ফেসবুক
অনলাইন: ১৬০০ কোটি ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য ফাঁস
অনলাইনে এক হাজার ৬০০ কোটি ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে সাইবারনিউজ নামের একটি গবেষণা সংস্থা।
সেগুলো বিভিন্ন ডেটাসেটে একত্রিত হয়েছে। এতে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টে সহজেই প্রবেশ করতে পারছে।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাইবারনিউজ জানায়, গবেষকরা ৩০টি আলাদা ডেটাসেট শনাক্ত করেছেন, যাতে মোট এক হাজার ৬০০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হওয়া তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গুগল, ফেসবুক, অ্যাপলসহ জনপ্রিয় অনেক প্ল্যাটফর্মের পাসওয়ার্ড।
এক হাজার ৬০০ কোটি ব্যবহারকারী সংখ্যাটি পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, ব্যবহারকারীদের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের তথ্য একাধিকবার ফাঁস হয়েছে।
সাইবারনিউজ বলছে, ‘এতে অনেক ডুপ্লিকেট ডেটা রয়েছে এবং তাই আসলে কতজন মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে; তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।’
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এই ফাঁস কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর হওয়া সাইবার আক্রমণের ফল নয়; বরং অনেক সময় ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করা তথ্য একসাথে করে কিছু সময়ের জন্য অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। তখনই সেগুলো খুঁজে পান সাইবারনিউজের গবেষকরা।
আরও পড়ুন: মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারে দ্বিগুণ কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার
সন্দেহের তীর ইনফোস্টিলার ম্যালওয়ারের দিকে
এই ধরনের ফাঁসের পেছনে সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে গবেষকরা ‘ইনফোস্টিলার’ নামক ম্যালওয়্যারকে দায়ী করেছেন। এটি এমন এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ঢুকে সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে।
তবে এই ফাঁস হওয়া তথ্য কারা ব্যবহার করছে বা কোথায় ব্যবহার হচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান বিশ্বে সাইবার হামলা ক্রমেই বাড়ার কারণে ‘সাইবার হাইজিন’ বা সাইবার নিরাপত্তা চর্চা বজায় রাখাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন।
করণীয় কী?
তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে আশঙ্কা থাকলে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে— পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন সাইটে ব্যবহার না করা; পাসওয়ার্ড ম্যানেজার বা পাসকি ব্যবহার করা, যাতে নিরাপদভাবে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করা যায়; দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) চালু করা। এটি মোবাইলফোন, ইমেইল বা ইউএসবি-কী এর মাধ্যমে আরও একটি নিরাপত্তার স্তর যোগ করে।
১৬৬ দিন আগে
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি সিলেট ইসকন মন্দিরের নয়: পুলিশ
ফেসবুকে সিলেট ইসকন মন্দিরে বিপুল অস্ত্র, তার পাশে বসে থাকা দুই ব্যক্তির ছড়িয়ে পড়া ছবিটি সত্য নয়, গুজব বলে জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এসএমপির এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতিসম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে যে, ‘সিলেটে এ যেন ইসকন মন্দির নয়, এ যেন একেকটা অস্ত্রের গুদাম।’
আরও পড়ুন: ইসকনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী, জানতে চান হাইকোর্ট
প্রকৃতপক্ষে, এই ছবিটি সিলেটের ইসকন মন্দিরের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। এটি একটি পুরানো ছবি এবং অন্য কোনো স্থানের ঘটনা।
সিলেট ইসকনের কার্যক্রম সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে আছে। যাচাই না করে এ ধরনের তথ্য শেয়ার না করতে এবং গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে এসএমপি।
৩৭০ দিন আগে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
দ্রুত বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যুগে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি 'টিচার্স ওয়ার্ল্ড: জার্নাল অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ' শিরোনামে একটি গবেষণার প্রতিবদেন প্রকাশ করেছেন সাইফুল ইসলাম ও এ বি এম নাজমুস সাকিব। তাদের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে শিক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে।
গবেষণার ফলাফলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ধরন সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিবর্তনের ধরন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
গবেষণার মূল ফলাফল
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর জন্য কাঠামোগত জরিপ এবং আধা-কাঠামোগত সাক্ষাৎকারসহ একটি মিশ্র-পদ্ধতি পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছিল।
সামাজিক শিক্ষা তত্ত্বের (এসএলটি) মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় এ গবেষণা। এতে ফেসবুক ও ইউটিউবের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা আনুষ্ঠানিক একাডেমিক অধ্যয়ন এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
তত্ত্বটি পর্যবেক্ষণ, অনুকরণ ও মডেলিংয়ের মাধ্যমে শেখার উপর জোর দেয়।
ডেমোগ্রাফিক অন্তর্দৃষ্টি
উত্তরদাতাদের প্রায় অর্ধেক ছেলে-মেয়ের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
২০ বছরের নিচে ছাত্রছাত্রীদের ১৩.১% এবং ২২ বছরের উপরে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৪০% গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। স্নাতকে অধ্যয়নরত, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার সব একাডেমিক স্তরেই বিস্তৃত।
শিক্ষায় ফেসবুক
গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে, ফেসবুক একাডেমিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৯২.৩% উত্তরদাতারা তাদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য এটি ব্যবহার করে। সাধারণত যেসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে:
· অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।
· মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে একাডেমিক উপকরণ বিনিময় করে নেওয়া।
· লাইভ সেশনের সময় প্রতিক্রিয়া প্রদান।
· গ্রুপ আলোচনায় অংশ নেওয়া।
ফেসবুক সহযোগিতামূলক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে, শিক্ষার্থীরা কোর্সের সামগ্রী এবং ক্লাসের বক্তৃতা লিংকগুলো আপলোড এবং বিনিময় করে নেন।
ইউটিউবের ভূমিকা বাড়ছে
একাডেমিক প্রেক্ষাপটে ফেসবুক আধিপত্য বিস্তার করলেও ইউটিউব অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বহুল ব্যবহৃত। প্রায় ৭৫.৪% শিক্ষার্থী অনানুষ্ঠানিক পড়াশোনার জন্য ফেসবুকের উপর নির্ভর করেন, যেখানে ৭৯.২% শিক্ষার্থী ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছেন।
জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল টেন মিনিট স্কুল, ফারজানা ড্রয়িং একাডেমি এবং ফাইভ মিনিট ক্রাফটস গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিওগ্রাফি থেকে শুরু করে স্পোকেন ইংলিশ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের কন্টেন্টের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনেক উত্তরদাতা ইউটিউবকে "সব শিক্ষকের শিক্ষক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিনামূল্যে, অ্যাক্সেসযোগ্য শিক্ষামূলক উপকরণগুলোর বিশাল ভাণ্ডারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
মহামারির প্রভাব
কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, লকডাউনের সময় সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলো ঐতিহ্যবাহী শ্রেণিকক্ষের জায়গা নিয়েছে।
অনলাইন শিক্ষা আদর্শ হয়ে ওঠে, শিক্ষার্থীরা কোর্সওয়ার্ক, টিউটোরিয়াল ও ভার্চুয়াল গ্রুপ আলোচনার জন্য ক্রমবর্ধমান ফেসবুক ও ইউটিউবের উপর নির্ভর করেন।
এই পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতের বাধাগুলো মোকাবিলায় সামাজিক মাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায়েএকীভূত করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও গবেষণার আহ্বান জানান
গবেষকরা শিক্ষামূলক কার্যক্রমে লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা বিশ্লেষণের জন্য আরও সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার সুপারিশ করেছেন।
তারা একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলোর গভীরতর অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন।
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার হাতিয়ার হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বৈত ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহারের ধরনগুলো বিকশিত হতে থাকায়, বাংলাদেশের শিক্ষায় তাদের গভীর প্রভাব থেকে যাচ্ছে।
৩৭৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি বা প্ররোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সতর্কতা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া কোনো ধরনের ভুয়া বার্তা, উস্কানি বা প্ররোচনামূলক পোস্টে বিভ্রান্ত না হতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ নির্দেশনা দেয় দলটি।
নির্দেশনায় যেকোনো তথ্যের জন্য আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ইমেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার উস্কানি বা প্ররোচনার ফাঁদে পা দেবেন না। সারাদেশে জুলাই মাসের শেষ থেকে আগস্টের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর যত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেগুলোর ছবি ও ভিডিও টুইটার[এক্স], ফেসবুক, ইউটিউবে প্রচার করুন। দেশবাসীকে জানাতে হবে কি নির্যাতন হয়েছে গত দেড় মাসে আওয়ামী লীগের ওপর।’
জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে তাই কোনো ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট বা ভুয়া বার্তায় বিভ্রান্ত না হতে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়।
দলটি পোস্টে আরও নির্দেশনা দিয়েছে, ‘প্রতি মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ও নেতার কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে যে ক্ষতি হয়েছে তা দেশের মানুষকে জানান। বর্তমানে যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের কাছেও আমরা দাবি জানাব সব হামলা, নির্যাতন, ভাঙচুর, লুটপাটের বিচার করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
এছাড়াও দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি জয়ের
৪৪৫ দিন আগে
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ’ এমন একটি পোস্ট দেখা যেতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে।
পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’
ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন গুজব' বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি জানায়, তদন্তে দেখা গেছে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিখোঁজ হিসেবে যাদের পোস্ট করা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে। আবার পাওয়া গেলেও তা আর জানানো হয় না।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’
একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই।’
তিনি আরও জানান, গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। একইভাবে, ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে’ এমন তথ্য সঠিক নয়।
এছাড়া নিখোঁজ হওয়ার শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি।
৫১৫ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ, যুবক গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৩) নামের এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী ওই যুবকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা করেন। এরপর বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে হাকিমপুর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার ধরন্দা এলাকার সিপি রোডের মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম তার নিজের ফেসবুক আইডিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে পোস্ট দেন।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘কোরবানির মাংসের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হোক।’ এই পোস্টকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এই ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ওই যুবকের এমন পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাদের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুধবার দুপুরে হাকিমপুর থানায় মামলা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে জাহাঙ্গীর আলম তার নিজ ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই অভিযোগে বুধবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৫৩২ দিন আগে
বিমানের নামে ভুয়া ফেসবুক পেইজ, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ এবং ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
এই ভুয়া ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ এবং ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে বিমান বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
ভুয়া এই নিয়োগে ‘পাসপোর্ট চেকার’ পদ উল্লেখ করা হয়েছে। পাসপোর্ট চেকার নামে কোনো পদই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নেই।
আরও পড়ুন: টার্বুলেন্সের কবলে কাতার এয়ারওয়েজের বিমান, আহত ১২
প্রতারক চক্র ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিমানের চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ধরনের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রকাশ করেনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিমানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম ও লোগো কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা, তাই অনুমতি ব্যতীত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম এবং লোগো ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত ভুয়া ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম ও লোগো ব্যবহার করা অন্যান্য ভুয়া ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোনো অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে বিমানের বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইট শুক্রবার সন্ধ্যায়
১৭ ঘণ্টা পর শাহ আমানত বিমানবন্দর চালু
৫৪৬ দিন আগে
মেটার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তথ্যে ঘাটতি রয়েছে: আওয়ামী লীগ ওয়েবটিম
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য মেটার ‘অকার্যকর ব্যবস্থাপনা’ উল্লেখ করে নির্দেশিকা মেনে চলতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়কারী তন্ময় আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের নিরলস প্রবাহ রুখতে মেটার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন তিনি। পোস্টে তন্ময় বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে নিয়ে ফেসবুকে বহুবার বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিরোধীদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে সম্প্রতি ৫০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। গত ২৯ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা বিভিন্ন দেশ থেকে ‘সংঘবদ্ধ অসত্য আচরণ’ (কোঅর্ডিনেটেড ইনঅথেনটিক বিহেভিয়ার) করার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে।
তন্ময় বলেন, ‘মেটাকে আমি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ভিত্তিক আইআরআই-এনডিআই জরিপটি দেখতে অনুরোধ করব, যা স্পষ্ট করে যে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার শিকার হয়েছেন।’
‘এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বিএনপি-জামায়াতের কটূক্তি ও মিথ্যা তথ্য কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদেরই হয়রানি করেনি, সুশীল সমাজের সদস্যদেরও রেহাই দেয়নি তারা।’
আরও পড়ুন: টুইটার ও ফেসবুকে তারেক রহমানের বক্তব্যের জবাবে যা বললেন তন্ময়
এ সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে উসকানি ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিস্তার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। সম্প্রদায়িক হামলায় বিএনপি-জামায়াত জোট এই প্ল্যাটফর্মটি কোনোপ্রকার বাধা ছাড়াই ব্যবহার করেছিল।
পোস্টে বাংলাদেশের ব্যাপারে ফেসবুকের বস্তুনিষ্ঠতার অভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধ-বিরোধী আন্দোলনকারীরা তাদের কণ্ঠ তুলেছে। তারা মনে করেন ফেসবুক তাদের কণ্ঠরোধ করেছে।’
এ সময় মেটার প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘যতদূর জানি, আউটসোর্সের মাধ্যমে তৃতীয় এক পক্ষকে দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে মেটা। কেন বিএনপির মিডিয়া সেলের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধ হয়নি, (মেটা) কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে খোঁজ নিতে পারে। তৃতীয় এই পক্ষটির কথায় নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে কেন একটি রাজনৈতিক দলের সূর প্রতিধ্বনিত হলো?’
‘এটা সবাই জানে যে, বিএনপির মিডিয়া সেল এমন কন্টেন্ট ছড়িয়েছে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার উসকানি দেয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক চিহ্নিত হলেও তারেক রহমানের অপরাধের বিষয়টি গোপন রেখে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। এসব বিষয়ে মেটাকে নজর দিতে দেখা যায়নি।’
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে তন্ময় হামলার শিকার হন। সেসময় তার শরীরে ১৩০টির বেশি সেলাই লাগে। সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে বহুবার বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ফেসবুক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
পোস্টের সঙ্গে বিএনপি-সমর্থিত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ‘সহিংসতা উস্কে দেওয়া ও বিভ্রান্তি ছড়ানো’ মিডিয়া রিপোর্টের একটি কোলাজ যুক্ত করেছেন তিনি। ছবিতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের যেসব বিষয় মেটা দেখতে চায় না।’
৫৪৮ দিন আগে
সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মিশুকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) উপজেলার দক্ষিণ চরসাহাভিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। একই কেন্দ্রে তিনি দোয়াত–কলম প্রতীকের পোলিং এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইয়াকুব আলীকে আটক করেন।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল বারী ভূইয়া বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে বুথের সামনে সিল মারা ব্যালটের ছবি তোলার বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসার পর তিনি লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে যান।
ছবিতে দেখা যায়, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনকে দোয়াত–কলম প্রতীকে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাখাওয়াতুল হক বিটুকে টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট দেন। ভোট প্রদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) প্রচার করে তিনি লিখেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
এ বিষয়ে ইয়াকুব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভোট শুরু হয়েছে তাই এমনি দিয়েছি।
ব্যালটে ভোট দিয়ে এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা আইনসিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভুল করেছি, ছোট ভাই হিসেবে মাফ করে দিয়েন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপরও ওই ব্যক্তি কীভাবে মোবাইল ব্যবহার করছেন তা বোধগম্য নয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বলেন, বুথের ভেতরে সিল মারা ব্যালট পেপার (ছবি তুলে) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করায় একজন ভোটারকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের বেতন-বোনাস আটকে দিয়েছে পিএসজি
লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
৫৫৪ দিন আগে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ফেসবুকে পোস্ট করে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরোজ অবন্তিকা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার দিকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেনারেল হাসপালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল করিম খন্দকার।
নিহত ফাইরোজ কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে অবন্তিকা লিখেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী। আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন-অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় দূতাবাসে কর্মরত স্প্যানিশ নাগরিকের আত্মহত্যা
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।’
সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘আমি মেয়েটিকে দেখেছি প্রায় দেড় বছর আগে। তাদের কয়েকজন সহপাঠী প্রক্টর অফিসে এসেছিল। সে সময় তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার, আমি ও আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর অফিসে ছিলাম। মেয়েটি ফেক আইডি ব্যবহার করে তার বন্ধুদের মেসেজ পাঠাত। আমাদের বলা হয়েছিল যে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরে মেয়েটি তার দোষ স্বীকার করে। তখন তার পরিবারের সদস্যরা জিডি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।’
আরও পড়ুন: স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিমের সবাই বৈঠক করে তাকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কোনো সমস্যা না থাকলে জিডি প্রত্যাহার করা হবে। আমি কখনো মেয়েটির সঙ্গে একা কথা বলিনি। দয়া করে ঘটনার তদন্ত করুন। আমি দোষী হলে আমাকে শাস্তি দিন। কিন্তু দয়া করে আমাকে আগে থেকে দোষী বানাবেন না। নইলে আমাকেও আত্মহত্যা করতে হবে।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। নিহত শিক্ষার্থী তার মৃত্যুর জন্য আমাদের প্রক্টর টিমের এক সদস্যকে দায়ী করেছেন। মাননীয় উপাচার্য মৌখিকভাবে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ শিক্ষার্থী: আঁচল ফাউন্ডেশন
৬২৯ দিন আগে