বাস চলচল বন্ধ
লকডাউন: শেরপুরের সাথে ৭ জেলার বাস চলচল বন্ধ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি জেলায় লকডাউনের কারণে ওইসব জেলার সাথে শেরপুরে বাস চলাচলা এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার মধ্যরাতে শহরে এ সংক্রান্ত মাইকিং করা হয়।
এদিকে, লকডাউনের কারণে হঠাৎ করে শেরপুর থেকে সোমবার রাতের নাইট কোচ বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
সোমবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরোপ করা হয়েছে। এই সাত জেলায় সব কিছু বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র মালবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোন কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লক রেইড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, অত্যাধিক কোভিড আক্রান্ত কয়েকটি জেলা হতে শেরপুরে চলাচলকারী বাস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। রাতেই শহরে মাইকিং করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কিছু নির্দেশনাসহ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় তৃতীয় দফায় লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ল
শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থত্যাগ বা ত্যাগ স্বীকার একান্তভাবে কাম্য। হার্ড ইমিউনিটির মূল্য অনেক প্রাণের বিনিময়ে দেয়া লাগতে পারে। কাজেই রিজনাল লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়ানো, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, এটাই এই মুহূর্তে বেস্ট সলুউশন।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন থেকে শেরপুর পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। গত মে মাসে জেলায় করোনার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন। অথচ জুন মাসের শুরু থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তিন সপ্তাহেই জেলায় ৩৭৩ জনের দেহে করোনা ভাইরানের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন পার করছে সাতক্ষীরা
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ জানান, শেরপুর এখন` ইয়োলো জোন’ থেকে করোনা সংক্রমণের `অরেঞ্জ জোনে’ রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটা ‘রেড জোনে’ পরিণত হতে পারে।
১৩৯২ দিন আগে