পশুরহাট
আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় পশুর হাট বসানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তামাক খেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
এ আদেশর ফলে কোরবানির ঈদে আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক ও আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আযহা ২০২৪ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন।
এ বিজ্ঞপ্তিতে ১১টি হাটের কথা উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আফতারনগ হাটের অংশের বৈধতা নিয়ে রিট করেন আফতাবনগর জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী এবং সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন কাজল।
আইনজীবী শামীম হোসাইন বলেন, আদালত রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে ইজারা বিজ্ঞপ্তির আফতাবনগর অংশ স্থগিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ঢাকায় বসবে ২২টি পশুর হাট
৯ দিন বন্ধ থাকছে সোনাহাট স্থল বন্দরের কার্যক্রম
৭ মাস আগে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি পর্যালোচনায় আন্তমন্ত্রণালয় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
মন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এর সাথে মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। তাই বিভিন্ন প্রতিকূলতা, দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও এগুলোকে পরিহার করা সম্ভব হয় না। গত বছর করোনা মহামারির মধ্যেও সরকার থেকে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ বছর করোনার প্রাদূর্ভাব বেশি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, কুরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমনের পৃথক করতে হবে। পাশাপাশি হাটে আগত সকলে যাতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি এবং জীবাণুনাশক সাবান রাখার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাটএছাড়া, পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহী করার আহবান জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা-বেচার জন্য সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে অনলাইনের পাশাপাশি স্বশরীরে পশুর হাট যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীতিনি বলেন, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি জানতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জনগণকে সচেতন করার জন্য টিভিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনা, কোরবানি এবং বর্জ্য অপসারণের বিষয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গাইড লাইন যথাযথ অনুসরণ করে এই কাজগুলো নির্বিঘ্নে করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে স্বশরীরে পশুর হাটগুলোতে সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সাধারণ মানুষের নিবিড় সম্পর্ক এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকে। তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারি নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করার আহ্ববান জানান।
আরও পড়ুনঃ যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গতবছরও করোনা মহাসংকটে পশুর হাট বসানো হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও কিন্তু পশুর হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে। কোরবানি যতটা সম্ভব নির্বিঘ্নে করা যায় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে সভায় জানান মো. তাজুল ইসলাম।
অনলাইন সভায়, সকল সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
৩ বছর আগে
স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন: পঞ্চগড়ে পশুরহাট বন্ধের সিদ্ধান্ত
পশুরহাটগুলাতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের ফলে পশুরহাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার সদর উপজেলা প্রশাসনের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জেলা শহরের রাজনগর পশুরহাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ওই বৈঠক শেষে জেলা জেলার পাঁচ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আলোচনা সাপেক্ষে পশুরহাট বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ হোসেন, পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন, হাট ইজারাদার মো. মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম জানান, পশুর হাট বন্ধ নিয়ে আলাদা কোন নির্দেশনা ছিল না। সারা দেশের মত পঞ্চগড়েও কঠোর লকডাউন মানলেও রাজনগর পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা কঠিন হচ্ছিল। তাই হাট সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এখন থেকেই রাজনগর পশুর হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে জেলার অন্য পশুর হাটগুলোও পরবর্তী নির্দেশনা না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত জেলার সকল পশুরহাট বন্ধ থাকবে। বিষয়টি প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে