লাঞ্ছিত
দিনাজপুর মেডিকেলে সহকর্মীকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের মানববন্ধন
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনি বিভাগে এক চিকিৎসককে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
গত ২৬ ডিসেম্বর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক গাইনি বিভাগের সার্জন চিকিৎসক আরজু শামীমা রহমানকে এক রোগীর স্বামী ও স্বজনদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলনে নামেন মেডিকেল কলেজসহ সহকর্মী চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক লাঞ্ছনা: মোস্তাফিজুরের মনোনয়ন বাতিল দাবি বিএফইউজে-সিইউজের
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, গাইনি চিকিৎসক অধ্যাপক ইসরাত শারমিন, গাইনি চিকিৎসক অধ্যাপক জাহান আরা বেগম মুন্নী, শিশু রোগ চিকিৎসক ফাতেমা ফারজানা, সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর অন্য চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে রেফার্ড করা একজন রোগীনিকে ২৬ ডিসেম্বর সিজারিয়ান অপারেশেনের সিদ্ধান্ত নেন গাইনি বিভাগের সার্জন সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার আরজু শামীমা রহমান।
চিকিৎসকের নির্দেশনা না মেনে সকালে কেক বিস্কুট খেয়ে নেওয়ায় জটিলতার আশঙ্কায় ওই রোগীনিকে এনেসথেসিয়া দেওয়ার মতো ফিটনেস না থাকায় রোগীনিকে তাৎক্ষণিক সিজারিয়ান অপারেশন করতে সম্মত হননি চিকিৎসক আরজু শামীমা রহমান। এসময় তাকে অপারেশন থিয়েটারের সামনে ধাক্কাধাক্কিসহ লাঞ্ছিত করেন ও রোগীনির স্বামী-স্বজনরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন
২ সপ্তাহ আগে
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সোমবার বনানী এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবি ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, হিরো আলম বিকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন।
এদিকে হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিরো আলমের ওপর শারীরিকভাবে হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলম এখন অচেতন অবস্থায় আছ। তাকে স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে।’
প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ ইলিয়াস রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি আরও জানান, হিরো আলমসহ হামলায় আহতেরা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বলেন, ‘যদি তারা নির্বাচনে জয়ীও হয়, তবুও তারা এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে এমন হামলা ন্যাক্কারজনক।’
তিনি আরও জানান, তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সহযোগিতা পাননি। সকাল থেকে শুধু তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে কিছু করা হবে কিছু করা হবে বলে।
তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব: হিরো আলম
১ বছর আগে
ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।
ভুক্তভোগী শরিফুজ্জামান শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চেয়ে শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র এম মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বাংলা বিভাগের তৌহিদ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সজিবসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী শোভন সাড়ে ১০টার দিকে তার ক্লাশ শেষ করে ইবির ডায়না চত্বরে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবাই ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল রাব্বির সমর্থক।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা শোভনকে লাঞ্ছিত করে এবং ঘটনাস্থলেই তাকে আহত করে। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে শোভনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
তারা নির্যাতিতাকে হত্যার হুমকিও দেয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভিকটিমকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী শোভন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাসুদসহ অন্যরা তাকে মারধর করে। তিনি বলেন, আমার ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
ঘটনার কথা স্বীকার করে মাসুদ বলেন, শোভনকে গালিগালাজ করায় তারা তাকে মারধর করে।
ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল রাব্বি বলেন, শোভনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার র্যাগিং ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তারা আরও বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, এবং যারা দোষী প্রমাণিত হয়েছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।, তারা যোগ করেছে।
ইবি প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।
তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
১ বছর আগে
ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে শনিবার রাতে এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্য হলো-নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দুর্জয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব।
আরও পড়ুন: খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
এরা দুই জনেই ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ জানান, নিহতের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার রাতে ওই দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ভুক্তভোগী জোবায়েরের মা সাদিয়া আফরোজ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাহাবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা 'প্রলয়' নামে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ঢাবি ছাত্রদের দ্বারা গঠিত একটি দলের অন্তর্ভুক্ত।
এর সদস্যরা ক্যাম্পাসে বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শহীদ মিনার এলাকায় রাতে মাদক সেবন, চাঁদাবাজি ও বহিরাগতদের হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪
১ বছর আগে
সেনাসদস্য লাঞ্ছিত, ৩ আরএনবি সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যের দ্বারা এক সেনাসদস্য লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. মাইন হাছান রাকিব (২৩), রিটন চাকমা (২৪) ও মো. রবিউল ইসলাম।
শুক্রবার র্যাব-৭ দাবি করে, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে এক অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক সদস্য ঢাকাগামী মেল ট্রেনের টিকেট ট্রেনের বগিতে উঠলে অভিযুক্তরা তার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা দাবি করে। এটি অবৈধ বলে যখন তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন, তখন অভিযুক্তরা গালাগাল শুরু করে। পরবর্তীতে তারা তাকে মারধর করে এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে।
আরও পড়ুন: সেনাসদস্য হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ
পুরো ঘটনাটি আব্বাস উদ্দিন নামের এক সাংবাদিক ভিডিও করেন এবং এই অবৈধ কাজের প্রতিবাদ জানান। পরবর্তীতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
র্যাব জানায়, অভিযুক্ত তিনজন অপরাধ স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নাম প্রতারণা: চট্টগ্রামে ভুয়া সেনাসদস্য আটক
২ বছর আগে
নাটোরে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ
নাটোরের সিংড়া পৌরসভার কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চিকিৎসক মঈনুল হক রিকো।
অভিযোগে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংড়া উপজেলা পরিষদের সামনে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান ও ডা.রিকোর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় কাউন্সিলরে সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবকও ওই চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়। পরে আশপাশের লোকজন জড় হলে কাউন্সিলর সেখানে থেকে সরে যান।
আরও পড়ুন: অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে লাঞ্ছিত: ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার
ডাক্তার রিকো বলেন, কাউন্সিলর মিজান ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একজন নারীকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করান। এ ঘটনায় মামলা করলে মিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর কাউন্সিলর মিজান তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জানান, চিকিৎসক এর আগেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করেছে। আবারো সে চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চলন্তবাসে চবি ছাত্রী লাঞ্ছিত
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, একজন সরকারি চিকিৎসককে মারধর সম্পূর্ণ অন্যায়। আমরা এর বিচার চাই। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর এ আলাম সিদ্দিকী জানান, তারা অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
২ বছর আগে
রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কর্তৃক কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তাকে অনেক বিব্রত করেছে।
রবিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজন হলে আমরা সংসদ স্পিকারের কাছে যেতে পারি।
গত ৭ জুলাই সংসদ সদস্য ওমর ফারুক রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
পরদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপশক্তি পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল রাজুসহ অন্যদের উপস্থিতিতে সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দুজনেই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অস্বীকার করেন।
সেলিম রেজা বলেন, আবদুল আউয়াল তাকে সংসদ সদস্য ফারুকের কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন, সেখানে পৌঁছে তিনি বিভিন্ন কলেজের আরও সাতজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে দেখতে পান। ‘পরবর্তীতে প্রধান ফোরাম কমিটি গঠন এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের থামাতে সংসদ সদস্য ওমর ফারুককে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, সেদিন আর কিছুই হয়নি।’
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক বলেন, একটি সিন্ডিকেট ইস্যু তৈরির জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে বিকৃত রূপ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মূলত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তাদের ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে এবং অধ্যক্ষ সেলিম ও আব্দুল আউয়াল একে অপরকে আক্রমণ করে যা আমাকে থামাতে হয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
স্কুল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নূর নবীর রিমান্ড শুনানি বুধবার
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া নূর নবীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনই জমা দেয়া হয়েছে। গত ২৩ জুন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তদন্ত কমিটি প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী শনিবার (২জুন) জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে কত পৃষ্টার প্রতিবেদন, কতজন ও কারা জড়িত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হবে। একই ঘটনায় ২৩ জুন পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম সোমবার (৪ জুন) পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিয়েছেন। কাদের নাম এসেছে বা কারা জড়িত, কত পৃষ্টার প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, বুধবার (৬ জুন) সদর আমলি আদালতে নূর নবীর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিমান্ডে আনা চারজন মির্জাপুর গ্রামের শাওন, মনিরুল, রিমন ও রুখালি গ্রামের রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ পর্যন্ত গোবরা গ্রামের নূর নবীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে কলেজছাত্র রাহুল দেব রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় ১৭০-১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা, শিক্ষক দেবব্রতের ৮ বছর কারাদণ্ড
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
২ বছর আগে
সালাম না দেয়ায় ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে সালাম না দেয়ায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাজ্জাদুল হক সাঈদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও সূর্য সেন হলের আবাসিক ছাত্র।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিকুর রহমান মানিক। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী।
ভুক্তভোগী সাঈদী মানিকুর রহমানের বিরুদ্ধে হল প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
তিনি তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি অনলাইন ক্লাস করছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আমার কক্ষে প্রবেশ করে। আমি ক্লাসে ব্যস্ত থাকায় তাদের সালাম দিতে পারিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মানিকুর রহমান আমাকে চড় ও লাথি মারেন।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
তিনি আরও লিখেছেন, ‘মানিকুর আমাকে এবং আমার রুমমেটদের তাদের প্রোগ্রামে না আসার জন্য বকাঝকা করেছিল এবং তাদের সালাম না দেয়ায় আমাকে হুমকি দিয়েছিল। জুম লিঙ্ক কাটার পর যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, তখন সে আমাকে চড় মেরে ও বুকে লাথি মেরে দূরে ফেলে দেয়।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অভিযুক্ত মানিকুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেন, গতরাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আজ বিকালে তাদের সঙ্গে বিষয়টি মিমাংসা করব।
সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী আজীবন বহিষ্কার
ঢাবির দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
২ বছর আগে
ববি ছাত্রী লাঞ্ছিত: র্যাবের হাতে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
স্বামীসহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছনা ও মারধরের ঘটনায় স্থানীয় চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল আলম লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮। রবিবার বিকেল ৫টায় শহরের সাগরদি ইসলামপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, র্যাব -৮ এর অভিযানিক দল বরিশাল শহর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি এজহারভুক্ত আসামি ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ মামলা, তাই র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টায় মাদারীপুর থেকে মামলার প্রধান আসামি জাহিদ হোসেন জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে জাহিদ হোসেন জয়, মাকুন মোল্লা ও চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল আলম লিটনের নাম উল্লেখসহ আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল মহানগর বিচারিক হাকিম আমলী আদালতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর স্বামীসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন ইউপি সদস্য লিটনের স্ত্রী লুৎফর নাহার কাজল।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে মারধর, গ্রেপ্তার ১
তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান দুই অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে, এটা স্বস্তিদায়ক খবর। ঘটনার যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে আশা রাখি। পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ কে ধন্যবাদ জানাই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব মহলের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল (ববি)বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার স্বামীকে আটকে রেখে চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল আলম লিটনসহ কয়েকজন মিলে তাদের মারধর করে।
এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল পাঠাগার, লিটন মেম্বার ও জয়ের বাড়িতে ভাঙচুর করে।
সেখান থেকে ফিরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই, ৩ ঘণ্টা পর আবার আটক
বরিশালে ধর্ষণ মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে