অস্থায়ী হাট
চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
করোনার বিধি নিষেধের মধ্যে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রামে ১৭টি শর্তসাপেক্ষে বসবে পশুর হাট।
এর আগে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ১১টি স্থানে পশুর হাট ইজারা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এসব পশুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমোদনও চেয়েছিল চসিক। তবে শেষ পর্যন্ত তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি আরও তিনটি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি মিলেছে।
আগামী ১২ জুলাই থেকে ১৭টি শর্তে ১০ দিনের জন্য (কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত) এসব অস্থায়ী হাট বসবে। সেগুলো হলো-কর্ণফুলী পশুর হাট (নূরনগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং পশুর হাট এবং পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ। গত কোরবানির ঈদে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চারটি অস্থায়ী হাট বসেছিল নগরীতে।
আরও পড়ুন: গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার।
জেলা প্রশাসনের দেয়া ১৭ শর্তের মধ্যে রয়েছে-অস্থায়ী পশুরহাট প্রধান সড়ক থেকে কমপক্ষে ১০০ গজ দূরে বসাতে হবে যাতে কোনো অবস্থাতেই প্রধান সড়কের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। ইজারালব্ধ অর্থের ২০ শতাংশ ভূমি রাজস্ব দিতে হবে, হাটের বাইরে সড়কে কোনো পশু রাখা বা খুঁটি স্থাপন করা যাবে না। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, ঢোকা ও বের হওয়ার পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান-পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় লাইনে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। চাঁদা আদায় বা ক্রেতা-বিক্রেতাকে হয়রানি করা যাবে না। জাল নোট শনাক্তের যন্ত্র বসাতে হবে। জেলা প্রশাসন হাট পরিদর্শনের সময় চসিক ও ইজারাদার সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা পথ থাকতে হবে। জটলা সৃষ্টি যাতে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। বৃদ্ধ ও শিশুদের হাটে আসাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে, অনলাইনে পশু কেনাবেচাকে উৎসাহ দিতে হবে। ইজারাদারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। ভেটেরিনারি চিকিৎসক বা সার্জনের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সমস্যা দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান করতে হবে। সড়কে পশু পরিবহনের সময় ইজারাদার বা প্রতিনিধি গাড়ির পথ পরিবর্তন বা নিজের হাটে পশু নিতে বাধ্য করতে পারবে না। শর্ত লঙ্ঘন হলে যেকোনো সময় অনুমতি বাতিল হবে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাতটি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়েছিলাম। এর মধ্য তিনটি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসক। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ হাটগুলো বসানো হবে।’
৩ বছর আগে