খাদ্য মজুদ
খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতের শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) খাদ্য অনিরাপত্তা সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সক্ষমতা জোরদার এবং খাদ্য অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে উৎপাদন সহায়তার জন্য নতুন এক ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়ন সুবিধা চালু করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থায়নের একটি মূল অংশ টেকসই উৎপাদন ও খাদ্য মজুদ সরবরাহে সহায়তা করা হবে। আর এই অর্থায়ন নতুন গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
এই অর্থ আইএফসি’র খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য মূল্য শৃঙ্খলে বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে। আর আইএফসি’র দক্ষতা রয়েছে এরকম খাতগুলো হচ্ছে-কৃষি ব্যবসা, উৎপাদন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, সেইসাথে আর্থিক খাত ও বাণিজ্য অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
আইএফসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাখতার দিওপ বলেন, ‘সাপ্লাই চেনকে শক্তিশালী করে এবং জনগণের সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্যের প্রবেশাধিকার রয়েছে ও তা বৃদ্ধি করতে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করে এই উদ্যোগটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।’
ইউক্রেনের যুদ্ধ ও কোভিড মহামারি থেকে একটি অসম বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার ক্ষুধা ও অপুষ্টির ক্রমবর্ধমান মাত্রা যোগ করেছে, যা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান তীব্র আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর দ্বারা আরও খারাপ হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে এবং ফলন হ্রাস পাচ্ছে।
প্ল্যাটফর্মটি খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের তিন হাজার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিকে পরিপূরণে সহায়তা করবে। কারণ আইএফসি অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন, ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার লক্ষ্য হবে খাদ্য পণ্যের বাণিজ্য সহজতর করা, কৃষকদের ইনপুট সরবরাহ করা, ইউক্রেনসহ প্রধান উৎসগুলোকে দক্ষ উৎপাদন সমর্থন করা ও গন্তব্য দেশগুলোতে খাদ্য পণ্যের কার্যকর বিতরণ করা। এই অর্থ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে এবং এর জলবায়ু ও পরিবেশগত পদচিহ্ন কমাতে সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে কার্যকর শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সারের প্রবেশাধিকার উন্নত করা, সার উৎপাদন ও ব্যবহারকে পরিবেশবান্ধব করা, ফসলের ক্ষতি ও খাদ্যের অপচয় কমানো, সাপ্লাই চেনের দক্ষতা উন্নত করা এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা প্রশমন করা।
আইএফসি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য। যা বাংলাদেশসহ উদীয়মান বাজারে বেসরকারি খাতের ওপর নজর রাখা বৃহত্তম বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। ২০২২ অর্থবছরে আইএফসি উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেসরকারি কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রেকর্ড তিন হাজার ২৮০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার তৈরির আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে
খাদ্য মজুদের জন্য স্থান সংকট হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে, আর মজুদের জন্য স্থান সংকট হবে না।
সোমবার নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর লোকাল সাপ্লাই ডিপো (এলএসডি) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ওএমএস দ্বিগুণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, ‘ভালো চাল সংগ্রহ হচ্ছে। কোথাও খারাপ চাল দিলে সেটা রিজেক্ট করা হচ্ছে। কেউ যদি খারাপ চাল সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখতে চায় বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জি.এম. ফারুক হোসেন পাটওয়ারীসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অনেকেই মনে করেন সরকারের খাদ্যের মজুদ কমে গেছে। তাদের ধারণা সঠিক নয়। খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য মজুদের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে ‘বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কার্যক্রম চলছে তার সাথে সঙ্গতি রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপয়োগী করা হচ্ছে। আঞ্চলিক খাদ্য কার্যালয়, জেলা কর্যালয়, উপজেলা কর্যালয়সহ খাদ্যগুদামসমূহ অনলাইন মনিটরিং এর আওতায় আসলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায় সে লক্ষ্যে স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে।
আরও ৫টি স্টিল সাইলো শিগগিরই নির্মাণের কাজ শুরু হবে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র বলেন, এ সকল সাইলোতে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে –যা দুই বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুণগতমান ও পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ-ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেওয়া সম্ভব হবে। স্টিল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই ক্ষণগণনা শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাজের গুণগতমানের সাথে কোন সমঝোতা হবে না উল্লেখ করে চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি সময় মতো কোয়ালিটি কাজ নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফড়িয়াদের কাছ থেকে ধান কিনবে না সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এছাড়াও বক্তব্য দেন বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র এডভাইজর সামিরা জুবেরী হিমিকা ও কনফিডেন্স ইনফ্রাষ্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ এর ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম উদ্দিন।
পরে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদপ্তরের ৬৪ জেলায় ১২ শত সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং সম্ভব হবে এবং একই সাথে অধিদপ্তরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিতে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। অধিদপ্তরের সাথে কনফিডেন্স ইনফ্রাষ্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ ও জিএসআই ইউএসআই জেভির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির শর্তানুসারে তারা বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ করবে। ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার এ সাইলো খাদ্যের মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও পুষ্টিমান বজায় রাখতে ভূমিকা র
৩ বছর আগে