জমজ
চাঁদপুরে পুকুরে ডুবে জমজ ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে জমজ ভাই নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পশ্চিম আলোনিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান ও আব্দুল্যাহ। তাদের বয়স তিন বছর।
নিহতদের চাচাতো ভাই আকরাম জানান, আব্দুর রহমান ও আব্দুল্যাহ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এ সময় তাদের মা শারমিন আক্তার ঘরে রান্নার কাজ করছিল। এক পর্যায়ে শিশু দু’টি বাড়ির পাশে পুকুরে হঠাৎ পড়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ওই বাড়ির একজন পানিতে দুই জোড়া জুতা ভাসতে দেখে তার সন্দেহ হয়। তাদের খোঁজ না পেয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় ও দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কামরুল হাসান জানান, শিশু দু’টিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, তিনি বিষয়টি জানেন। তবে যেহেতু কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের লাশ দাফনে কোনো আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাঝ মেঘনায় বাল্কহেডে আগুন
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একদিন পরে চাঁদপুরে ইউপি সদস্যের মৃত্যু
৩ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে জমজ বোনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে আদিবা ইসলাম ও আরিফা ইসলাম নামের দুই বছর বয়সী জমজ বোনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রামের উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আদিবা ও আরিফা উত্তরপাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে।
মৃতের স্বজন ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় সবার অলক্ষ্যে শিশু দুটি বাড়ির বাইরের পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করলে এক পর্যায়ে শিশু দুটির লাশ পানিতে ভাসতে দেখে। পরে তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তালশহুর (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান,সকালে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় দুই শিশু। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের অভিযোগ বা আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে বালতির পানিতে ডুবে জমজ বোনের মৃত্যু
যমুনার চোরাবালিতে ডুবে দিনাজপুর মেডিকেল ছাত্রের মৃত্যু
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ হস্তান্তর
৩ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ৫ জমজ শিশুর চারজনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া জমজ পাঁচ শিশুর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র জীবিত শিশুটির অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাঁচ জনের মধ্যে চার নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার সকালে পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একমাত্র ছেলেশিশুটি এবং দুপুর আড়াইটা ও সাড়ে তিনটার দিকে দুই কন্যা সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এদিন বিকালে আরেকটি মেয়েশিশু মারা যায়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে প্রথমবারের মতো নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে এক সাথে পাঁচ জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন (২৪)। পাঁচ শিশুর মধ্যে একটি ছেলে সন্তান বাকি চার জন মেয়েশিশু ছিলো।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় জমজ ৫ নবজাতকের তিনজনের মৃত্যু, দু’জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম নেওয়া শিশুগুলোর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিলো। বাচ্চাদের ওজন ছিলো ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, শিশুগুলোর ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে শিশুদের পরিবার তাদের ঢাকায় নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। জন্মের পর থেকে শিশুগুলো অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ শিশুর মধ্যে চার জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকি এক জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন।
শিশুদের মা সাদিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমাররখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার চা বিক্রেতা সোহেল রানার স্ত্রী। সোহেল রানা একই এলাকার সামাদ আলীর ছেলে।
শিশুদের পিতা সোহেল রানা জানান, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার মত একজন সামান্য চায়ের দোকানির পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম!
ইউপি নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আ'লীগের ১০ কর্মী আহত
৩ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় জমজ ৫ নবজাতকের তিনজনের মৃত্যু, দু’জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
কুষ্টিয়ায় জমজ পাঁচ নবজাতকের মধ্যে জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎকরা জানিয়েছেন।
বুধবার(০৩ নভেম্বর) সকালে পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান এবং দুপুর আড়াইটা এবং সাড়ে তিনটার দিকে দুই কন্যা সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে প্রথমবারের মতো নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন (২৪)। পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে, বাকি চার জন কন্যা সন্তান ছিল।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাঁচজনের মধ্যে তিন নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মারা যাওয়া তিনটি শিশুর ওজন অনেক কম ছিল।
হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় সদ্য জন্ম নেয়া শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। বাচ্চাদের ওজন ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০গ্রামের মধ্যে।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম!
পাঁচ নবজাতকের মা সাদিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার চা বিক্রেতা সোহেল রানার স্ত্রী। সোহেল রানা একই এলাকার সামাদ আলীর ছেলে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, শিশুগুলোর ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে পরিবার শিশুদের ঢাকায় নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। জন্মের পর থেকে শিশুগুলোকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ নবজাতকের মধ্যে তিন জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকি দুই জনের অবস্থায়ও সংকটাপন্ন। দ্রুত উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করা না গেলে তাদেরও প্রাণ সংশয় রয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সদ্য জন্ম নেয়া পাঁচ সন্তানের বাবা সোহেল রানা জানান, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মত একজন সামান্য চায়ের দোকানির পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এ অবস্থায় তিনি বাকি সন্তানদের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এদিকে একসাথে জন্ম নেয়া পাঁচ সন্তানের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানান, খবরটি শোনামাত্রই জেলা ছাত্রলীগের নেতারা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ওই শিশুগুলোর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া ও চিকিৎসার ব্যাপারে অর্থিক সহযোগিতাসহ সব ধরনের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই পরিবারটির পাশে থাকবে বলে
তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওয়াইফাই সংযোগকারীর মৃত্যু
৩ বছর আগে
জমজ ১৯ শিশুকে ভিকারুননিসায় ভর্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
পৃথক ১৯টি পরিবারের জমজ ১৯ শিশুকে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জমজ ১৯ শিশুর পক্ষে প্রকৌশলী আবদুল্লাহ কবির মাহমুদ নামের এক অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে নিন্দনীয়: হাইকোর্ট
পৃথক পরিবারের ১৯ জমজ (মোট ৩৮টি শিশু) শিশু ভর্তির আবেদন করে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মোট ১৯ জন লটারির মাধ্যমে ভিকারুননিসা নুন স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। অপর জমজ ১৯ জনকে ভর্তি করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তাদের ভর্তি করার নির্দেশনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সাড়া না পেয়ে রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, প্রত্যেক পরিবারে জমজ বাচ্চারা সব সময় একসাথে থাকে। একসাথেই খেলাধুলা করে। তাদের চাওয়াও একইরকম। তারা প্রায় সব কাজে একজন আরেকজনকে অনুকরণ করে। এ কারণে তাদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসাথে থাকাটা খুবই জরুরি। আলাদা থাকলে তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে। তাদের যদি আলাদা কিছু দেয়া হয় বা আলাদা পরিবেশে রাখা হয়, তারা এক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে। খারাপ প্রভাব পড়ে তাদের ওপর।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের মঙ্গলবার
তিনি বলেন, ১৯টি পরিবারের ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পেরেছে। আর ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পারেনি। যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদের সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদপড়াদের ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
৩ বছর আগে
মোগলাই খেয়ে জমজ বোনের মৃত্যু!
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হোটেলের মোগলাই পরাটা খেয়ে জমজ বোনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার শহরের কালীতলা মহল্লায় এ ঘটনায় তাদের মাসহ দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মৃত স্বর্ণা (১৭) ও সম্পা (১৭) ওই মহল্লার সাদিকুল ইসলাম রবির মেয়ে। তারা দুজনেই নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় ২ শিশুর মৃত্যু
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্বর্ণা ও বেলা দেড়টার দিকে সম্পা মারা যায়।
মৃতদের বাবা সাদিকুল জানান, সোমবার বিকেলে শহরের পুরাতন বাজার এলাকার একটি হোটেল থেকে মোগলাই পরাটা এনে পরিবারসহ খান। এরপর রাতে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মেয়ে স্বর্ণা ও সম্পা এবং আত্মীয় সিফাত (২০) অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ ফুটবল খেলতে গিয়ে সিরাজগঞ্জে শিশুর মৃত্যু
তাদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্বর্ণা ও তার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং সম্পা ও সিফাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে বাড়ি আসার পরেই স্বর্ণা মারা যায়। অন্যদিকে সম্পার অবস্থা আশংকাজনক হলে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই সম্পার মৃত্যু হয় ।
আরও পড়ুনঃ শেরপুরে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নুরুন্নাহার নাসু জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে স্বর্ণাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। সম্পা খাদ্যে বিষক্রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আমরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।
এদিকে শাহজাহান সুইটস নামে হোটেলের মালিক জামাল উদ্দিন নাসের জানান, ভোরে সাদিকুল ইসলাম এসে জানান, আমার হোটেলের মোগলাই খেয়ে নাকি তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য অসুস্থ হয়েছে। পরে বেলা ১০টার দিকে তিনি আবার জানান তার এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে সাদিকুল ইসলামের পরিবার ছাড়া আর কেউ আমার দোকানের মোগলাই খেয়ে অসুস্থ হননি।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মিন্টু রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে