রগুলোতে সক্রিয়ভাবে নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ফেলোশিপেরও ব্যবস্থা আছে।
বাংলাদেশে তুর্কী শেখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্প্যানিশ
বিশ্বব্যাপী ৪৮০ মিলিয়নেরও বেশি স্থানীয় ভাষাভাষীদের মধ্যে স্প্যানিশ ২১টি দেশের রাষ্ট্রিয় ভাষা। এটি মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার ক্রমবর্ধমান বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগের গেটওয়ে।
এখানে মানব সম্পদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে মিডিয়া, এবং ব্যাংকিংয়ে। পাশাপাশি চিকিৎসা, সামাজিক, শিক্ষা এবং বিপণনেও বেশ ভালো সুযোগ আছে।
শতকরা ৮৫ ভাগ আমেরিকান নিয়োগকর্তা স্প্যানিশকে সবচেয়ে বেশি চাহিদাযুক্ত বিদেশি ভাষা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন।
অনেকটা ইংরেজির মত হওয়ায় সহজে যে কেউ স্প্যানিশ রপ্ত করতে পারে। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট খন্ডকালীন ও দীর্ঘ মেয়াদে স্প্যানিশ ভাষা শেখা যায়।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
কোরিয়ান
দক্ষিণ কোরিয়া হল বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানির চমৎকার মিলনমেলা এই দেশটি। এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।
গত দশ বছরে কোরিয়া এশিয়ায় অধ্যায়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। কোরিয়ান-পপ, কোরিয়ান-ড্রামা এবং কোরিয়ান ফ্যাশনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে উত্থান হয়েছে কোরিয়ান ওয়েভ-এর। এছাড়াও কোরিয়া ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের নেতৃস্থানীয় শক্তি এবং ইন্টারনেট-সংযুক্ত সমাজের সাথে সবচেয়ে উদ্ভাবনী দেশগুলোর মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-এ কোরিয়ান শেখার সুযোগ আছে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ফরাসি
বিশ্ব রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির পরিমণ্ডলে প্রবেশ করতে হলে বা আফ্রিকা ভিত্তিক শিল্পে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য ফরাসি ভাষা অবশ্যই প্রথম পছন্দ হতে হবে।
ফরাসি ভাষা ২৯টি দেশের মোট ২২০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথ্য ভাষা। আফ্রিকাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই ভাষাটির দ্রুত প্রসার লাভ করছে। কানাডাতেও এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
ফরাসি গুরুত্বপূর্ণ কতক কূটনৈতিক সংস্থা এবং গভর্নিং বডি যেমন জাতিসংঘ, উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), এবং ফুটবল ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) দ্বারা গৃহীত ভাষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেস প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফরাসি ভাষা শেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
আরবি
তৈল শিল্প, এনার্জি সেক্টর বা হাই-এন্ড কনস্ট্রাকশনের কর্মীদের জন্য আরবি ভাষা দক্ষতা আবশ্যক। বিশ্বের ২৭টি দেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন আরবি ভাষাভাষি লোক আছে। এই একটি ভাষা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ক্যারিয়ার তৈরির সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই ইংরেজির পাশাপাশি আরবি ভাষা শিক্ষা হতে পারে উন্নত ক্যারিয়ারের সেরা মাধ্যম।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে মসজিদ-মাদ্রাসার আধিক্য থাকায় প্রচুর সুযোগ আছে আরবি শেখার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট ভালো মানের দুটি আরবি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ইতালিয়ান
ইতালিয়ান ইতালিসহ সান মারিনো, সুইজারল্যান্ড এবং ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রীয় ভাষা। এটি ৬৫ মিলিয়ন লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও বিশ্ব জুড়ে ইতালীয় অভিবাসী এবং তাদের বংশধরদের সংখ্যা প্রায় কয়েক মিলিয়ন।
ফ্যাশন, ডিজাইন, চারুকলা ও সংস্কৃতি, খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন এবং বিতরণ, ফুটবল, বিলাসবহুল গাড়ি শিল্প, এমনকি ভ্যাটিকান ক্যারিয়ারের জন্য ইতালিয়ান শ্রেষ্ঠ ভাষা।
এখানে ইতালিয়ান ভাষা বলা সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে ফিয়াট, ফেরারি, ল্যাম্বোর্গিনি, ও আর্মানি’র মতো বিশ্ব বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোতে।
বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
রাশিয়ান
বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারকারিদের মধ্যে বেশিরভাগই বাস করে রাশিয়ায়। বাকিরা সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র যেমন ইউক্রেন, লাটভিয়া এবং কাজাখাস্তানের বাসিন্দা।
রাশিয়ার ক্রমবিকশিত অর্থনীতির নেপথ্যে রয়েছে এর শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সরবরাহ, খনি এবং তৈল ও এনার্জি সেক্টর।
জার্মানির মতো রাশিয়াও বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত পেশাগুলোতে জনপ্রিয়, তাই যে কোনও উদীয়মান বিজ্ঞানী বা প্রযুক্তিবিদের জন্য রাশিয়া স্বর্গ হতে পারে।
রাশিয়ান ভাষার জন্য উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপ
পরিশেষে
পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রত্যাশিত বিষয়। আর এই দক্ষতার মূলে থাকে ভাষা। কেননা কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের কাছাকাছি পৌঁছার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো তাদের মানুষগুলো যে ভাষায় কথা বলে তাদের সাথে সে ভাষাতেই কথা বলা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনা দ্বিধায় বিচরণের জন্য বিদেশি ভাষা শিক্ষা উৎকৃষ্ট হাতিয়ার। এর মাধ্যমেই কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের মানুষ পুরোদস্তুর পরিণত হতে পারে বিশ্বের নাগরিকে।
২ বছর আগে
প্রকাশিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’র ফরাসি সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি ফরাসি সংস্করণ ‘Journal de Prison’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন। তিনি নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হন।
এ আয়োজনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ফরাসি লেখক, দার্শনিক ও চলচ্চিত্রকার বার্নার্ড হেনরি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী শুরু
বিশেষ বক্তা হিসেবে ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন এই গ্রন্থের অনুবাদক প্রফেসর ফিলিপ, বইটির প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি বারট্রান্ড।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ১৩ টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। পরিবার পরিজনকে ছেড়ে কারাগারে অন্তরীণ জীবন যাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব সচেতনতা তৈরিতে এক সোচ্চার কণ্ঠস্বর।’
বিশিষ্ট ফরাসী লেখক, দার্শনিক ও চলচ্চিত্রকার বার্নার্ড তার বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘এ বইয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর কন্ঠস্বর শুনতে পাই।’
বার্নার্ড তার বক্তব্যে কয়েকটি বিশেষ দিক তুলে ধরেন। প্রথমত তিনি ফ্রান্সে বসবাসরত শেষ প্রজন্মের মানুষ যিনি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত ডাকটিকেট প্রদর্শনীর উদ্বোধন
তিনি বলেন, ‘এ গ্রন্থের মাধ্যমে একদিকে যেমন মিষ্টতার প্রকাশ অনুভব করতে পেরেছি, তেমনি দৃঢ়তাও ফুটে উঠেছে। জনমানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ববোধ আস্বাদন করতে পেরেছি। এটি স্থায়ীভাবে এ গ্রন্থে গ্রথিত হল। বঙ্গবন্ধু তার বইতে যে ভাবে ফরাসি বিপ্লবের কথা বলেছেন, ফরাসি জনগোষ্ঠীর সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছেন, সে একইভাবে ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট ফরাসি দার্শনিক অঁন্দ্রে মার্লোও বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে তার সমর্থন প্রকাশ করেন।’
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত আশা ব্যক্ত করেন যে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, তার জীবন দর্শন সারা বিশ্বের ফরাসি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে এ বইটির অনুবাদ বিশেষ অবদান রাখবে।
ড.কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘মুজিববর্ষে কারাগারের রোজনামচা বইটির ফরাসি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার, অনুবাদক, প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সশরীরে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ফ্রান্সে অবস্থিত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট গুণীজনসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই অনুষ্ঠানটি একইসাথে অনলাইনে আয়োজন করা হয়।
৩ বছর আগে