বাড়বকুণ্ড
সীতকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো আরও ৩টি মৃত ডলফিন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে তিনটি স্ত্রী প্রজাতির মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। এসব ডলফিনের পেটের দিকের অংশ পচে গিয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলেরা উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা সাগর উপকূলে মৃত তিনটি ডলফিন দেখতে পেয়ে বিষয়টি বন বিভাগকে জানায়।
উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, তারা সন্ধ্যায় বিষয়টি জেনেছেন। অন্ধকার নেমে আসায় মৃত ডলফিনগুলো উদ্ধার করতে পারেননি।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সেখানে লোক পাঠিয়ে ডলফিনগুলোকে মাটিচাপা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, তিনটি মৃত ডলফিন উপকূলে ভেসে আসার খবর পেয়েছি। ডলফিনগুলো কেন কীভাবে মারা গেল তার কারণ জানতে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যাব। তবে বিবরণ শুনে তার মনে হয়েছে, উজানে কোথাও জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যেতে পারে। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় সীতাকুণ্ডের উপকূলে ভেসে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ আগস্ট উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর উপকূলেও একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। এনিয়ে সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের সাগর উপকুলে মোট ৪টি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ধারণা করা হচ্ছে উজানে কোথাও জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যেতে পারে। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় সীতাকুণ্ডের উপকূলে ভেসে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বোয়ালখালীর খালে ভাসছে মৃত ডলফিন
৩ বছর আগে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ‘নির্বিচারে’ কাটা হচ্ছে সরকারি গাছ!
ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের নামে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ‘নির্বিচারে’ অনেক সরকারি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকার ইকো-পার্কের গেইট থেকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের সরকারি গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের নামে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার পাশের গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি তুলেছেন।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলা উদ্দিন ও মো. জামশেদ বলেন, সড়কের ওপর নুয়ে পড়া ডাল কেটে ফেলার নামে বহু পুরানো কড়ই, আকাশ মনি, আম, কাঁঠাল গাছসহ বিভিন্ন প্রকারের ফলজ ও বনজ গাছের মূল শাখা কেটে উজার করে ফেলা হচ্ছে। যেভাবে গাছের ডাল ছাঁটাই করছে এতে বেশির ভাগ গাছ মারা যেতে পারে।
সড়ক বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার নির্দেশে এই গাছ-নিধন কর্মযজ্ঞে মেতেছেন ঠিকাদার কর্মীরা। ডাল ছাঁটায়ের নামে বৃক্ষ নিধন করে লাখ লাখ টাকার গাছ বেআইনিভাবে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বাড়বকুণ্ড মান্দারীটোলা এলাকা হতে ঢালীপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কের পূর্ব পাশের সকল প্রকার গাছের প্রায় একই রকম চিত্র দেখা গেছে। কাটা গাছগুলো সাথে সাথে ট্রাকে করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে ছাঁটাইয়ের নামে গাছ নিধনে সড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারি বৃক্ষ-পালনবিদ রফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘ছোট ডাল-পালা কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো বড় ডাল ও মূল অংশ কাটার কথা নয়।’ তিনিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী জুলফিকার বলেন, ‘গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের নামে মূল ডালপালা কেটে ফেলার বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি নিজেও এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। ডাল ছাঁটাইয়ের নির্দেশ কে দিয়েছে তা আমার জানা নেই।’
৪ বছর আগে