সম্পদের তথ্য গোপন
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম বিএনপি নেতার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। জানা গেছে, এদিন মামলাটি সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
এদিন মির্জা আব্বাস আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একই সঙ্গে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নিশ্চিত করেন।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেছিলেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
দুর্নীতি মামলায় স্ত্রীসহ মির্জা আব্বাসের জামিন
১ বছর আগে
পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি পৃথক মামলা করেছে।
তদন্ত শেষে বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত অফিসে মামলা দুটি করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ অফিসের উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক মামলা দুটি করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নারীকে ভোটার করায় ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অভিযোগ অনুযায়ী, সম্পদ বিবরণীতে অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) উপপরিচালক মোতালেব হোসেন ২০০৪ সালের ১১ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৭৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা এবং তাঁর স্ত্রী ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তিন কোটি ১০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মোতালেব প্রায় ১১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তিনি অবৈধভাবে প্রায় ৪২ লাখ টাকা আয় করেন। তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানের সম্পদের বিবরণীতে এক কোটি টাকার তথ্য উল্লেখ করেননি এবং তিন কোটি আট লাখ টাকার বেশি অর্থের কোনও উৎস দেখাতে পারেননি।
৩ বছর আগে