অবাধে চলাচল
মানিকগঞ্জে লকডাউনে তৎপর প্রশাসন, অবাধে চলাচল মানুষের
মানিকগঞ্জে লকডাউন মানাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও শহরের রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করছে।
এতোসব কিছুর মধ্যেও মানুষকে থামানো যাচ্ছে না। শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাস্তা ও মহাসড়ক দিয়ে অবাধে চলাচল করছে মানুষজন। বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরছে না।
মহাসড়কে দিয়ে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ও রিকশা ভ্যান, পিকআপ ভ্যান ও ইজিবাইকে করে মানুষ দুরযাত্রায় রওয়ানা হচ্ছেন। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসগুলো পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়লেও নানান অযুহাত দেখাচ্ছে যাত্রীরা। বেশ কিছু প্রাইভেটকারকে পুলিশ জব্দও করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: একদিনে শনাক্ত ৬ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৮১
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে চড়েও মানুষজন ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে যেতে দেখা গেছে। বিভিন্ন পন্থায় মানুষজন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছেছে। পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি পরিষেবার গাড়ি পারাপারে জন্য ফেরি সার্ভিস খোলা থাকায় এই সুযোগে মানুষজনও পারাপার হচ্ছে।
ফেরি কর্তৃপক্ষ বলছেন, জরুরি পরিষেবা ও পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপারের জন্য তাদের ১৫টি ফেরিই চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে লঞ্চ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, তারা কঠোর লকডাউ পালেন সচেষ্ট রয়েছেন। জরুরি পরিষেবা ও পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া কোন ধরনের যানবাহন যেন চলাচল করতে না পারে সেজন্য তাদের অভিযান জোরদার রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। সব মিলিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৬১জন। মোট মারা গেছেন ৪৯ জন। গত দুই দিনে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে সংক্রমণ হয়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ।
৩ বছর আগে