তাবিজ
বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি গত নির্বাচন বর্জনের পর তাদের হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন।
রবিবার বিকেলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের 'অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে' মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বালুবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারকে পরপর চারবার জনগণ নির্বাচিত করেছে। শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। বিএনপি এখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
গত নির্বাচন বর্জনের পর তাদের হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা অদৃশ্য শক্তির ওপর বিশ্বাস করা শুরু করেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'আপনারা জানেন, তারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের দুয়ারে যায়, এখন তারা যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই আমার প্রশ্ন।'
'মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরির অজুহাত হতে পারে না'
রাখাইনে সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে কি না, এখানে আরাকান আর্মি ভূমিকা রাখবে কি না -এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন 'উই এনগেইজ উইথ দ্য গভর্নমেন্ট', আমরা মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গেই আলাপ-আলোচনা করছি। সেখানে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে সেটিও সঠিক। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে মিয়ানমারে সবসময়েই গোলযোগ ছিল।
'গত ৭০-৮০ বছরের ইতিহাস দেখুন, মিয়ানমার কখনোই গণ্ডগোলমুক্ত ছিল না, কিন্তু সেই কারণে মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক, শতশত বছর ধরে সেখানে আছে, তাদের ফেরত নিয়ে না যাওয়ার কোনো অজুহাত হতে পারে না' যুক্তি তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
এ দিন সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সদস্যদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের এখানে আশ্রয় দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমন রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশগত সমস্যা, আইন-শৃঙ্খলাগত সমস্যা, একইসঙ্গে অনেক রোহিঙ্গা ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
'সন্ত্রাসী ও ফ্যানাটিক গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের সদস্য রিক্রুট করছে' বর্ণনা করে তিনি বলেন, এ সবের কারণে শুধু আমাদের দেশে সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নয়, আশেপাশের দেশেও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বিস্তারজনিত সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
হাছান মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গেও নিয়মিতভাবে আমরা আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি, যাতে করে নিজেদের নাগরিকদের পূর্ণ অধিকারসহ ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর কার্যত চাপ প্রয়োগ করা হয়।
পরিতাপের সুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, মিয়ানমার সবসময় বলে তারা ফেরত নেবে, কিন্তু আজ পর্যন্ত গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত নেয়নি। উপরন্তু আমাদের ওপর নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি'র প্রায় পাঁচশত সদস্য ও তাদের সেনাবাহিনীর সদস্য পালিয়ে আমাদের দেশে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছি কিন্তু নতুনভাবে আরও ১৩৮ জন এখন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তার মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও দু'জন মেজরও আছে।
এদের নিয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, অতীতে পালিয়ে আসাদের ফেরতদানের একই প্রক্রিয়ায় এদেরও আমরা ফেরত পাঠাতে পারব বলে আশা করছি এবং মিয়ানমারেরও তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে।
দু'দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতেই আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন -এ নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে চৎমকার। গত নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা পত্রে সে কথাই বলেছেন। এই সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
নড়াইলে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
৬ মাস আগে
শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রাম সদরে এক নারীর স্বামীকে তাবিজের মাধ্যমে বশ করার আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর সাথে অশোভন আচরণ করার অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর দায়ের করা এক এজাহারের ভিত্তিতে সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুনঃ রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হরিকেশ কানিপাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের পুত্র মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি (৪৫)।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হরিকেশ কানিপাড়ার এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর পক্ষে বশে আনার জন্য তাবিজসহ বিভিন্ন উপায়ের আশ্বাস দেখিয়ে আসছিলেন মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি। ফাঁদে পা দিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারী মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেনের নির্দেশনা মেনে আসছিলেন। গত ১৩ আগস্ট সুযোগ পেয়ে ওই নারীকে শ্লীলতাহানিসহ যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি। এরপর সোমবার ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর দায়ের করা এক এজাহারের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি এক সময় কুড়িগ্রাম সদরের এক স্বনামধন্য মসজিদের ইমাম ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ থাকায় তাকে মসজিদ থেকে বহিষ্কার করে মসজিদ কমিটি। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের একটি মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। হজ্বের টাকা নিয়ে পালানোর অপরাধে তিনি জেল খেটেছেন এবং তিনি বিভিন্ন সময় নারীদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক অপকর্মের সাথে যুক্ত বলেও জানায় পুলিশ।
৩ বছর আগে
'ডাব পড়ায় কাজ না হওয়ায়’ নারীকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ‘ডাব পড়ায় কাজ না হওয়ায় ‘ দা দিয়ে কুপিয়ে ফাতেমা বেগম (৪৬) নামের এক নারী কবিরাজকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে শিশুসহ আরও তিন নারীকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
সোমবার সকালে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড দাসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ ।
আরও পড়ুনঃ যাদু শেখানোর নামে হাত পা বেঁধে দুই খুন
নিহত ফাতেমা বেগমের বাড়ি ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়ায়। আর আটক এহসান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজ পাড়া এলাকার মো. ইব্রাহীম প্রকাশ বদর আমিনের ছেলে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শীলকূপে চারজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় এহসানকে পুলিশ আটক করেছে। আহতদের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুনপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাসপাড়ার নূর উদ্দীন সিকদার বাড়ির ফাতেমা বেগম ঝাড় ফুঁকের কাজ করে। স্থানীয় যুবক এহসান এক মেয়েকে ভালোবেসে তাকে বশে আনার জন্য গত এক বছর ধরে তাঁর কাছ থেকে ডাব পড়া ও তাবিজ কবজ নিয়ে যেতেন। কিন্তু এতে কাজ না হয়ে উল্টো পড়া ডাবের পানি পান করে এহসানের শরীর খারাপ হয়। এতে সে ফাতেমাকে শিক্ষা দিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁর বাড়ি যান। ওইদিনও ফাতেমা এহসানকে খেতে দেয়ার জন্য ডাব কাটছিলেন। এ সময় দা দিয়ে ফাতেমাকে তিনি কোপাতে থাকেন। ফাতেমার চিৎকারে তার মেয়ে পাখি আক্তার (২০), প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও ১০ বছরের বৃষ্টি এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন এহসান।
আরও পড়ুনঃ বিয়ে করায় ছেলেদের হাতে খুন হলেন বাবা
আহত চারজনকে উদ্ধার করে বাঁশখালীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।সেখানে ফাতেমার মৃত্যু হয়।
৩ বছর আগে