তাপদাহ
দাম ভালো থাকলেও তাপদাহে চিন্তিত ঠাকুরগাঁওয়ের মিষ্টিকুমড়া চাষীরা
উত্তরের কৃষি প্রধান এবং কৃষিতে স্বনির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। আশেপাশের অন্য জেলাগুলোর তুলনায় এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও সবজির চাষ হয় অনেক ভালো। মিষ্টিকুমড়ার চাষের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনা। এ জেলার মিষ্টিকুমড়া আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা রয়েছে সারা দেশব্যাপী।
তবে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া চাষ। দাম ভাল থাকলেও গাছের পাতা ও গাছ হলদে বর্ণ ধারণ করায় আশাতীত ফলন নিয়ে ভাবছেন কৃষকেরা। চলমান তাপদাহে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার মিষ্টিকুমড়া কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ বছর জেলায় মোট ৩ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে শুধু মিষ্টিকুমড়ার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি। রবি জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ শেষে বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। গত বছরে ১ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়েছিল। এ জেলায় প্রধানত দুই ধরনের মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে রবি জাতের কুমড়া ইতোমধ্যে বাজারজাত হয়ে গেছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া খেতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া এলাকার সফল চাষি ময়নুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমের শুরুর দিকে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন তিনি। এ মৌসুমে ৩০ একর জমিতে কুমড়া লাগিয়েছেন তিনি। আর প্রায় এক মাসের মধ্যে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি শুরু হবে। বর্তমানে বাজারে মণপ্রতি মিষ্টি কুমড়া সাতশ’ টাকা থেকে নয়শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার কৃষক মজিবর বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছি। গাছে ফুল এসেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে কিছু কিছু গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য। আশা করছি, ফলন ভাল হলে ন্যায্য মূল্য পাব।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় মিষ্টিকুমড়ার ভাল ফলন হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টিকুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। বাজারে দামও ভাল রয়েছে। কৃষকদের মাঝে চলমান তাপদাহ নিয়ে সৃষ্ট নানা সমস্যা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
ঠাকুরগাঁওয়ে গমের আবাদ কমেছে, বেড়েছে ভুট্টা চাষ
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর। টানা তিনদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এই চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এনিয়ে টানা ১৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো।
মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ শেষে এবার অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এ জেলায়।
তাপদহে আমের গুটি, ধানের শিষ ঝরে যাচ্ছে। সবজি খেতসহ সকল প্রকার চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। হাসপাতালে শিশু রোগের সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আজ টানা ১৪ দিনের মতো এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বিকাল ৩টায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সহজে দেখা মিলছেনা বৃষ্টির। এবারের গরমে ভিন্নমাত্রা রয়েছে। বাতাসের আদ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাই তাপদাহের মধ্যে ঠোট শুকিয়ে ও ফেটে যাচ্ছে। বাতাসের জ্বলীয়বাস্প কম থাকায় মূলত এমন হচ্ছে। সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদ তাপ ছড়াচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুনঝরা রোদে ঘরের বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে।
এদিকে, টানা তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন।
তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে ঈদ সামনেও অনেককে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।এছাড়া মাঝারি দাবদাহ থেকে আজ এটা তীব্র তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে।
এই টানা তাপদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র গরমে আর আগুন ঝরা আবহাওয়ায় সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমেছে। পশুপাখীর অবস্থাও করুণ।
অন্যদিকে, নজিরবিহীন গরমে রোজাদারদের অবস্থাও কাহিল।
প্রখর রোদের কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। তীব্র গরমে বয়স্ক ও শিশুরা সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থতার পরিমাণও বাড়ছে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা।
জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না।
দিনমজুর রবিউল মিয়া বলেন, এতো তাপদাহ সহ্য করা কঠিন। জমিতে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারলাম না। এখন এই ছায়ায় বসে আছি। আজ কাজ শেষ করতে দেরি হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ফল বিক্রেতা ইয়ার আলী বলেন, কোনো বিক্রি নেই। গাছের নিচে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছি। এভাবে চললে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। যা ছিলো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একটানা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১১ এপ্রিল অর্থাৎ গত মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওবং গতকাল ১২ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ ১৩ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দুপুরে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ ১৩ এপ্রিল দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এই মৌসুমের ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, গত ২ এপ্রিল থেকে আজ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হলো। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আর আজ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চে গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এপ্রিলে তাপমাত্রা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিষহ
আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
অস্ট্রেলিয়ায় তাপদাহে ভেসে আসছে লাখ লাখ মরা মাছ
দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক মিলিয়ন মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে উঠেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন যে সাম্প্রতিক বন্যা এবং গরম আবহাওয়ার পরে নদীতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মেনিন্ডি শহরের আউটব্যাক শহরের বাসিন্দারা মৃত মাছের ভয়ানক গন্ধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় প্রকৃতির ফটোগ্রাফার জিওফ লুনি বলেছেন, ‘গন্ধ ভয়ানক ছিল, আমাকেও প্রায় একটি মুখোশ পরতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। উপরের দিকের সেই পানিশহরের জন্য আমাদের পাম্পিং স্টেশনে নেমে আসে। মেনিন্ডির উত্তরের বাসিন্দারা বলছে যে নদীর সর্বত্র কড এবং পার্চ ভাসছে।
প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে, বন্যা কমে যাওয়ার কারণে সম্ভবত অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে মাছের মৃত্যু হয়েছে। উষ্ণ আবহাওয়ায় মাছের আরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
পুলিশ এই সপ্তাহে একটি ব্যাপক পরিচ্ছন্নতার সমন্বয় করতে মেনিন্দিতে একটি জরুরি অপারেশন সেন্টার চালু করেছে।
স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন কন্ট্রোলার পিটার থারটেল বলেছেন, অবিলম্বে বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ওপর গুরুত্ব ছিল।
তিনি বলেন, ‘বাসিন্দাদের উদ্বেগের কোন প্রয়োজন নেই কারণ প্রাথমিক মূল্যায়নে মেনিন্দি টাউনশিপ এবং তার চারপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ বজায় রাখতে একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাকার মাছ নিষিদ্ধ করেছে সরকার
রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোও এলাকায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য যেখানে সম্ভব উচ্চ-মানের পানি ছেড়ে দেয়া শুরু করেছে।
মেনিন্ডির বাসিন্দা জ্যান ডেনিং বলেছেন, ‘আমরা সবেমাত্র পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। তারপরে এটি ঘটেছে। এটি এমন যে আপনি একটি শুকনো জগাখিচুড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তারপরে আপনি এই গন্ধের গন্ধ পাচ্ছেন। এটি একটি ভয়ানক গন্ধ এবং এই সমস্ত মৃত মাছ দেখতে ভয়ঙ্কর।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহে ডার্লিং-বাকা নদীতে ব্যাপক মাছ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে একই স্থানে কয়েক হাজার মাছ পাওয়া গিয়েছিল, যখন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সীমান্তের কাছে পুনকারি এলাকায় মৃত মাছের অনেকগুলো খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ২০১৮ সালের শেষের দিকে এবং ২০১৯ সালের শুরুর দিকে তীব্র খরা পরিস্থিতির সময় মেনিন্দিতে নদীতে প্রচুর মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা অনুমান করেছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন মাছের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!
১ বছর আগে
তাপদাহে ক্যান্সাসে হাজারো গবাদি পশুর মৃত্যু
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, উচ্চ আর্দ্রতার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম ক্যান্সাসের ফিডলটগুলোতে হাজার হাজার গবাদি পশু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির শিল্প কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্যান্সাস ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট চূড়ান্ত সংখ্যা জানাতে না পারলেও অন্তত ২০০০ প্রাণীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এজেন্সির মুখপাত্র ম্যাট লারা বলেছেন, এই সপ্তাহের তাপপ্রবাহ থেকে আরও বেশি ফিডলট ক্ষতির রিপোর্ট করা হয়েছে ফলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ক্যান্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটির গবাদি পশু চিকিৎসক এ.জে. টারপফ বলেছেন, তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এমনটা হচ্ছে।
ক্যান্সাস লাইভস্টক অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র স্কারলেট হ্যাগিন্স বলেছেন, গত সপ্তাহে তাপমাত্রা ৭০ ও ৮০ থাকলেও এ শনিবার তারা ১০০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন। যা গবাদি পশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়েছে।
হ্যাগিন্স বলেন, বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, প্রতিটি গবাদি পশুর মূল্য প্রায় দুই হাজার মার্কিন ডলার। ক্ষতির সম্মুখীন অনেককেই ফেডারেল দুর্যোগ প্রোগ্রাম সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১, আহত ২
মাঙ্কিপক্সকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা জারির ব্যাপারে ডাব্লিউএইচও’র কমিটি গঠন
২ বছর আগে
ভারতে তীব্র তাপদাহ, দিল্লিতে রেকর্ড ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা
উত্তর ভারতে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং দেশটির রাজধানী দিল্লির কয়েকটি এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড ৪৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। সোমবার বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্চের পর থেকে এটি দেশটির রাজধানীতে পঞ্চম তাপদাহ।
দেশের অনেক অঞ্চলের কর্মকর্তারা তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে লোকজনকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন।
এই তাপমাত্রা শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিসহ ভালনারেবল মানুষজনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে হিমাচল, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব ও বিহার রাজ্যে প্রধানত তাপমাত্রা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দরিদ্র দেশগুলোতে গম রপ্তানি করবে ভারত
কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তীব্র তাপ থেকে কোনো অবকাশ নাও মিলতে পারে।
এই গ্রীষ্মে উত্তর ভারতে তীব্র তাপদাহ লাখো মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসের শুরুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় চরম তাপের প্রভাব প্রশমিত করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছিলেন।
২ বছর আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এতে বলা হয়, ঢাকা ও টাঙ্গাইল এবং কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দু’য়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রংপুরের রাজারহাট উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
২ বছর আগে
৪ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৫০ মিলিমিটার।
এদিকে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এবং মৌসুমী নিম্নচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ কমার পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
২ বছর আগে
কানাডায় তীব্র তাপদাহ: মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে
কানাডায় কয়েকদিন ধরে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড তাপদাহে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার দেশটির গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া (বিসি) প্রদেশের চিফ করোনার লিসা লাপয়েন্তে বুধবার বিকালে জানিয়েছেন, তারা গত শুক্রবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত অন্তত ৪৮৬ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর ফের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
লাপয়েন্তে বলেন, তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এদের মধ্যে কতজনের মৃত্যু তাপদাহজনিত। যদিও এটি বিশ্বাসযোগ্য যে, মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির জন্য ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রতিকূল আবহাওয়াই দায়ী।
ভ্যানকুভার পুলিশ সার্জেন্ট স্টিভ অ্যাডিসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, কয়েক ডজনেরও বেশি মৃত্যুর অধিকাংশই তাপদাহের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা এমন ঘটনা আগে কখনোই দেখিনি। ভ্যানকুভারের অনেকগুলি বাড়ি সিয়াটলের মতোই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রাখে না, ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে রেকর্ড সংখ্যক চীনা বিমানের অনুপ্রবেশ
মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মত কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লিটন গ্রামে। মঙ্গলবার ওই এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
আরও পড়ুন: জোড়া ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠল জম্মু কাশ্মীরের বিমান ঘাঁটি
কানাডার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর 'এনভায়রনমেন্ট কানাডা' ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও অ্যালবার্টা প্রদেশ এবং সাসকেচুয়ান, নর্থওয়েস্টার্ন টেরিটোরিস এবং ইউকন প্রদেশের কিছু এলাকায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
৩ বছর আগে