কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৮৬ জনের  করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের। আরও পড়ুনঃ ফেসবুকে জানা যাবে নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের খোঁজ কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৮৬ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া করোনা  শনাক্ত হয়েছে মোট ২৬ হাজার ৩৬৪ জনের। আরও পড়ুনঃ খুব শিগগিরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান শুরু হবে তিনি আরও জানান, শনাক্তের হার শতকরা ৪১ শতাংশ। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৩১ জন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ।আর এই সময়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৬২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৯। আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ হাজার ১৫৪ জন। আরও পড়ুনঃ খুলনায় একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ২২ এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গেলো ২৪ ঘন্টায় বরিশাল জেলায় ৪ ও ঝালকাঠি জেলায় ১ জনসহ বিভাগে মোট ৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২০ হাজার ১৫৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭০ জন।  আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনায় প্রাণ হারালেন আরও ১৭ জন আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৭৩ জন নিয়ে মোট ৮ হাজার ৭০৩ জন,পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৬০ জন নিয়ে মোট ২৬৭৯ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩০ জন সহ মোট ২১৪৭ জন,পিরোজপুর জেলায় নতুন ১২১ জন নিয়ে মোট ২৭০৪ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৭৫ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৬৪৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১৬৩ জন শনাক্ত নিয়ে মোট  আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৭৪ জন। আরও পড়ুনঃ করোনাতে কুমিল্লায় একদিনে ৭ মৃত্যু এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৮ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৬৮ জনের মধ্যে ৩৬ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৬ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১২জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৬১ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করা হয়। যারমধ্যে পজিটিভ শনাক্তের হার ৬৯.১৪ শতাংশ ।