চিলমারী নৌ-বন্দর
চালু হতে না হতেই চিলমারী নৌ-বন্দরের ফেরি সার্ভিসে বিপত্তি
কুড়িগ্রামের সঙ্গে রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার মানুষদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। এই দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে বছরের পর বছর নানা সংকট আর বিড়ম্বনা পোহাতে হয় বছরজুড়ে। কখনো ব্রহ্মপুত্রের বর্ষা মৌসুম কখনো বা শুষ্ক মৌসুমে। তাদের এ বিরম্বনা কমাতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর চালু করা হয় ফেরি সার্ভিস। জমকালো আয়োজনে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
নৌপথের ২১ কিলোমিটার পথ অনায়াসে পাড়ি দিতে পারবে জেনে আনন্দে উজ্জীবিত হয়েছিলেন এই দুই উপজেলার মানুষজন। কিন্তু মাসখানিক না যেতেই আবারও দেখা দিলো পূর্বের বিরম্বনা। ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকট,ড্রেজিং না করা, পানি না থাকা,ফেরির ধারণ ক্ষমতা ইত্যাদি নানা কারণে থেমে থেমে বন্ধ হয় ফেরি সার্ভিস।
এই রুটের জন্য নির্ধারিত ‘ফেরি সুফিয়া কামাল’ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বলা হয় ব্রহ্মপুত্র নদের জন্য এটি চলাচল উপযোগী নয়।
পরবর্তীতে ছোট ফেরি কদম দেয়া হয়। যার ধারণ ক্ষমতা একেবারে কম। সেটিও গত দুই মাস ধরে থেমে থেমে চলাচল করছে। কখনো বন্ধ হয় আবার কখনো চালু হয়। বর্তমানে এই রুটে ২টি ফেরি সার্ভিস চালু থাকলেও প্রকৃতপক্ষে কোন কাজে আসছে না সাধারণ যাত্রীদের। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ইঞ্জিন চালিত নৌকা গুলোও। প্রতিদিন মাঝের চরে আটকে যাচ্ছে এসব নৌ-যানগুলো।
আরও পড়ুন: স্টেশন, রেল লাইন থাকলেও প্রায় ১ বছর ট্রেনের দেখা নেই চিলমারীতে
১ বছর আগে
ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষদের আর কাঁদতে হবে না: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ব্রহ্মপুত্রের বাম ও ডান তিরের নদী পাড়ের মানুষদের আর কাঁদতে হবে না। ব্রহ্মপুত্রের দুই পাশে ভাঙন রোধে ৩৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার কাজ চলছে। যে সব স্থানে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে, সেখানে জরুরী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একনেকে চিলমারী নৌ-বন্দর নির্মাণের জন্য ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ডিজাইন ইউনিট পরিদর্শন করে ডিজাইন করা হবে। এরপর টেন্ডার আহবান করা হবে। এসব কাজ ও নৌ-বন্দরের কাজ শেষ হলে কুড়িগ্রামের রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর উপজেলার নদী পাড়ের মানুষকে আর কাঁদতে হবে না।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে নেটজালে আটকে গৃহবধূ নিখোঁজ
রোববার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত ঘুঘুমার নামক এলাকার ব্রহ্মপুত্রের বাম তীরে জিও ব্যাগ ফেলে উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি রৌমারী উপজেলা খেদাইমারী, বলদমারা, চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ও রাজিবপুরের কোদালকাটি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, উপ-প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, শাখা প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, রৌমারী প্রেসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা, রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুর কুতুবুল আলম টুল্লু ও বাদশা মিয়া রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার প্রমুখ।
৩ বছর আগে