অনুষদ
শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ‘৭ম আন্তর্জাতিক প্রকৌশল গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিক্ষা’ শীর্ষক তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বার্তা প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির পরে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সমানভাবে জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা কিছু বিকল্প সমাধান নিয়ে আসবে যা শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি আরও বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ এবং এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।
এসময় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আব্দুল মোমেন বলেন, ডমেস্টিক রিসোর্স মোবিলাইজেশন ইন্ডাস্ট্রিয়াল-একাডেমিয়া সম্পর্ক বাড়াতে হবে, যা প্রকৌশল গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে। এই ধরনের কনফারেন্স স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য আমাদের বিষয়গুলোতে যথেষ্ট মূল্য যোগ করবে, কারণ এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে কাজ করে।
ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে সপ্তমবারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রকৌশলী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও শিক্ষার উন্নয়নের ওপর তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে ১৯০টির বেশি গবেষণাপত্র বাছাই করা হয়। তিনদিনে চারটি প্লেনারিসহ ৩৪টি টেকনিক্যাল সেশনে এসব গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
১ বছর আগে
শতবর্ষ পেরিয়ে ১০১-এ পদার্পণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
দেশের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ঢাবি শতবর্ষ পেরিয়ে ১০১ বছরে পদার্পণ করল।
১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালে তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
এই শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেবর বেড়েছে। এখন ঢাবিতে বিভাগ ৮৪টি এবং ইনস্টিটিউট ১৩টি। শিক্ষক রয়েছে ১ হাজার ৯৯২ জন ও শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ১৮ জন। ৫৬টি গবেষণাকেন্দ্র হয়েছে।
এ ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের আনাচকানাচে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাস, রচিত হয়েছে ইতিহাসের নানা অধ্যায়। বটতলা, মধুর ক্যানটিন, কলাভবন, শহীদ মিনার এমন কোনও জায়গা নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের, যেখানে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস তার কোনও পর্ব উন্মোচন করেনি।
আরও পড়ুন: পালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এসকল আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
১৯১৭ সালে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের আইন সভা Imperial Legislative Council-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও নিবন্ধনের জন্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশে একটি বিল উত্থাপন করেন। পরে এটি পাস হয় ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯২০’ নামে, যার অধীনে পূর্ব বাংলার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে আজ থেকে ১০০ বছর আগে ১৯২১ সালের ১ জুলাই।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ঢাকার চতুর্থ নবাব, ব্রিটিশ রাজত্বের সময়কার উপমহাদেশের অন্যতম রাজনীতিবিদ, পূর্ব বাংলার শিক্ষা বিস্তারের অগ্রদূত স্যার খাজা সলিমুল্লাহ।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বায়ত্তশাসন লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৩ বছর আগে