মেম্বার প্রার্থী
ভোটের দিন মারা গেলেন মেম্বার প্রার্থী
ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী মো. মনির তালুকদার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
মৃতের ছেলে আরফাত বলেন, আমার বাবা মনির উদ্দিন কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে ফুটবল মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। ভোরে হার্ট অ্যার্টকে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
কর্ণফুলী নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুর বলেন, এটা দুঃখজনক ঘটনা। তবে তার মৃত্যুতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে সেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, চট্টগ্রামে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চলছে। জেলার পটিয়া, কর্ণফুলী ও লোহাগাড়া উপজেলার ২৭ ইউনিয়নে রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে বৃদ্ধ খুন
২ বছর আগে
বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
সুনামগঞ্জের ছাতকে তিনজন মেম্বার প্রার্থীর কপাল মন্দ। দু’জন মেম্বার প্রার্থী জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা ‘মৃত’ এবং একজন প্রার্থীর নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ভোট স্থানান্তর করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে সংশোধনের জন্য প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচন ও ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। ফলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া তাদের অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: তিন দশক গান গেয়েই চলছে অন্ধ বাউলের সংসার
এনআইডি কার্ড চেক যাছাই করে জীবিত মানুষদেরকে মৃত বিষয়টি প্রার্থীরা যেমন সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন তেমনি নির্বাচন অফিসের দায়িত্বশীলদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
এই বিষয়ে গত রবিবার ছাতক উপজেলা নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পৃথক তিনটি অভিযোগ করেছেন আলী আহমদ, কমর আলী ও ছিদ্দেকুর রহমান নামের তিনজন ভুক্তভোগী।
উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের মৃত আসক আলীর ছেলে মো. আলী আহমদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী হিসেবে ৮নং ওয়ার্ডে তিনি নির্বাচন করার ইচ্ছা করেছিলেন। এ বছরও তার আগ্রহ ছিল নির্বাচনে অংশ নেয়ার। কিন্তু গত ১ জুলাই গোবিন্দগঞ্জ পূবালী ব্যাংক শাখায় একাউন্ট করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান তার (৯০১২৩৮৫৫৭৬১৭৪) জাতীয় পরিচয়পত্রটি অনলাইনে দেখাচ্ছে না। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে মৃত দেখিয়ে পরিচয়পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি
ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল আউয়ালের ছেলে মো. কমর আলী’র জাতীয় পরিচয়পত্রেও তাকে মৃত দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে। তার অভিযোগে, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। সম্প্রতি করোনার টিকার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (৯০১২৩৮৫৫৭৬৩০৯) নিয়ে নিবন্ধন করতে গেলে তা হয়নি। পরে ওই কার্ড নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পর জানতে পারেন তিনি মৃত! এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাকল পাড়া গ্রামের মো. আবদুল আমিনের ছেলে মো. ছিদ্দেকুর রহমানের ৯নং ওয়ার্ডে ভোট স্থানান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাচন কমিশনে পৃথক একটি অভিযোগে উল্লেখ করেন, এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি কাজ করছেন। কিন্তু গত ৯ অক্টোবর একটি ফরম পূরণ করতে গেলে জানতে পারেন তিনি ৭নং ওয়ার্ডের ভোটার নন! একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বেরাজপুরে তার ভোট স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাকে নির্বাচনে প্রার্থী থেকে বঞ্চিত করার জন্য বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে এমন কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রমাকান্তরা আবার স্কুলে যেতে চায়
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান জানান, এমন কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তদন্তের মাধ্যমে অন্যায়কারীদের চিহিৃত করে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
প্রার্থীদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়েজুর রহমান জানান, এগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
৩ বছর আগে
ইউপি নির্বাচন: ভোলায় গুলিতে যুবক নিহত
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টার দিকে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চরফকিরা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
নিহত যুবক ওই ইউনিয়নের বশির সিকদারের ছেলে মনির মাঝি (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, মেম্বার প্রার্থী ইয়াসিন মাঝি ও রুহুল আমিনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষ হয়। এ সময় এক সমর্থক গুলি ছুড়লে মনির মাঝি গুলিবিদ্ধ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে। গুরুতর অবস্থায় মনিরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিতিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহতের বাবা বশির সিকদার অভিযোগ করেন, তার ছেলে নিরপরাধ। ভোট দিয়ে ফিরছিল। এ সময় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: ৫৬ এজেন্টকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থীর ছেলে লোকজন নিয়ে কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় এক প্রার্থীর ছেলের গুলিতে এক জন নিহত হয়। পুলিশ ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন নগর পিতা?
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে ও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
৩ বছর আগে