বিদায়
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অ্যালান ডোনাল্ড
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে আর যুক্ত থাকবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আইসিসি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ শেষে ঢাকায় ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার বিশ্বকাপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইমড আউট করায় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিতর্কের মুখে পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক সুপারস্টার ডোনাল্ড।
আরও পড়ুন: নারী ওয়ানডে সিরিজ: দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো কোনো ব্যাটসম্যানকে টাইমড আউট করার ঘটনা ঘটল, যা ক্রিকেট মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছেন এই পদক্ষেপটি ক্রিকেটের আইনের মধ্যে আছে। আবার অন্যরা যুক্তি দিচ্ছেন আইনি সবকিছুই যে নৈতিকভাবে সঠিক হবে তা নাও হতে পারে।
এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ডোনাল্ড বলেন, তিনি বাংলাদেশকে এমন এক দল হিসেবে বিবেচনা করেন, যাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া উচিৎ নয়। তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আমরা সেরকম দল নই।’
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইনজুরিতে থাকা সাকিবের বদলি খেলবেন এনামুল হক
চলে যাওয়ার বিষয়ে তার মন্তব্য জনসমক্ষে প্রচারের পর বিসিবি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। মনে হচ্ছে ডোনাল্ড এটিকে হালকাভাবে নেননি। কারণ ভারত থেকে সরাসরি দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছেন।
২০২২ সালের মার্চে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পান ডোনাল্ড এবং ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদের মতো খেলোয়াড়সহ পেস অ্যাটাকের মান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: নারী ওয়ানডে সিরিজ: শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ
১১ মাস আগে
রাষ্ট্রপতি হামিদকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গভবন
বুধবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় হামিদের উত্তরসূরি মো. শাহাবুদ্দিন শপথ নেওয়ার পরই দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিদায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতিকে এত বড় বিদায় দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
আগামী ২৪ এপ্রিল দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হবে।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন। একই বছরের ১৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। তিনি ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে বিদায়ী গার্ড অব অনার প্রদানের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। শেষে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির গার্ড অব অনার বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একটি খোলা ফুলে সজ্জিত জিপে ফোয়ারা এলাকা থেকে প্রধান ফটকের দিকে যাত্রা করবেন।
জয়নাল বলেন, বঙ্গভবনে তার দীর্ঘ অবস্থানের সমাপ্তি শেষে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি ভিভিআইপি মোটর শোভাযাত্রায় নগরীর নিকুঞ্জ এলাকায় তার নতুন বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হবেন।
ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে গার্ড অব অনার এবং প্রধান ফটকে স্যালুট গার্ড প্রদান করবে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট। অন্যদিকে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে বহন করবে সুন্দর সাজানো গাড়ি। বঙ্গভবনের সব কর্মকর্তারা দুই দলে ভাগ হয়ে গাড়ির সামনে দড়ি টেনে দাঁড়াবেন। তারপর এটি সামনে অগ্রসর হবে।
বঙ্গভবনের ভিতরে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং পিজিআর সদস্যরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেবেন এবং হামিদ বঙ্গভবনকে বিদায় জানিয়ে একটি খোলা জিপে বঙ্গভবন থেকে প্রস্থান করবেন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
গত ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সম্মানে বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি হলেও নিজেকে সব সময় দেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই মনে করতেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রপতির পদকে দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করে তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন।
বঙ্গভবনের উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গভবন মর্যাদার প্রতীক।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
হামিদ আইন অনুযায়ী অবসর ভাতা, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ শুধু সংস্কার করা এয়ার রেইড শেল্টার ও বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেননি, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তও করেন।
বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘরকে বাঙালির শতবর্ষের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ ও তা জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে বঙ্গভবন উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে তোশাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউসের আধুনিকীকরণ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়।
তোষাখানা বাড়িগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারের উপহার দিয়ে সজ্জিত।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানালেন লাখো পর্যটক
বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে ৩১ ডিসেম্বর লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিখ হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
শীতের হিমেল হাওয়ায় চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। সামনে ঢেউয়ের গর্জন। এরই মাঝে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায় ২০২২ সালের শেষ সূর্য।
অনেক প্রাপ্তি, হতাশা, ক্লান্তি ও নানা ঘটনা আর অঘটনকে ছাপিয়ে শেষ হলো আরও একটি বছর।
সমুদ্রের পানিতে অস্তমিত সূর্যের অপরূপ রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
উচ্ছ্বসিত পর্যটক সহ স্থানীয় মানুষ ২০২২ সালকে সূর্যাস্তের মাধ্যমে বিদায় জানিয়েছেন। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন। পড়ন্ত বিকালে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
কক্সবাজারের সূর্যাস্তের দৃশ্য ছবির ফ্রেমে আটকে রেখেছে পরিবার পরিজন প্রিয় জনকে সঙ্গে নিয়ে। এছাড়া কক্সবাজারের সৈকতে উপস্থিত পর্যটকরা হাত নেড়ে বিদায় বছরের শেষ সূর্যকে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মাসুদ চৌধুরী ও সামান্তা রহমান জানান, ২০২২ সালে জীবনের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ২০২২ সালের সূর্যাস্তের সঙ্গে হতাশা, দুঃখ ও না পাওয়ার বেদনাকে বিসর্জন দিতে এবং আনন্দ উল্লাসে ২০২৩ সালকে বরণ করবো কক্সবাজারে ভ্রমনের মাধ্যমে।
নরসিংদী থেকে আগত পর্যটক নেওয়াজ আলী বলেন, তিন বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন।
প্রাকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই কক্সবাজার। এখানকার বৈচিত্র্যময় সমুদ্রের বিশালতা ও প্রশান্তি মন টানে বার বার।
তা এই শীত মৌসুমে এখানে তেমন বেশি শীত নেই। তাই এখানে ভ্রমনের মজাটাই আলাদা।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে পযর্টন নগরী কক্সবাজারে বেশ কয়েকদিন ধরেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিলো।
সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে গোধূলি বেলার সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত পর্যটকরা।
দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চোখে পরছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি শহরের বার্মিজ মার্কেট, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়াটেক সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে রয়েছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলের ৯০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা, বীচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের আগমনে কক্সবাজার যেন পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইংরেজি ২০২২ সালকে স্মৃতিময় করে রাখতে আর ২০২৩ সালকে স্বগত জানাতে কক্সবাজার সৈকতে জড়ো হয়েছে লাখো পর্যটক।
তাদের সেবায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজারের প্রত্যেক পর্যটন জোনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়া ভ্রাম্যমান পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
কক্সবাজারের মিষ্টি পান যাচ্ছে বিদেশেও
১ বছর আগে
টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর 'নাটকীয়' বিদায়, ‘গার্ড অব অনার’ সতীর্থদের
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার এবং টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের পঞ্চম দিন মাঠ নামার আগে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে তাঁর সতীর্থরা এই গুঞ্জন সত্যি প্রমাণ করে দিলেন।
আরও পড়ুনঃ কোপার শিরোপা মেসির হাতে
ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলার আগে তার অবসর সম্পর্কে সতীর্থদের অবহিত করেন বলে জানা গেছে। তিনি অবশ্য গণমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে টেস্টে নির্বাচিত হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ ১৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে খেলার বাইরে ছিলেন। এই প্রত্যাবর্তন টেস্টে তিনি অপরাজিত থেকে ১৫০ রান করেছিলেন, যা এখন তার শেষ টেস্ট ইনিংস হবে।
একটি বাংলাদেশি গণমাধ্যম হারারে থেকে জানিয়েছে, মাহমুদউল্লাহ গত রাতে ধারণা দিয়েছিলেন, তিনি এই অবসর নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
আরও পড়ুনঃ মাহমুদউল্লাহ তাসকিনের বীরত্বে ৪৬৮ রানে থামল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান এর আগে একটি জাতীয় দৈনিককে বলেছেন, ‘তিনি আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। আমি অন্য কারও কাছ থেকে জানতে পেরেছি। তবে এটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এটা অস্বাভাবিক। আমরা এখন একটি টেস্ট খেলছি। ম্যাচটি এখনও শেষ হয়নি।’
নাজমুল আরও বলেছিলেন, মাহমুদউল্লাহর এই সিদ্ধান্ত তাকে অনেক অবাক করেছে। কারণ এই অলরাউন্ডার বোর্ডের কাছে লিখিত সম্মতিতে টাইগারদের হয়ে সব ফরম্যাটে খেলতে রাজি আছেন বলে লিখেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ আচরণবিধি লঙ্ঘন: তাসকিন ও মুজারাবানিকে জরিমানা
নাজমুল আরও বলেন, ‘তিনি আমাদের লিখেছিলেন যে সুযোগ পেলে তিনি টেস্ট খেলবেন। আমরা জাতীয় দলের প্রত্যেক খেলোয়ারের কাছে জানতে চাই তাঁরা কোন ফরম্যাটে খেলতে পছন্দ করেন। মাহমুদউল্লাহ আমাদের জানিয়েছিলেন তিনি প্রতিটি ফরম্যাটেই খেলতে পারবেন।’
সম্প্রতি তিনি নিজে টেস্ট ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে মাহমুদউল্লাহর সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, দলের প্রয়োজন হলে তিনি টেস্ট খেলতে প্রস্তুত এবং বোলিংয়ের জন্যও প্রস্তুত।
ডানহাতি অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সব ধরণের খেলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তিনি একাধিকবার টেস্টে নিজের জায়গাটি হারিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ হারারে টেস্ট: লিটন রিয়াদের দৃঢ়তায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তি
চলমান টেস্টসহ মাহমুদউল্লাহ টাইগারদের হয়ে মোট ৫০টি টেস্ট খেলেছেন এবং হারারে টেস্টের প্রথম ইনিংস পর্যন্ত ১৯৪৯ রান করেছেন। তিনি পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন।
অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ ১৯৭টি ওয়ানডে ও ৮৯টি টি-২০ খেলেছেন এবং যথাক্রমে ৪৪১০ ও ১৫০৭ রান করেছেন এবং ৭৬ ও ৩১ উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন।
৩ বছর আগে