ইটালি
গ্রিসের ১০ হাজার একরের বনাঞ্চল দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত
গ্রিসের বেসামরিক নিরাপত্তা প্রধান নিকোস হারদাইলিস বলেছেন, সাম্প্রতিক ভয়াবহ দাবানল নেভানোর যুদ্ধে তারা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ১০ হাজার একরের বন এলাকায় টানা আট দিন ধরে চলা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছেন এই গ্রিক কর্মকর্তা।
হারদাইলিস জানান, মানুষ হিসেবে যা কিছু করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই তারা করেছেন। দাবানলের কারণে প্রায় ১০ হাজার একরের বন পুড়ে গেছে এবং এই আগুন সামলানোর যুদ্ধে ফায়ার সার্ভিসের এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরে ধীরগতি
ইতোমধ্যে ৬০ হাজারের অধিক মানুষ ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া দুই অগ্নিনির্বাপণ কর্মী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হারদাইলিস এক সংবাদা সম্মেলনে বলেন, ‘গ্রিসের গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ দাবানলের সম্মুখীন হতে হয়নি ফায়ার সার্ভিসকে। গত আটদিনে আমাদের ৫৮৬ টি জায়গার আগুন নেভাতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
১৯৮৭ সালে পর সবচেয়ে ভয়াবহ তাপদাহের মধ্যে দিয়ে গেল গ্রিস। এই তাপদাহের সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে দেশটির বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে গ্রিসের পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্ক এবং ইটালিতেও একই তাপদাহের ফলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বৈশ্বিক জলবায়ূর পরিবর্তনের ফলে এবছর যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল এবং রাশিয়ার সাইবেরিয়াতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশিসহ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪৩
ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইটালি পাড়ি জমানোর সময়ে অভিবাসীবাহী এক নৌকা তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে গেছে। নৌকা ডুবির ফলে, বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ৮৪ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করলেও অন্যান্য অভিবাসীদের ডুবে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী ২৫ হাজার অভিবাসীকে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন বাইডেন
তিউনিসিয়ান রেড ক্রিসেন্টের প্রধান মঙ্গী স্লিম বার্তা সংস্থা এপিকে জানায়, শুক্রবার লিবিয়ার উপকূলীয় শহর জুয়ারা থেকে ইটালির উদ্দেশ্যে ১২৭ জন অভিবাসীকে নিয়ে যাত্রা করে ওই নৌকাটি। তার মতে, নিখোঁজ অভিবাসীদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি, ৪৬ জন সুদানি এবং ১৬ জন ইরিত্রিয়ার নাগরিক।
ভ্যমধ্যাসগার পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া হয়ে উঠেছে অন্যতম ডিপার্চার স্থান। সম্প্রতি আবহাওয়া ভাল থাকায় এই রুটে অভিবাসীদের যাতাযাত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রশংসায় সৌদি কর্তৃপক্ষ
এর আগে গত সপ্তাহে দেশটির কোস্ট গার্ড দেশটির এক দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে সাতজন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তাদের অভিবাসীদের জন্য প্রস্তুতকৃত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
৩ বছর আগে