আলোকচিত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যেমন আছে নারী ও শিশুরা
যেকোন যুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ে নারী ও শিশুরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। রুশ বাহিনীর হামলার পর ইউক্রেনীয় নারী ও শিশুরা চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এপি’র আলোকচিত্রীদের তোলা ছবিতে তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
২ বছর আগে
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শহিদুল আলমের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়মিত আপিল দায়েরের এই আদেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে জারি করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম জামিন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
পরে শহিদুল আলমের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার তদন্তের বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। যে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে গত ১৪ ডিসেম্বর রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এসিড সমৃদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
২ বছর আগে
মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে স্বস্তি টিসিবির ট্রাক
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি রাজধানীর নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষের জন্য একমাত্র স্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস এবং অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সারাবিশ্বে তুলে ধরতে হবে।
তিনি শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভবনে 'বাংলাদেশ ১৯৭১: শোক ও সকাল' শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি আলোকচিত্রী মার্ক রিবুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন তোলা বাছাইকৃত ৫০টি আলোকচিত্র নিয়ে মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্র-মানবপাচার রোধে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোমেন বলেন, বাঙালির সুদীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম এবং গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত আলোকচিত্র খুঁজে বের করে আমাদের নতুন প্রজন্ম এবং বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে।
তিনি এই প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
মার্ক রিবুর দুর্লভ এই আলোকচিত্রগুলো সংগ্রহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশে অনুসন্ধান করে আমাদের মুক্তিসংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত ও দুর্লভ আরও আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বশান্তি এবং শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে স্থাপিত মুজিব কর্নারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সারাবিশ্বের মানুষ আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।
উদ্বোধনের পর প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য বইতে উল্লেখ করেন, মার্ক রিবুর তোলা এই ছবিগুলো মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির ত্যাগ, সংগ্রাম ও দৃঢ়চিত্তের প্রতিচ্ছবি। এই আলোকচিত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা ঘটনা জানার পাশাপাশি গবেষণায় অনুপ্রেরণা যোগাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যঁ মারা সু,মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ডা. সারওয়ার আলী এবং সারা যাকের উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার প্রত্যাখ্যান করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি সোম থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
৩ বছর আগে
প্রখ্যাত আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদ লাইফ সাপোর্টে
প্রখাত আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।
তার স্ত্রী রায়না মাহমুদ জানায়, রবিবার সকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং দ্রুত তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (সিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি জানান, ভর্তির পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল কিন্তু বিকালে অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। এর আগে চার বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন চঞ্চল মাহমুদ। ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য আরও স্বাস্থ্য জটিলতা রয়েছে।
সাড়ে চার দশক ধরে আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করছেন চঞ্চল মাহমুদ। দেশে ফ্যাশন আলোকচিত্রের অন্যতম পথিকৃৎ বলা হয় তাকে।
‘চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি’ নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত আছেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার শীর্ষ ১০ জনপ্রিয় বাংলা নাটক
ফের রিমান্ডে মডেল পিয়াসা ও মৌ
ফকির আলমগীর: এক খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পীর উপাখ্যান
৩ বছর আগে
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা । শুক্রবার সকালে নিজ গৃহে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই গুণী স্থিরচিত্রগ্রাহক।
গোলাম মোস্তাফা ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রার শুরু থেকে সম্মুখসারীর চিত্রগ্রাহক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন । তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর বিটিভির সাথে ছিলেন এবং অবসরে যাওয়ার আগে প্রায় ৪২জন চিত্রগ্রাহক ধারণের মত অবকাঠামো তৈরি করে রেখে যান।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার
গোলাম মোস্তাফা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিচালক, স্থিরচিত্রগ্রাহক এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচারাল বিভাগে গেস্ট লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, দুই নাতি এবং তিন বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে (নতুন) তাঁকে সমাহিত করা হবে।
৩ বছর আগে