দাম্পত্য কলহ
হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দাম্পত্য কলহের জেরে দুই শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার রাণীগাও ইউনিয়নের আতিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহতরা হলেন— আতিকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ (৩৫) এবং তার শিশু সন্তান খাদিজা আক্তার (৫) ও আয়েশা আক্তার (৩)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল) এ কে এম সালিমুল হক জানান, আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। তিনি ঋণগ্রস্তও ছিলেন। গতরাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় আব্দুর রউফের। ঝগড়ার একপর্যায়ে কোলের সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান তার স্ত্রী। এরপর আব্দুর রউফ অপর দুই শিশু সন্তান খাদিজা ও আয়েশাকে বিষ খাওয়ানোর পর নিজেও বিষপান করেন।
আরও পড়ুন: আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আব্দুর রউফকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেখানে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান তিনিও।
আব্দুর রউফের ছোট ভাই সোহাগ মিয়া বলেন, আমরা পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার-চেচামেচি শুনে গিয়ে দেখি আমার দুই ভাতিজি ও ভাই বিষ খেয়ে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভাতিজিদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, আমার ভাই ও ভাবির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসাপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাফায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত ১টার দিকে আব্দুর রউফ বিষাক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।’
৫৮ দিন আগে
সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের শাহপরাণে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় শাহপরাণ থানাধীন পূর্ব ভাটপাড়ার একটি কলোনি থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমন আহমদ (২৭) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানার গৌরিপুর গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেটের শাহপরাণ থানা এলাকার পূর্ব ভাটপাড়া গ্রামের মুতাছির আলীর কলোনিতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে চাকরি হারিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
সুমনের বাবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সুমন ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর জেরে এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী বাবার বাসায় চলে যান। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শনিবার সুমন শ্বশুর বাড়িতে যান। রাতে খেয়ে নিজ ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার বিকাল পর্যন্ত দরজা না খুললে স্থানীয়রা জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতরে সুমনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুনঃ মেহেদীর রঙ না মুছতেই গৃহবধূর আত্মহত্যারবিরার সন্ধ্যায় শাহপরাণ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দরজা ভেঙে সুমনের লাশ উদ্ধার করে। রবিবার ভোররাতের কোনো এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে সুমন আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের ধারণা।
আরও পড়ুনঃ মায়ের কাছে চিঠি লিখে কিশোরীর- আত্মহত্যা’এ বিষয়ে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, রোববার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে সুমনের লাশ উদ্ধার করে। বর্তমানে লাশটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
১৩৭১ দিন আগে