মহিউদ্দিন আহমেদ
সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সচিব, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইউরোপের পাকিস্তান দূতাবাসগুলোতে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকদের মধ্যে মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন। ১৯৭১ সালে তিনি লন্ডনের পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিবের পদ ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সার্বক্ষণিক কাজ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান জাতি সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পড়ুন: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমেদ’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
সাবেক রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমেদ’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সাবেক রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমেদ-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও সাহসী কূটনীতিক।
মরহুম মহিউদ্দিন আহমেদ -এর সঙ্গে নিজের দীর্ঘকালের সুসম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মহিউদ্দিন আহমেদের অবদান অবিস্মরণীয়। বিশেষ করে, ১৯৭১ সালে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এক সমাবেশে সরকারি চাকুরির মায়া ত্যাগ করে মহিউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তানের পক্ষত্যাগের সাহসী ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ইউরোপে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করা বাংলাদেশি কূটনীতিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে দেশ এক অমূল্য সম্পদ-ব্যক্তিকে হারালো।
তিনি মরহুম মহিউদ্দিন আহমেদ-এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
ইউএনবির সাবেক বার্তা সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই
প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) সাবেক বার্তা সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই। বুধবার ভোর ৫টার দিকে ৭৯ বছর বয়সে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর নিজ বাসভবনে তিনি মারা গেছেন।
মহিউদ্দিন আহমেদের বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুর শোক না কাটতেই বাবা হারালেন সাংবাদিক রেজোয়ানুল হক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য প্রবীণ এই সাংবাদিক ১৯৪৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। গত সেপ্টম্বর মাস থেকেই তিনি পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গুণী এই সাংবাদিক রেখে গেছেন তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও সহকর্মী।
আরও পড়ুন: কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই
বুধবার বাদ জোহর নামাজ-ই-জানাজা শেষে বনশ্রীর স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানা যায়।
৩ বছর আগে
ইউপিএল প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশনা জগতের পথিকৃৎ মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই
বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের পথিকৃৎ, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই।
মঙ্গলবার রাত ১২ টা ৫৯ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে মাহরুখ মহিউদ্দিন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
তার নামাজে জানাজা মঙ্গলবার জোহরের নামাজ শেষে গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭৭ বছর বয়সী বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার একজন নিবেদিত মানুষ প্রায় ২০ বছর ধরে পার্কিনসন রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি কোভিডের সাথে লড়াই করে সেরে উঠেছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা গেছেন
মহিউদ্দিন আহমেদ ১৯৪৪ সালে ফেনীর পরশুরামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক পাস করার পরে, মহিউদ্দিন পাকিস্তান কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা অধ্যয়ন করেন।
সাংবাদিকতা অনুশীলনের পাশাপাশি তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও গণসংযোগে সহকারী প্রভাষক হিসাবে শিক্ষকতা করতেন।
মহিউদ্দিন সাংবাদিকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন, তবে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে তিনি স্থায়ীভাবে একাডেমিক অঙ্গনে প্রবেশের ডাক পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:বরেণ্য সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী মারা গেছেন
যাইহোক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিকেশনস (ওইউপি) এর সম্পাদনা এবং প্রকাশনাগুলি তাকে এতটাই আকৃষ্ট করেছিল যে এর জন্য তিনি ১৯৬৯ সালে পিএইচডি পড়াশুনা ছেড়ে দেন।
পরে ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ওইউপি এর উত্তরসূরি হিসাবে একটি নতুন প্রকাশনা সংস্থা ইউপিএল প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশে মানসম্পন্ন গবেষণা-ভিত্তিক ইংরেজি বইয়ের প্রকাশনার যে ধারা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তা আজ অবধি অন্য কেউ করতে পারেনি।
৩ বছর আগে