আগ্রহ
অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোনালাপে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্য তাদের জনগণের কল্যাণে যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কে রূপান্তরিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর শরীফের কাছ থেকে ফোন কল পাওয়া এবং তার কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়ে বার্তা পাঠানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
শরীফ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো প্রক্রিয়া পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সার্ক প্রক্রিয়া কার্যকর করার ওপরও জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে শীর্ষ আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি নিয়মিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যত দ্রুত সম্ভব সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদারের আহ্বান জানান।
আর পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের অভিনন্দন
৩ মাস আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে। সে সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং আমরা এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি এরইমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় আলোচনায় আসে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশই নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
তিনি বলেন, 'আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া স্থানের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ কামনা করেন।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (ভুটানের প্রধানমন্ত্রী) সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে রাখেন এবং চিন্তা করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে জিমে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেখি। এটি আমাকে সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে এবং বাংলাদেশের সহায়তা কীভাবে ভুটানের জন্য আরও অর্থবহভাবে ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়ে তার পররাষ্ট্র সচিব সব সময় চিন্তা করেন।
সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় ভুটানের রাজা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পিএমও সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
ভুটানের পক্ষ থেকে ছিলেন অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদসচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি যশোর কারাগারের বন্দিরা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কোনো বন্দিই ভোট প্রদান করেননি। কারাগারে প্রায় এক হাজার ২৬৫ বন্দির মধ্যে একজনও ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদনও করেননি। ফলে, কারাগারে বন্দিদের কেউ তাদের ভোট প্রদান করেননি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
যদিও কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এমনকি তারা বন্দিদের মধ্যেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারাগারেই বন্দির সংখ্যা কমাবাড়ার মধ্যেই আছে। বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজার ২৬৫ বন্দি রয়েছেন। তার মধ্যে নারী রয়েছেন ৭৫ জন। বাকি সবাই পুরুষ।
কারা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবারের মতো এবারো কারাগারে আটক বন্দিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের জানালেও তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে রাজি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারে কোনো বন্দি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেননি।
এর আগে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল কারা বন্দিদের।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম ইউএনবিকে জানান, প্রতিনিয়তই কারাগারে বন্দি আসছেন আবার জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। পরিপত্র পাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিনই এ বিষয়ে বন্দিদের জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি বিশেষ টিমও কাজ করে। তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি জানান, এবিষয়ে কিছু নিয়মকানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। এ কারাগার থেকে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
১১ মাস আগে
পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ, চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা
মাগুরা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাটের দাম কমে গেছে। পাটচাষিরা বলছেন, সিন্ডিকেটদের প্রভাবে কমে গেছে পাটের দাম।
ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকে আগামী বছর পাট না চাষ করার সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছেন।
প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে করে খরচ উঠছে না চাষিদের।
আরও পড়ুন: পানির জন্য হাহাকার, গাইবান্ধায় পাটচাষিরা বিপাকে
স্থানীয় পাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহাজনরা কমমূল্য দিচ্ছে, তাই আমরাও কমমূল্যে ক্রয় করছি। এদিকে পাটচাষিরা বলছেন, সিন্ডিকেটদের প্রভাবে কমে গেছে পাটের দাম।
মাগুরা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়ায় প্রতি শনি ও বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাটচাষিরা পাট বিক্রি করতে আসেন। তবে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে অনেকেই পাট ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
অনেকে আবার অর্থের প্রয়োজনে বাধ্যহয়েই স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে উঠাচ্ছেন পাটচাষের খরচ। তবে প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় উৎসাহ হারাচ্ছেন তারা।
আড়পাডা ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের পাটচাষি অছিউদ্দিন মোল্যা বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে পাট বুনেছি। পাট বুনা থেকে শুরু করে ধোয়া ও শুকানো পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে, মণ প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করলে সেই খরচ উঠবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাটের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ
বরইচারা গ্রামের পাটচাষি উৎপল বিশ্বাস বলেন, এভাবে পাটের দাম কমে যাবে আগে জানলে পাট বুনতাম না। প্রতি হাটে পাটের দাম মণ প্রতি দুইশ’ টাকা কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পাটচাষিরা।
পাটের দাম কম থাকায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পাট যেন হয়ে উঠেছে কৃষকের গলার কাঁটা। না পারছেন ফেলতে, না পারছেন ভালো দামে বিক্রি করতে।
ফলে অনেকেই আগামী বছর পাটচাষ থেকে বিরত থাকবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
১ বছর আগে
আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই।
বিএনপি কোনো প্রার্থী না দিলেও আগামী পাঁচ সিটি করপোরেশনে সাজানো নির্বাচন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির একটি অংশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। দেশে নির্বাচন নিয়ে জনগণ আগ্রহী নয়।’
ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা (সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। দেখেন আপনারা আজ নির্বাচনের অবস্থা কেমন? এই যে মেয়র ইলেকশন হচ্ছে, বেশির ভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
তিনি বলেন, সিলেটে অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষ আরিফ (আরিফুল হক চৌধুরী) দুইবার মেয়র হয়েছেন এবং সিলেটের মানুষ তাকে আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সেই আরিফ শনিবার জনসভা করে বলেছেন যে এ নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, নির্বাচনই হবে না। তারা ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে। এ নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হয় না।
তিনি বলেন, সিলেট নগরীর জনগণ তাদের প্রিয় নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চোখের পানি ফেলেছে। তিনি (আরিফ) স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আরও বলেছেন, আমিও মনে করি এ নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় একই অবস্থা। আজ প্রতিটি নির্বাচনকে একই অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানটাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে।
তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী যারা, এ ধরনের ফ্যাসিবাদী যারা তাদের একটা হাতিয়ার। নির্বাচন একটা টুল, দেখাবে নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং আমরা খুব পরিষ্কার, স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলছি যে এ সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে এমন একটা অবস্থা হয়েছে, তাদের যে জোট আছে, ১৪ দলের এক শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আমাদের অত্যন্ত সম্মানিত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব রাশেদ খান মেনন, তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন, পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার যে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন তিনি চান না।
আরেকজন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে এখানে মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট তৈরি করে, তারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এসব আমার কথা নয়, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন।
এছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
‘খেলাপী ঋণ প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় আজ এসেছে যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তার রিপোর্টে বলছে বাংলাদেশ ইজ চ্যাম্পিয়ান অব ডিফল্ট লোনস, এই যে খেলাপি ঋণ, এটাতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেছে। এক নম্বরে শ্রীলঙ্কা ছিল, শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ কেন হবে না? যারা ঋণ নেয়, শোধ করে না। তারা তো তাদের অ্যাডভাইজার মন্ত্রী, আমি নাম বলব না। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা ঋণ নিয়ে রিসিডিউল করছে বছরের পর বছর ধরে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আর আমাদের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা যদি একটা-দুইটা ডিফল্ট হয় তো তার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাচ্ছে, তাকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। এনাফ ইজ এনাফ। এই সরকার যদি একটা মুহূর্ত আর দেশের পরিচালনায় থাকে, দেশ আরও খারাপের দিকে যাবে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে কমিটমেন্টগুলো করেছিলো, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলো প্রত্যকটা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে স্বাধীনতার বিরুদ্ধের দল।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
‘অনেক খেলা হবে’
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে অনেক খেলা হচ্ছে, খেলা হবে। এই যে, উনি (ওবায়দুল কাদের) তো প্রায় বলেন খেলা হবে। সেটা হবে। অনেক চেষ্টা হবে আমাদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি সৃষ্টি করানোর।
তিনি বলেন, যারা দেশপ্রেমিক আছেন তারা কখনো ভুল বুঝবেন না। আজকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রের মুক্তি, বাংলাদেশের মুক্তি, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এবং একটা সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে আমরা এক ও অনঢ় হয়ে থাকব।
এছাড়া এই আন্দোলন আমাদের শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় যাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হবে একাত্তর সালে যেভাবে আমরা নেমেছিলাম আজকেও একইভাবে আন্দোলনে নেমে শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে সরিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে।
তিনি বলেন, এই কাজটা বাইর থেকে কেউ করে দেবে না। অনেকে অপেক্ষায় আছেন। অপেক্ষায় থাকার কোনো কারণ নাই। আপনাকে করতে হবে, আমাদের সবাইকে করতে হবে। এটা প্রত্যেকের দায়িত্ব বিশেষ করে তরুন সমাজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের কি অবস্থা, তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিচ্ছে, নিম্ন আদালতে গেলে সেই জামিন ক্যানসেল করে কারাগারে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
আর গায়েবি মামলার কথা আমরা বলতে বলতে হয়রান হয়ে গেছি, আর বলতে ইচ্ছা করে না।
তিনি বলেন, খুলনাতে দেখেন একটা সভায় গিয়ে কিভাবে পুলিশ সেখানে আক্রমণ করেছে, ন্যাক্কারজনক। সেখানে অসংখ্য মানুষকে গুলিবিদ্ধ করেছে, আহত করেছে এবং হয়রানি করেছে।
এছাড়া এক হাজার ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
১ বছর আগে
সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে বিনিয়োগে আগ্রহ ইতালির
গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনে বাংলাদেশে দুইশ’ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইতালি।
রবিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিটা।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব খাতে বিনিয়োগে দেশটির আগ্রহের জন্য সে দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শন বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। এই খাতে সহযোগিতার জন্য ইতালির সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহে কর্মকর্তাদের নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশ-ইতালির সম্পর্ক ভবিষ্যতে নতুন মাত্রা পাবে এবং আরও সুদৃঢ় হবে।
আরও পড়ুনঃ সৌদিতে বিনিয়োগে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিটা বলেন, তাঁর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এসময় বাংলাদেশকে ব্যাপক সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে