ইউনিট
বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়াল সরকার
সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুচরা গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এতে বলা হয়, রেন্টাল সহ সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য বর্তমানে ১৪ টাকার পরিবর্তে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা এবং ক্যাপটিভ, ছোট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এই দাম নির্ধারণ করে।
নতুন আইনটি সরকারকে যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখতিয়ারকে পাশ কাটিয়ে সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে।
এই ধরনের গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি বাড়ানো হয় এবং সেটি ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি বলেছেন, গ্যাসের দাম আবার সমন্বয় করা হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
৮ মাস আগে
সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরায় একটি কন্টেইনার ডিপোর সামনে তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোট কুমিরার ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে ওই তুলার গুদামে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি।
এর আগে, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন প্লান্টের ৩ মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
কুষ্টিয়াতে করোনায় আরও ৮ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা: এম এ মোমেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১২
করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১৬৫ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানানো হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা: এম এ মোমেন জানান, হাসপাতালে আপাতত অক্সিজেনের কোন সংকট নেই। আর এখন থেকে প্রতিদিন ১শ অক্সিজেন সিলিন্ডার কুষ্টিয়া থেকেই রিফিল করা সম্ভব হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। বাকি অক্সিজেন সিলিন্ডার আগের মত প্রতিদিন যশোর থেকেই রিফিল করে আনা হবে।কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৮১ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪২। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭ হাজার ৭২৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৫ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০২ জন।
৩ বছর আগে
রাজশাহী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৭ জনের মৃত্যু
গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে আটজনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় মারা যাওয়াদের মধ্যে নয়জন রাজশাহীর। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের চারজন, নাটোরের দুই ও নওগাঁর দুইজন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় আবারও মৃত্যু একশ’ ছাড়াল
এ নিয়ে ১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৬ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৯১ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৩৬ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০১ জন। এর আগে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২৪ জুন ১৮ জন এবং সবচেয়ে কম ১২ জুন চারজন। চলতি মাসের ২৬ দিনেই মারা গেল ২৯১ জন।
শামীম ইয়াজদানী আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮, নাটোরের ছয়, নওগাঁর তিন ও পাবনার চারজন। সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৪ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ৯ মৃত্যু
এদিকে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪৩১ জন। যা আগের দিন ছিল ৪২৩। অতিরিক্ত রোগীদের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ২৯৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৬ জন, নাটোরের ৩৩ জন, নওগাঁর ৩৪ জন, পাবনার নয়জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, চুয়াডাঙ্গার একজন, দিনাজপুরের একজন ও ঢাকার একজন। তাছাড় আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ২০ জন।
৩ বছর আগে