চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এলো ‘জলপরি’
প্রাণী বিনিময়ের অংশ হিসেবে এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এলো আরও একটি জলহস্তী।মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছে ৯ বছর বয়সী স্ত্রী জলহস্তী জলপরি।
এর মধ্য দিয়ে চিড়িয়াখানার ১২ বছর বয়সী একমাত্র পুরুষ জলহস্তী ‘লাল পাহাড়’ একজন সঙ্গী পেল।
২১ সেপ্টেম্বর লাল পাহাড়কে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মারা গেল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিংহী ‘নোভা’
চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সভাপতির উদ্যোগে প্রাণী বিনিময়ের আওতায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় এবং এর বিনিময়ে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দেওয়ার সিদ্ধান্তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব অনুমতি দেন।
তিনি আরও বলেন, এর আওতায় জেলা প্রশাসনের আওতাধীন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘ ১৯ সেপ্টেম্বর রংপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছে দেওয়া হয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় এক জোড়া জলহস্তীর মধ্যে প্রথম ধাপে একটি পুরুষ জলহস্তী লাল পাহাড় (বয়স ১২ বছর) চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।
এই কর্মকর্তা জানান, এর আগে অদল-বদল প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রাম থেকে একটি সিংহী দিয়ে রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে আনা হয়েছিল একটি সিংহ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দুটি বাঘের বিনিময়ে দুই জলহস্তী পাচ্ছে
১ বছর আগে
মারা গেল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিংহী ‘নোভা’
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিংহী ‘নোভার’ মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে মারা যায় নোভা।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে সিংহী নোভা এক বছর ধরে প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকত। পেছনের পা ছয় মাস ধরে প্রায় অচল ছিল এবং খাবারও খুব কম খেত। গত ১০ দিন ধরে সে কিছুই মুখে তুলছিল না। শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। নোভা প্রায় ১৮ বছর ৪ মাস বেঁচেছিল।
তিনি জানান, নোভার জন্ম ২০০৫ সালের জুনে। নোভার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। মাটিচাপা দেওয়ার আগে চামড়া সংরক্ষণ করা হবে। এরপর কঙ্কালও সংগ্রহ করা হবে। ভবিষ্যতে চিড়িয়াখানায় জাদুঘর হলে সেখানে নোভার চামড়া রাখা হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, সিংহ দম্পতি রাজ-লক্ষ্মীর ঘরে ২০০৫ সালের ১৬ জুন দুইটি মেয়ে সিংহ বর্ষা ও নোভার জন্ম হয়। তাদের জন্মের কিছুদিন পর তাদের বাবা রাজ এবং ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মা লক্ষ্মী মারা যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার: সিংহী ‘নদী’ মারা গেছে
২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সিংহ নভ এবং সিংহী নোভাকে এক খাঁচায় দেওয়ার সময় বেশ আয়োজন করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সিংহী নোভার বয়স ছিল ১১ বছর এবং নভর ১৩ বছর। মানে সিংহ-সিংহী প্রজনন সময়ের শেষ দিকে এসে এক হয়েছিল। নভর স্বাভাবিক চাঞ্চল্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি তার প্রজনন ক্ষমতাও লোপ পেয়েছিল। তাই স্বাভাবিক প্রজনন হয়নি।
২০২২ সালের ১১ নভেম্বর প্রায় ১৯ বছর বয়সে সিংহ নভ বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেলে সিংহী নোভা আবারও একা হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, সাধারণত সিংহের স্বাভাবিক জীবনকাল ১৫ থেকে ১৭ বছর। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিংহী নোভা ১৮ বছরের বেশি সময় বিনোদন দিয়েছে। যখন চিড়িয়াখানায় তেমন প্রাণী ছিল না, তখন সিংহী নোভা মূলত চিড়িয়াখানায় প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার: সিংহী নদীর অবস্থা আশঙ্কাজনক
১ বছর আগে
ইনকিউবেটরে জন্ম নিল ২৮ অজগরের বাচ্চা
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কৃত্রিম পদ্ধতিতে তৈরি ইনকিউবেটরে ৩১ ডিম থেকে জন্ম নিয়েছে ২৮টি অজগরের বাচ্চা।
প্রায় ৬৭ দিন ডিমগুলো ইনকিউবেটরে রাখার পর মঙ্গলবার (২২ জুন) এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুন) চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান, গতকাল অজগরের ৩১টি ডিম থেকে ২৮টি বাচ্চা ফোটানো হয়েছে। তবে তিনটি ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফোটেনি।
তিনি বলেন, এর আগে ২০১৯ সালের জুন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ২৫টি অজগর সাপের বাচ্চা ফোটানো হয়েছিল। যা পরবর্তীতে বন্য পরিবেশে ছাড়া হয়। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ২২টি বড় অজগর সাপ রয়েছে। জন্ম নেয়া অজগরের বাচ্চাগুলো ১৫ দিন পর চামড়া বদল করবে। আগামী তিন মাস পর্যন্ত এগুলোকে ইনকিউবেটরেই রাখা হবে। তিনমাস পর এদের প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার
শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বাচ্চাগুলো চামড়া বদল করার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করব। তিনি যদি নির্দেশনা দেন বন্য পরিবেশে ছাড়ার জন্য তখন বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেব।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সচিব এবং হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রাণী সংরক্ষণ, গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদনে ভূমিকা রাখছে। ২০১৯ সালের জুনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ২৫টি অজগর সাপের বাচ্চা ফুটানো হয়। যা পরবর্তীতে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল ৩১টি ডিম থেকে ২৮টি অজগর সাপের বাচ্চা ফোটে। দীর্ঘ ৬৭ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে। সাপ সংরক্ষণে চিড়িয়াখানার এই কার্যক্রম মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে জানান রুহুল আমিন।
আগের জেলা প্রশাসকদের মতো বর্তমান জেলা প্রশাসকও প্রাণী সংরক্ষণে চিড়িয়াখানার কার্যক্রম আরও বাড়ানো জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শুভ।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার থেকে অজগর উদ্ধার
২০১৯ সালের জুনে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ডিম থেকে অজগরের ২৫টি বাচ্চা ফোটানো হয়। যা পরে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল বাংলাদেশে কোনো চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে সাপের ডিম সংগ্রহ করে বাচ্চা উৎপাদন এর আগে কেউ করেনি।
৩ বছর আগে