নতুন
বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেছেন, তিনি একটি টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি স্বাধীন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করবেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে বিবৃতি এসেছে। এতে সংঘাত নিরসনে মার্কিন কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ পরবর্তী যে ধরনের ফিলিস্তিন সরকার গঠন করতে চেয়েছিল, তার জন্য বিস্তৃত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তিনি।
কিন্তু উল্লেখ করার মতো আরেকটি বিষয় হলো, গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষমতা নেই। ২০০৭ সালে হামাস তাদের বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে। ইসরায়েলি অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশে কেবল সীমিত কর্তৃত্ব রয়েছে এই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গাজায় ফেরার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন এবং তার সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ঘোর বিরোধী।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গত সপ্তাহে মুস্তাফাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। যিনি মার্কিন অর্থনীতিবিদ এবং আব্বাসের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা, যার কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই।
বিবৃতিতে মোস্তফা বলেন, তিনি একটি নির্দলীয়, টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন। যা তাদের জনগণের আস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন উভয়ই অর্জন করতে পারবে। তিনি পিএ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি অঞ্চলগুলোকে পুনরায় একত্রিত করতে চাইবেন এবং গাজার পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘স্বাধীন, দক্ষ ও স্বচ্ছ সংস্থা এবং প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ, পরিচালনা ও বিতরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের চেষ্টা করবেন।’
ভিশন বিবৃতিতে হামাসের কথা উল্লেখ করা হয়নি, যারা ২০০৬ সালে শেষবার ফিলিস্তিনিদের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল এবং কোনো কোনো জরিপ ইঙ্গিত দেয় যে এখনও উল্লেখযোগ্য সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
পিএ'র সার্বিক নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮৮ বছর বয়সী আব্বাস ২০০৯ সালে তার নিজের ম্যান্ডেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন এবং ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন করতে অস্বীকার করেছেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের একটি বড় অংশ চায় তিনি পদত্যাগ করুন।
মুস্তাফা বলেন, পিএ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তিনি কোনো সময়সূচি ঘোষণা করে বলেন, এটি গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের 'বাস্তবতা'র ওপর নির্ভর করবে। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র চায়।
২০২১ সালে, আব্বাস নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত করার সিদ্ধান্তের জন্য অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বিধিনিষেধকে দায়ী করেন, যেখানে তার ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
দ্বৈত কর এড়াতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের নতুন চুক্তি সই
দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সই হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং নেদারল্যান্ডসের কর ও কর প্রশাসনমন্ত্রী এমএলএ ভ্যান রিজ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
এরই মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে নানা পরিবর্তন এসেছে, যেমন ওইসিডি মডেল বা জাতিসংঘের মডেল।
এছাড়া স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন চুক্তিতে ৩৩টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে করের পরিধি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, আবার নতুন বিষয় উৎপত্তির জন্য কিছু নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে।
চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তিতে বিদ্যমান বিধান সংশোধন করে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং কারিগরি সেবা ফি সংযোজনের ফলে সেবার বিপরীতে সেবা ও বিল পরিশোধের ওপর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কর আদায় নিশ্চিত করা হবে।
নতুন চুক্তিতে শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনী মুনাফা বাংলাদেশে করযোগ্য বলে বিধান রাখা হয়েছে। ফলে উৎস দেশে বাংলাদেশের অর্জিত মূলধনী মুনাফা থেকে কর আদায় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যমান চুক্তির কোনো অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত নয় এমন কোনো আয়ের ক্ষেত্রে করদাতার উপর তার নিজ দেশে কর আরোপের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় নতুন চুক্তিতে সংশোধন করে করদাতার এ ধরনের আয় যে দেশে উৎপন্ন হয়, সেখানে করারোপ করা হয়েছে।
দাবি করা কর আদায়ে সহায়তার জন্য একটি অনুচ্ছেদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ উভয় রাষ্ট্রকে রাজস্ব আদায়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। নেদারল্যান্ডসের ১৫টি অংশীদার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডে ২০০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। দেশটি বাংলাদেশের নবম বৃহত্তম রপ্তানি অংশীদার।
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিটওয়্যার, ওভেন, গার্মেন্টস, গলদা চিংড়ি, জুতা, টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য এবং বাইসাইকেল।
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডস থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শাকসবজি, প্রস্তুতকৃত খাদ্য উপাদান, জীবন্ত প্রাণী (পশু ও পাখি), খনিজ, রাসায়নিক, ওষুধ, জৈব রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও রাবারসহ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) দিক থেকে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান চতুর্থ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডস।
জ্বালানি, বাণিজ্য, চামড়া খাত, চামড়াজাত পণ্য ও সিমেন্ট খাতে নেদারল্যান্ডসে বিনিয়োগ বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অসঙ্গতি দূর করতে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সংশোধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস নতুন চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, অর্থ সচিব, নেদারল্যান্ডসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সোনজা কুইপ।
আরও পড়ুন: ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নতুন যাত্রায় তাহসান
বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য স্মার্ট এক্সেসরিজ প্রতিষ্ঠান ওরাইমোর ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ডিলারদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাহসানের সঙ্গে ওরাইমোর নতুন এই যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় ওরাইমোর ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাহসান খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওরাইমোর গ্লোবাল ব্র্যান্ড ডিরেক্টর জয়ী জিং ই, ওভারসিস সেলস ডিরেক্টর জাস্টিন ই, কান্ট্রি ম্যানেজার তানবীর মজুমদারসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আগামীতে বাংলাদেশে ওরাইমোর যেসব স্মার্ট এক্সেসরিজ ডিভাইস যেমন টিডব্লিউএস, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন, ট্রিমার, চার্জার পাওয়া যাবে এসব পণ্যের সঙ্গে ক্রেতা ও ভক্ত-শ্রোতারা তাহসান খানকে দেখতে পাবেন। নতুন এই যাত্রায় ভক্তদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন জনপ্রিয় এই তারকা।
আরও পড়ুন ঢাকায় দুই দিনব্যাপী লাতিন আমেরিকান কার্নিভাল
সংবাদ সম্মেলনে তাহসান বলেন, ' ওরাইমো বিশ্বব্যাপী তরুণদের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। এ ধরনের একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমি সত্যি দারুণভাবে আশাবাদী যে, ওরাইমোর সঙ্গে আমার এই যাত্রা নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেবে।'
ওরাইমোর কান্ট্রি ম্যানেজার তানবীর মজুমদার বলেন, 'আমরা খুবই আনন্দিত যে, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী তাহসান খান ও ওরাইমো আগামীতে এক হয়ে কাজ করবে। তাহসান খানের মতো প্রতিভাবান শিল্পীর অগণিত ভক্ত ও দর্শক রয়েছে, যাদের মাধ্যমে ওরাইমোকে চিনবে তরুণরা। আমরা আশাকরি তার সঙ্গে ওরাইমোর যাত্রা হবে আনন্দদায়ক।'
আরও পড়ুন- আম্বানিপুত্রের রাজকীয় বিবাহ-পূর্ব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি তারকা ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলা
মন্ত্রিসভায় নতুন ৭ জনকে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
মন্ত্রিসভার জন্য আরও সাত প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন তারা।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
এতে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়
চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে ৩২ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এর সঙ্গে নতুন তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবছর গুচ্ছতে যুক্ত হবে। এ নিয়ে গুচ্ছভুক্ত হচ্ছে ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি গুচ্ছে, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এছাড়া, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ইউজিসি ভবনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে এক আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান অংশ গ্রহণ করেন। প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের এ সভায় ডাকা হয়নি।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
সভায় প্রফেসর আলমগীর বলেন, ইউজিসি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ন হবে না।
প্রফেসর আলমগীর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সময় নির্ধারণ, আর্থিক স্বচ্ছতা নিরূপণে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
এছাড়া, ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির (এনটিএ) অধীনে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরিতে শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায় উপাচার্যরা বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কোনো বাধা নেই। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর অভিপ্রায় রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি প্রমাণিত সফল পদ্ধতি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কোনো সংকট দেখা দিলে সকলে মিলে সমাধান করতে হবে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
গুচ্ছের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছভুক্ত করার জন্য ইউজিসিকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান উপাচার্যরা।
প্রথম অফিস করছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে প্রথম অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। তারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পাশাপাশি সবার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়সহ নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোয় প্রথম অফিস করছেন তারা।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করা হবে: নবনিযুক্ত পরিবেশমন্ত্রী
এদিকে নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের বরণ করে নিতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলো। এজন্য সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়।
নতুন মন্ত্রীদের সচিবালয়ে আগমন উপলক্ষে ভোর থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে সব মন্ত্রণালয়ের সব সংস্থার কর্মকর্তারা আসছেন। তৎপর রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রাতারাতি সব সংকট দূর করা যাবে না: অর্থমন্ত্রী
মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, নতুন কারিকুলামে বেশকিছু অন্তর্ভুক্তি(ইনপুট) আসছে। এগুলো আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি। এখানে যেসব বিষয়গুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন, সেগুলো অবশ্যই আমরা পরিবর্তন করব।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ‘বই উৎসবে’ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর রাজধানীর বনানীস্থ বাসভবনে ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইরাব নেতারা। মন্ত্রী ইরাবের সদস্যদের সঙ্গে নতুন কারিকুলামসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতির চ্যালেঞ্জের কথা যদি বলেন সেখানে বলব, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বেশকিছু ইনপুট আসছে। এগুলো আমরা দেখছি। এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে আরও বেশকিছু পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে এখন যে একেবারে শতভাগ স্থায়ী তা কিন্তু নয়। আমরা এর আগেও বলেছি, আমাদের সে কারেকশনগুলো আসবে সেগুলো আমরা সমাধান করব।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পেয়েই তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান নওফেল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করব। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা আমাদের কারিকুলামে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রয়েছে, আমরা নিজেরাও পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার
নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ সংক্রমণের অর্ধেকই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করোনাভাইরাস সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এখন দেশটিতে সর্বশেষ কোভিড-১৯ আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই এই ভ্যারিয়ান্টে হয়েছে।
জেএন.১ বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ১০ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
সিডিসির মতে, এটি সারা দেশে নতুন সংক্রমণের ৪৪ শতাংশেরও বেশির জন্য দায়ী, যা পূর্বের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেশি।
সিডিসি ধারণা করছে, জেএন.১ নিউ জার্সি এবং নিউ ইয়র্ক সহ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী। এই অঞ্চলগুলোতে এটি প্রায় ৫৭ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী।
সিডিসির আগস্ট থেকে শনাক্ত করা তথ্য অনুযায়ী জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২.৮৬ এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রথম শনাক্ত হয়।
সিডিসি বলেছে, জেএন.১ সম্ভবত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক বা অন্যান্য প্রচলিত সঞ্চালনশীল রূপগুলোর তুলনায় আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও ভাল।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১১ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
চাঁদের হাটে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত
চাঁদের জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাটের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে কবি ও কথাশিল্পী মুজতবা আহমেদ মুরশেদ সভাপতি ও দৈনিক আনন্দবাজার সম্পাদক মুফদি আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্যের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করা হয়েছে।
সংগঠনের জাতীয় প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দিনব্যাপী আয়োজিত সম্মেলনে সারাদেশের সংগঠনের শাখাগুলো থেকে ৩ শতাধিক সদস্য ও কাউন্সিলর অংশ নেয়। কাউন্সিল শেষে রাতে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে কাউন্সিল দ্বারা নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটিতে যারা রয়েছেন সহ সভাপতি শায়লা রহমান লিপি, এড. মাসুদ হুসায়েন, সাজ্জাদ আলম তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজ, মো. নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কমরউদ্দীন আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন গাজী, অর্থ সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক সামীউল আবেদ সুমন, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক বাদশাহ গাজী, সহ প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক সালেহ আহমেদ বাবু, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মলয় দস্তিদার, সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক পাপিয়া কর, শিল্প কর্ম সম্পাদক সজল ভদ্র, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো.সাদিকুল্লাহ খান, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শারমিন আক্তার ইমা, ক্রীড়া ও শরীর চর্চা সম্পাদক আনিসুল মাওলা রতনসহ অন্যান্যরা।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াহিয়া সোহেলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য সচিব মুফদি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকারিয়া পিন্টু, উপদেষ্টা সাইফুল আলম, আল তারেক, দিদারুল আলম, এস এম ফরিদউদ্দিন, জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহবায়ক জামিউর রহমান লেমন, সহ সভাপতি মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, নজরুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
নতুন টাকা ছাপবেন না: বিবিকে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের পরামর্শ
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্রকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ও মার্কিন ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াহিদউদ্দিন বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
মুখপাত্র বলেছেন, গভর্নর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন,‘দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশও এর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর