মার্কিন
র্যাবের ওপরের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের ওপরে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
র্যাব বর্তমানে যে কার্যক্রম করছে তাতে মার্কিন সরকার সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞা উত্তরণে বাংলাদেশ সঠিক পথেই হাঁটছে। আমাদের ল'ইয়ার ভালো ভূমিকা রাখছে। যেভাবে চলছে তা চলমান থাকলে আমাদের ওপর থেকে অচিরেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা সফর করে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দুই দিনের সফরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সৌজন্য বৈঠক করেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ১৫ জানুয়ারির বৈঠকে র্যাবের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনায় হয়। এ নিয়ে সোমবার ( ১৬ জানুয়ারি) বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ডোনাল্ড লু এর সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে আমাদের কয়েকজন মন্ত্রীর একান্তে মিটিং হয়েছে। আমার সঙ্গে তার আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেখানে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। তাতে আমার যা মনে হয়েছে,বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা বন্ধ হোক আমেরিকার সরকার তা চায় না।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চায়। তারা চায় এদেশের মানবাধিকার যেন আরও ওপরে থাকে। তারা চায় এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কেউ যেন সহিংসতায় লিপ্ত না হয়। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদেরকে বলেছি অতীতে আমরা কিভাবে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলা করেছি। তারা এর প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আইএলআইএস’ চালু করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আলোচনায় নির্বাচনের প্রসঙ্গে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সংবিধান আছে সে অনুযায়ী আমাদের দেশের নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ৯০ দিন আগেই আমাদের সকল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে যায়। আমাদের সরকারের সব কিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা মন্ত্রীরা শুধু অফিসওয়ার্ক করি। কাজেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশবাহিনীসহ যারা সব সময় নির্বাচন কাজে থাকে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আমরা যে বিভিন্ন জনসভা করতে দিচ্ছি, এজন্য তারা আমাদের প্রশংসা করেছেন। তবে সমাবেশের নামে অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুর ও রাস্তায় ব্যারিকেড; এসব বিষয় আমেরিকার সরকার সমর্থন করেনা।
র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে তিনি ডোনাল্ড লু-কে বলেছেন, র্যাবকে আপনারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ২০০৪ সালে আপনারাই র্যাবকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিয়েছেন। শুধু র্যাবকে নয় পুলিশের অনেকবাহিনীকে অস্ত্র দিয়েছেন। তাদের ভালো কর্মদক্ষতার জন্য সব সময় প্রশংসা করেছেন। আত্মরক্ষার জন্য এই বাহিনীরও অস্ত্র হাতে নিতে হয়। তবে প্রতিটা গুলির জন্য আমাদের একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে জানালে আমরা সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, র্যাবের ১৮ জন সদস্য জেলে শাস্তি ভোগ করছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। আপনারা দেখছেন গত ১৫ বছর আগে যেটা ছিলো, সেখানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলেছি। তারাও বলেছেন বিগত দুই বছরে র্যাব ভালো কাজ করেছে। র্যাব ভালোভাবে জঙ্গি ও মাদক মোকাবিলা করেছে।
নিষেধাজ্ঞা তোলার প্রক্রিয়া জটিল বলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও, একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করতে হবে। সে প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। এই প্রক্রিয়ায় কতোগুলো ধাপ আছে, সেগুলো পার হতে হয়।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন ন্যান্সি পেলোসি
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের একমাত্র নারী স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ডেমোক্র্যাট লিডার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন ৮২ বছর বয়সী এ হাউস স্পিকার।
বক্তৃতায় পেলোসি বলেন, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্ব দেয়ার পরে এবং গত মাসে তাদের সান ফ্রান্সিসকোর বাড়িতে তার স্বামী পলের ওপর নৃশংস হামলার পরে তিনি সরে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছেন।
মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং সম্ভবত আধুনিক সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী স্পিকার পেলোসি জানান, ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে তার ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধিত্ব চালিয়ে যাবেন তিনি।
পেলোসি বলেন, ‘আমি পরবর্তী কংগ্রেসে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের জন্য আর নির্বাচিত হতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের গণতান্ত্রিক ককাসের নেতৃত্ব দেয়ার সময় এসেছে, যেটিকে আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি।’
পেলোসি আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সাহসের সঙ্গে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এদিন সকালে পেলোসির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং হাউসের স্পিকার হিসেবে দুর্দান্তভাবে তার দায়িত্ব পালনের জন্য পেলোসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে পেলোসি বলেন, তিনি তার উত্তরাধিকারী হওয়ার দৌড়ে কাউকে সমর্থন করবেন না।
তিনি বলেন, তার স্বামীর ওপর হামলা ‘তাকে নেতৃত্বে থাকার বিষয়ে ভাবিয়েছে।’
কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের পর তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এরইমধ্যে রিপাবলিকান কেভিন ম্যাকার্থি নতুন কংগ্রেস স্পিকার হওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন জিতেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জানুয়ারি নাগাদ তিনি পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হবেন।
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলে জেফ্রিস ভবিষ্যতে ইতিহাস তৈরি করতে পারেন এবং তিনি হাউসের জাতির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ স্পিকার হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন।
১৯৮৭ সালের বিশেষ নির্বাচনে পেলোসি প্রথম কংগ্রেসে নির্বাচিত হন।
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার সমান সুযোগ থাকতে হবে: মার্কিন কর্মকর্তা
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী সচিব আফরিন আক্তারের দু’দিনের সফর শেষে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য ‘সমান সুযোগ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’।
মার্কিন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ঢাকা ছাড়ার আগে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সকালের নাস্তা করেন আফরিন আক্তার।
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন ‘অবশ্যই একে অপরের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে।’
তিনি স্বাস্থ্য, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দূতাবাসে নিয়োগ: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ৯০,০০০
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেন, তারা বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এবং এটি কোনও নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা নয়।
আখতার রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ইউএসএআইডি মিশন বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।’
সেক্রেটারি (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় মার্কিন কর্মকর্তা সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং কিভাবে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে এবং এই অঞ্চলে অন্যান্য সামুদ্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান এবং মালদ্বীপের জন্য ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স (এসসিএ)-এর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সেইসঙ্গে নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসে সম্প্রতি এসসিএ সহকারী সচিবের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন ডন লু।
এর আগে, আখতার মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার স্মরণে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত
১০ মার্কিন নাগরিক ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইরানের
মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সহিংসতা ও দাঙ্গা উসকে দেয়ার জন্য ১০ মার্কিন ব্যক্তি এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি এই ‘অঞ্চলে বিপজ্জনকক ও সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপ’ মোকাবিলা করতে ইরানের আইনগত কর্তৃপক্ষের দ্বারা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরমাণু আলোচনায় গ্যারান্টি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মার্কিন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) কমান্ডার মাইকেল কুরিলা, সেন্টকমের ডেপুটি কমান্ডার গ্রেগরি গিলোট, মার্কিন উপ-সচিব অব দ্য ট্রেজারি ওয়ালি অ্যাডেইমো ও অন্যান্যরা।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরান, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, নবম বিমান বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের ভিসা পেতে এবং ইরানে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করবে এবং ইরানের অভ্যন্তরে তাদের সম্পদ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানে বিক্ষোভ: সমর্থন জানাতে চুল কাটলেন অস্কার বিজয়ীরা
মার্কিন সতর্কতা সত্ত্বেও ওপেকের সিদ্ধান্তে তেল উৎপাদন কমাবে সৌদি ও আবুধাবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্তকতাকে আমলে না নিয়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তেল উৎপাদন কমানোর জন্য ওপেক এবং তার মিত্রদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। এর আগে মার্কিন দূত বিশ্বের সামনে ‘অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা’ সম্পর্কে সতর্ক করেছিল।
সোমবার আবুধাবি আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম প্রদর্শনী ও সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবকে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে সমর্থন করতে দেখা যায়।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমান ইভেন্টের সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আসন্ন জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ২৪ নারী গৃহকর্মী উদ্ধার
যুবরাজ করতালি দিয়ে বললেন, ‘আমরা আমাদের ছাড়া অন্য কারও ওপর নির্ভরশীল নই।’
আমিরাতের জ্বালানি মন্ত্রী সুহেল আল-মাজরুই সেই কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন।
আল-মাজরুই বলেছেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারে যে ওপেক ও ওপেক+ এর সহকর্মীরা বিশ্বকে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে আগ্রহী। ‘তবে আমরা বিশ্বের একমাত্র তেল উৎপাদনকারী নই।’
ওপেক ও রাশিয়ার নেতৃত্বে অন্যান্য দেশগুলোর একটি ছোট কনফেডারেশন অক্টোবরের শুরু থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত দিনে ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়েছিল।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওপেক জোর দিয়ে বলেছে যে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগতা থেকেই তাদের সিদ্ধান্ত এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিশ্লেষকরা পশ্চিমের মুদ্রাস্ফীতি এবং পরবর্তী সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও তেলের সরবরাহ প্রভাবিত হওয়ার কারণে মন্দার আশঙ্কা করছেন।
রাষ্ট্রয়াত্ত্ব আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান আহমেদ আল জাবের জোর দিয়ে বলেছেন যে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে রয়েছে’।
আমেরিকান রাজনীতিবিদরা ইতোমধ্যে পেট্রলের দাম বাড়ানোর সম্ভাব্য সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নৌপরিবহন খাতে সৌদি বিনিয়োগের আশ্বাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গডড়ে এক গ্যালন গ্যাসোলিনের দাম এখন তিন দশমিক ৭৬ ডলার- যদিও তা জুন মাসে গ্যালনপ্রতি রেকর্ড পাঁচ ডলার থেকে কম। বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল সোমবার ব্যারেল প্রতি ৯৫ ডলারে উঠেছিল।
জ্বালানি বিষয়ক মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন বলেছেন, ‘আমি মনে করি দিনের শেষে, আমরা বিশ্বব্যাপী একটি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছি’।
হচস্টেইন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইভেন্টের পরে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুলাই মাসে সৌদি আরব সফর করেছিলেন এবং একটি বৈঠকের আগে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
সম্প্রতি সৌদি আরবকে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তারা যা করেছে, ইতোমধ্যে তার প্রভাব পড়ছে।’
সৌদি আরব পাল্টা জবাব দিয়ে প্রকাশ্যে দাবি করেছে যে বাইডেন প্রশাসন ওপেক-এর তেল উৎপাদন কমাতে এক মাস সময় বাড়াতে চেয়েছে।
২০১৮ সালের সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রিয়াদ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কে দূরত্ব এসেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্বাস করে যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
র্যাব কে সৃষ্টি করেছে?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘র্যাব কে সৃষ্টি করেছে?’
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে প্রশিক্ষিত করেছে এবং অপরাধ দমনকারী এই এলিট ফোর্সকে সবকিছু সরবরাহ করেছে। যার ফলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখায় র্যাব কৃতিত্ব পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কিছু মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করে এবং তাদের কেউ কেউ এখানে অপরাধ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি র্যাবের প্রশংসা করে বলেন, র্যাব সফলভাবে অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, কিন্তু এখন র্যাবের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এর আগে, এই মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন যে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিচারবহির্ভূত হত্যার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন যে তিনি এটিকে ‘একটি ভাল লক্ষণ’ হিসেবে মনে করছেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাব এবং র্যাবের সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
গত ডিসেম্বরে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘এটি একটি ভালো লক্ষণ।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ এবং জার্মান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞায় থেকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানানসই নয়: বিএনপি
হাস বলেন, র্যাব এবং এর সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য তাদের শাস্তি দেয়া নয় বরং আচরণ পরিবর্তন করে তাদের জবাবদিহি করা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সহিংসতা থাকলে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দেন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য, শ্রম অধিকার, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
রপ্তানিমুখী শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এখনও উদ্বেগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পেছনে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প: আইজিপি
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের মঞ্চ তৈরি করেছি: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আমরা আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) মঞ্চ তৈরি করেছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
রাষ্ট্রদূত হাসের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের দেশের আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের মঞ্চ তৈরি করেছি।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের পর তিনি একথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহে সম্পর্ক গভীর করার পাশাপাশি তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ’।
তিনি বলেন, ‘আমি অর্থনীতি, উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে (দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের) সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাফল্য এবং দুই দেশের শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: করোনা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
রাষ্ট্রদূত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব এবং এই অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সহায়তা ও কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতৃত্ব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে উদারতা ও বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অসাধারণ অবদানের কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস পুনরায় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও দেশীয় সম্প্রদায়ের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেছেন, ‘আমাদের বৈঠকের সময় আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি; আমি মনে করি যেভাবে আমরা কোভিড-১৯ সংকটকে মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করেছি, সেটা আমাদের যৌথ অর্জনগুলোর মধ্যে একটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশিকে টিকা দেয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রায় ৮৮ মিলিয়ন কোভিড-১৯ টিকার ডোজ অনুদান দিয়েছে। এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অবদান রেখেছে এবং সারা দেশে এই সহায়তা বিতরণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ হাইকমিশনারের
সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
এফবিআই: ম্যাগাজিন ও অন্যান্য নথির সঙ্গে ‘টপ সিক্রেট’ নথি মিশিয়ে রেখেছিল ট্রাম্প
চলতি বছরের শুরুর দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডা এস্টেট থেকে উদ্ধার করা ১৫টি বাক্সের মধ্যে ১৪টি শ্রেণীবদ্ধ নথি রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো ‘টপ সিক্রেট’ নথি বিভিন্ন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল। দেশটির বিচার বিভাগের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শুক্রবার প্রকাশিত এফবিআই হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেটে অভিযান চালিয়ে এসব নথি উদ্ধারের দাবি করে আমেরিকার এই গোয়েন্দা সংস্থা।
৩২-পৃষ্ঠার হলফনামা সাক্ষী ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও ‘চলমান তদন্তের অখণ্ডতা’ রক্ষা করার জন্য ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে কীভাবে শীর্ষ গোপনীয় সরকারি নথিগুলো এলামেলো করে রাখা হয়েছিল এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের কয়েক মাসব্যাপী অনুরোধ সত্ত্বেও ট্রাম্প সেগুলো হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর ফলে ২০২৪ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভিত্তি স্থাপনের আগেই ট্রাম্প সম্ভবত নতুন আইনি বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলায় দায়ী ট্রাম্প
একজন এফবিআই এজেন্ট হলফনামার প্রথম পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘সরকার অননুমোদিত জায়গায় শ্রেণীবদ্ধ তথ্যের বেআইনিভাবে স্থানান্তর ও সংরক্ষণ এবং বেআইনিভাবে সেগুলো গোপন করা বা সরকারী রেকর্ড অপসারণের বিষয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
যদিও ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছেন, নথিগুলিতে ‘গোপন’ কিছু নেই।
হলফনামায় গত ৮ আগস্ট মার-এ-লাগোতে অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১১ সেটের শ্রেণীবদ্ধ রেকর্ডের বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। বরং এর পরিবর্তে পৃথক ১৫টি বাক্সের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যা ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানুয়ারিতে ট্রাম্পের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিল। আর্কাইভস বিষয়টি বিচার বিভাগে পাঠিয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, এই ১৫টি বাক্সে পাওয়া অত্যন্ত সংবেদনশীল উপাদানগুলোর কারণে মার-এ-লাগোতে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন ছিল।
হলফনামায় বলা হয়েছে, শ্রেণীবিন্যাস চিহ্ন সহ ১৮৪টি নথির মধ্যে ২৫টি ‘টপ সিক্রেট’ স্তরের।
আর্কাইভের একটি চিঠির বরাত দিয়ে হলফনামায় বলা হয়, এই শ্রেণীবদ্ধ নথিগুলো কিছু সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও বিবিধ প্রিন্ট-আউট সহ অন্যান্য নথির সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে
মার্কিন বন্দুক সহিংসতার জন্য পুঁজিবাদ দায়ী: আল জাজিরা
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বন্দুক সহিংসতার জন্য পুঁজিবাদ দায়ী।
রবিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্পূর্ণভাবে মানুষের ওপর মুনাফা আদায়ে ব্যস্ত। উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে ‘পরিবেশের কর্পোরেট ধ্বংস’, ‘দরিদ্র সংখ্যালঘুদের কারাবাস’ এবং ‘নিশ্চিতভাবে অসুস্থ একটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার’ কথা বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিদেশে মার্কিন আচরণ বলার অপেক্ষা রাখে না যে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বা অন্যান্য সামরিক হত্যায়’ যেখানেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেখানেই অনেক সমস্যা তৈরি হয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুঁজিবাদকে আমেরিকার অন্তর্নিহিত রোগ হিসেবে দেখতে ব্যর্থ হওয়ার অর্থ হল, দেশটির ক্রমবর্ধমান সহিংস ঘটনাগুলোকে ‘বিচ্ছিন্ন সমস্যা’ হিসেবে দেখা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রে শপিংমলে গোলাগুলিতে নিহত ৩