পানিশ্বর ইউনিয়ন
সরাইলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ১ ব্যক্তি নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাদির (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল কাদির ওই ইউনিয়নের সোলাবাড়ি গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার তরিবুল্লা বাড়ির মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুত্রবধূর ‘ছুরিকাঘাতে’ আহত শাশুড়ির মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত আড়াই বছর আগে ইরাক যাওয়ার জন্য এলাকার মৃত নিল মিয়ার ছেলে আদম ব্যবসায়ি রমজান মিয়ার কাছে পাসপোর্ট সহ সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেন আব্দুল কাদির৷ পরে ইরাকে যাওয়ার পর ৯ দিন জেল খেটে দেশে ফিরে আসেন তিনি৷ দেশে ফেরার পর পানিশ্বরের ইউপি চেয়ারম্যান দীন ইসলাম এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিসি সভা বসান।
সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজান ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত দিবে বলে রায় দেয়া হয়। পরে টাকা ফেরত দিলেও পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি আদম ব্যবসায়ী রমজান মিয়া। তা নিয়ে আব্দুল কাদির ও রমজানের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভাবির ছুরিকাঘাতে দেবর খুন
স্থানীয়রা আরও জানায়, আব্দুল কাদির তার পাসপোর্ট ফেরত পেতে বুধবার মাগরিবের পর স্থানীয় পশ্চিম পাড়ার কর্টাইল্যা হাটি এলাকার মলাই মিয়া সরদারের সাথে দেখা করতে যায়। এর আগেও মলাই মিয়া পাসপোর্টটি রমজান মিয়াকে দেওয়ার জন্য বললে সে ফেরত দেয়নি। সরদারের সাথে দেখা করে বাড়িতে ফেরার পথে এলাকার মসজিদের পাশে রমজান মিয়ার পক্ষের প্রায় ২০-২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাদির মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
এতে গুরুতর আহত হলে আব্দুল কাদিরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা মুহাম্মদ সাইফ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহিংসতার বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, ‘একজন নিহত হবার বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা আব্দুল কাদিরকে হত্যা করেছে তা এখনও সঠিক বলা যাচ্ছে না৷ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
৩ বছর আগে