স্থাপন
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের টাকা নিয়ে হাওয়া, ছিনতাই-ডাকাতি আতঙ্কে ফেনী পৌরবাসী
ফেনী পৌরসভার ১৫০টি স্থানে স্থাপিত ২৪০টি সিসি ক্যামেরার বেশিরভাগই নষ্ট। এতে করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা, আর ছিনতাইকারী ও ডাকাতের আতঙ্কে তটস্থ থাকতে হয় শহরের ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষকে। অনেক জায়গায় মানুষ সন্ধ্যার পর চলাচল করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সিসি ক্যামেরা না থাকায় পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না অপরাধমূলক বিভিন্ন ঘটনার ভিডিওচিত্র। ফলে অনেক অপরাধীকে শনাক্ত করাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, পৌরসভার ভেতরে ক্যামেরা স্থাপনের জন্য শহরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা ৩ কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাজারী। ফলে বিড়ম্বনা আরও বেড়েছে।
ফেনী পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ২৪০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। ইউ-টাচ নামে ফেনীর একটি প্রতিষ্ঠান এগুলো স্থাপনে কাজ করে। তবে দুই বছর চলার পর ক্যামেরাগুলোর বেশিরভাগই অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ঢাকার গোল্ডেন ট্রেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেড় কোটি টাকার চুক্তিতে ক্যামেরাগুলো প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেন তৎকালীন পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। কিন্তু কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হওয়ার পর আর্থিক জটিলতায় প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়।
অবশ্য, পৌরসভার ভেতরে ক্যামেরা স্থাপনের জন্য ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাজারীর মাধ্যমে প্রতিটি মার্কেটের মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগঘেঁষা হওয়ায় গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। ফলে তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দেওয়া ওই চাঁদাও হাপিশ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের হিমাগারে আলু রাখতে বিড়ম্বনা, অপেক্ষায় নষ্ট হওয়ার শঙ্কা
এদিকে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশের টালমাটাল আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিপুলসংখ্যক সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। পরে বন্যার পানিতে ক্যামেরার যন্ত্রপাতি ও কন্ট্রোলরুমের সরঞ্জামও নষ্ট হয়ে যায়।
পৌর শহরের নজরদারি পরিস্থিতি ভেঙে পড়ায় পোয়াবারো হয়েছে দুর্বৃত্তদের। পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়া আগের চেয়ে সহজ হওয়ায় সম্প্রতি শহরজুড়ে বেড়েছে ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনা।
ফেনী জেলা পুলিশের অপরাধ বিভাগ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেনীতে গত জানুয়ারি মাসে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, নারী নির্যাতন, মাদক কারবারসহ মোট ১৪০টি ও ফেব্রয়ারি মাসে ১২২টি অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে। অথচ গত বছরের জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৯৯টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ১০৭টি।
শহরের অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিসিক, রামপুর রাস্তার মোড়, আলোকদিয়া ও ফলেস্বর এলাকাকে গণ্য করা হয় বলে জানিয়েছে ফেনী মডেল থানা সূত্র। তবে প্রশাসনের স্থাপিত ক্যামেরাগুলোর বেশিরভাগ অকেজো হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বিভিন্ন বাড়ির মালিকদের লাগানো ক্যামেরা ও সাধরণ মানুষের করা ভিডিও ও ছবির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
শহরের এই নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণের জন্য নষ্ট ক্যামেরাগুলো দ্রুত প্রতিস্থাপন কিংবা মেরামত করে হলেও সেগুলো কার্যকর করা জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌরসভার বাসিন্দারা। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরে ক্যামেরাগুলো থেকে সেবা পেতে নিয়মিত সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানিয়েছেন তারা।
এ ছাড়াও, নতুন ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিসিটিভি ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ১৮৮০০ টন চাল আমদানি, প্রভাব নেই দামে
শহরের ব্যবসায়ী রেজাউল গনি পলাশ বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা না থাকায় জেলায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বাড়ছে। ঘটছে হত্যার মতো ঘটনাও। সড়কে সিসি ক্যামেরা না ধাকায় অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিক করে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি করে এবং অনেক সময় অপরাধীদের অপরাধ থেকে বিরত রাখতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা কমানোর ক্ষেত্রেও এর কার্যকারিতা অনেক।’
‘তবে সিসিটিভির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও ডেটা সুরক্ষা। এটি প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিৎ, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে যত দ্রুত সম্ভব সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিক করা।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা অপরাধী ধরার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে আসে। ছবি দেখে গ্রেপ্তারের পর অপরাধীর অস্বীকার করার সুযোগ থাকে না; তাতে পুলিশের তদন্ত কাজের অনেক সুবিধা হয়। তাছাড়া অপরাধীর অপরাধও আদালতে সহজে প্রমাণ করা যায়। তবে বর্তমানে এ বিষয়ে পুলিশকে নির্ভর করতে হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে লাগানো ক্যামেরাগুলোর ওপর।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা কেন্দ্র, ব্যাহত শ্রেণিকার্যক্রম
নানা জটিলতার মাঝে সম্প্রতি অবশ্য স্বল্প পরিসরে হলেও ফের ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে তারা ফের দায়িত্ব দিয়েছে সেই ইউ-টাচ নামের প্রতিষ্ঠানটিকে। ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরাতন ক্যামেরাগুলো মেরামত করে নতুন করে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, ‘পৌরসভার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আমরা নতুন করে সিসি ক্যামেরা চালু করার ব্যবস্থা করেছি। শিগগিরই তা কার্যকর হবে।’
৩ দিন আগে
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, শিগগিরই ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় হলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রগুলো মানবাধিকার পরিষদ সরাসরি তদন্ত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে রাস্তা ও পার্কিংয়ের স্থান বাড়ানোর নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার সম্মতি দিয়েছন। একটা খুব বড় সিদ্ধান্ত।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা আরও বলেন, শিগগিরই এই কার্যালয় হবে। এখানে কার্যালয় থাকা মানে মানবাধিকারের জায়গা থেকে আমাদের শক্তি বাড়ল।
আরও পড়ুন: দুই-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা
১৪৬ দিন আগে
খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করছে ছাত্র সংসদের একাংশ।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরণের ‘ব্যক্তি পূজা’র বিরোধিতা করেছে। তারা বিশ্বাস করে যে ম্যুরালটি ব্যক্তি পূজার নামান্তর।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এটি কোনো ম্যুরাল নয়, এটি তার ছবি সম্বলিত একটি ফলক।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফলক বা ম্যুরাল স্থাপনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন একদল শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ঘোষণা দেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে বুধবার তারা ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে একটি আবেদনে গণ সাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবেন। রবিবার শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগসহ এই আবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। পাশাপাশি দাবি মানা না হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, 'আমরা সম্প্রতি জেনেছি যে, ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১১ ফুট লম্বা ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আত্মপ্রচারের জন্য ম্যুরাল স্থাপনের রীতিকে জনপ্রিয় করে তোলার যে পথ হাসিনা দেখিয়েছিলেন প্রশাসন সেই পথেই হাঁটছে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই ধরনের ব্যক্তি পূজাকে ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ফরহাদ হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের সূর্ণা আক্তার রিয়া ও ইংরেজি বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সিফাত হাসান সাকিব।
জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজামুল হক বলেন, 'প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুধু একটি ছোট ফলক থাকবে, তাতে ম্যুরাল থাকবে না। যার জন্য ফলকটি লাগানো হচ্ছে, তিনি যদি এই বিতর্ক সম্পর্কে জানতেন, তাহলে তিনি নিজেও কষ্ট পেতেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যুরাল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে, এটি কোনও ম্যুরাল হবে না, তবে কেবল একটি ছবি সম্বলিত একটি ফলক হবে।’
১৬৭ দিন আগে
সুসম্পর্ক স্থাপনে সম্মত ঢাকা-দিল্লি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত একমত হয়েছে যে একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্তে কোনো হস্তক্ষেপ করব না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে হোসেন বলেন, তারা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন এবং তাদের নিজেদের স্বার্থে একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে উভয়েই সম্মত হয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেরই নিজ নিজ স্বার্থ রয়েছে। সুতরাং, আমরা এই দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে, তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে এবং সম্প্রতি তারা বিদেশিদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি।
উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলোর অনেক কর্মকর্তা অন্যত্র চলে গেছেন এবং তাদের কেন্দ্রগুলো এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি।
তিনি আরও বলেন,‘কিছুদিনের মধ্যেই এটি চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্ভবত এখন হেলথ ভিসা দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জসিম উদ্দিন এবং জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১৭৪ দিন আগে
ঢাকায় অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প স্থাপনে নিয়ম মানা হয়নি
ঢাকা শহরের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি মানা হয়নি দুটি স্টেশনের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার সুনির্দিষ্ট সরকারি নীতিমালাও।
পরিবহন ও পেট্রোলিয়াম খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে গ্রাহকদের সহজে গাড়ির জ্বালানি পেতে সমস্যা হচ্ছে।
তাদের মতে, মোটর গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও শহরে পেট্রোল পাম্পের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
পেট্রোলিয়াম খাতের প্রধান সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, সিটি করপোরেশন এলাকা, জেলা শহর ও অন্যান্য স্থানে নতুন পেট্রোল পাম্প স্থাপনের বিষয়ে সরকার ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি কিছু সংশোধনীসহ একটি গেজেট প্রকাশ করেছে।
সরকারি নীতি অনুযায়ী, উল্টো দিকের দু'টি পেট্রোল পাম্পের মধ্যে ১ কিলোমিটার এবং একই দিকে ২ কিলোমিটারের দূরত্ব থাকা উচিত। সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরের বাইরে যেসব পেট্রোল পাম্প মূলত মহাসড়কের পাশে সেগুলোর ক্ষেত্রে দূরত্ব হতে হবে দ্বিগুণ।
কিন্তু ঢাকা শহরে পাম্প স্থাপনের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন দূরত্ব সঠিকভাবে বজায় রাখা হয়নি।আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্প, কৃষকের মনে স্বস্তি
বিপিসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করেন, ঢাকা শহরে পাম্পগুলো অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা হয়েছে এবং সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি।
কিন্তু এসবই নতুন নীতিমালা প্রণয়নের আগেই করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে নতুন কোনো পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে না।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আসলে জমির অতি মূল্যের কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যক্তিগত জমিতে নতুন পেট্রোল পাম্প স্থাপনে মানুষের আগ্রহ নেই।’
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, জমি অন্য কাজে ব্যবহার বেশি লাভজনক হওয়ায় ব্যক্তি মালিকানায় পেট্রোল পাম্প ব্যবসা চালানো সত্যিই কঠিন।
অনেক পাম্প মালিক এখন তাদের রিফুয়েলিং ব্যবসা বন্ধ করে ভালো মুনাফার জন্য একই জমিতে আবাসিক বা বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণের চেষ্টা করছেন।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় চার হাজার, ঢাকা জেলায় ৩০০টি এবং ঢাকা শহরে ৮০টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ৫০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে ৩০টি পাম্প রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাছাকাছি কয়েকটি স্থানে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- মহাখালী, গাবতলী এবং সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী অন্যতম।
নাজমুল হক জানান, গত ২০ বছরে ১১টি পেট্রোল পাম্প মালিকরা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং জমিগুলো বহুতল মার্কেট, অ্যাপার্টমেন্ট বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জেনারেল এরশাদের আমলে নিরাপত্তাজনিত কারণে মহাখালী থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ফিলিং স্টেশন স্থাপনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তিনি বলেন, নিকুঞ্জ এলাকায় শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) স্থাপিত একটি পাম্প রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ঢাকা জেলার অভ্যন্তরে যেকোনো স্থানে যেকোনো পেট্রোল পাম্প স্থাপনের প্রাথমিক অনুমতি দেন এবং চূড়ান্ত অনুমতি আসে বিপিসির পক্ষ থেকে।
বিপিসির চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে পূর্বানুমতি নেওয়ার জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ ১৪টি পৃথক কর্তৃপক্ষ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে একজনের মৃত্যু
৩৮২ দিন আগে
ইভি চার্জিং স্টেশন স্থাপনে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে সিজি রানারের সমঝোতা স্মারক সই
দেশজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইলেকট্রিক ভেহিকেল–ইভি) বিস্তৃত চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেড ও জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানী তেজগাঁওয়ে রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এ এমওইউ সই করা হয়।
দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যবহার উৎসাহিত করতে সম্প্রতি চার্জিং স্টেশন স্থাপন নীতিমালাসহ নানা নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক বাহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৩ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই লক্ষ্যপূরণে মানুষকে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সারা দেশে ইভি চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
এরই ধারাবাহিকতায়, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এ বছরের মার্চের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে ১০টি চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তারা জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে আরও বেশ কিছু চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে টেকসই চার্জিং নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বর্তমানে, দেশে চারটি ইভি চার্জিং স্টেশন রয়েছে। এই অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের ক্রেতারা তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক চার্জিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, তারা চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবেন।
রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। যদিও, এক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের নিরলস পরিশ্রমকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডে আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়বদ্ধতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমাজের উন্নতিতে আমাদের জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে এনে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেশব্যাপী চার্জিং স্টেশন নির্মাণে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সহযোগী হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তানজিদুল আলম বলেন, সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে এবং দেশজুড়ে চার্জিং স্টেশন স্থাপনের মতো বৃহৎ প্রকল্পে একযোগে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।
তিনি আরও বলেন, আরও বেশি মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার শুরু করলেই চার্জিং স্টেশনের চাহিদা বেড়ে যাবে। আমাদের সুদক্ষ ও নিবেদিত ইপিসি টিম এই প্রকল্প যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান ও প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তানজিদুল আলম ও প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার সৈয়দ শফিকুল হাসান।
আরও পড়ুন: কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
৪৩৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠোনে সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম আল আজাদ, পরিদর্শক আবু জিহাদ খান, উপপরিদর্শক মেফাউল হাসানসহ আরও অনেক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
জেলা পুলিশ জানায়, শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, রেলস্টেশন, টিঅ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৫০টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, শহরের চুরি, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবার চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
৪৪৬ দিন আগে
ময়মনসিংহে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
ময়মনসিংহ সদর আসনে নির্বাচনের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে রফিকুল ইসলাম (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মর্জিনা খাতুন নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় জেরার সদর উপজেলার চরভবানীপুর কোনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
নিহত রফিকুল ওই এলাকার নূর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার কয়েকজন মিলে কোনাপাড়া গ্রামের হোতারবাড়ি মোড় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের ট্রাক প্রতীকের পক্ষের একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। ক্যাম্পটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে রফিকের ছোট ভাই ফারুক হোসেন ও অপর ভাই ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন রাজু ও আরিফুল ইসলাম সাজু।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রফিকুল ওই ক্যাম্পে গেলে তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলে ফারুক। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হলে রফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯ টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার রাতেই চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বলেন, আমার চাচাদের সঙ্গে বাবার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আগেও বাবাকে চাচা ফারুক মারধর করেছে। মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনী ক্যাম্পে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতা ছিল। একই প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পের দখল নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, মামলার চার নম্বর আসামি রাজু ও সাজুর মা মর্জিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
৪৬০ দিন আগে
জাপানি ব্যবসায়ীদের শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, বেশ কয়েকটি কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হলে বাংলাদেশ শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জাপানকে আরও জায়গা বরাদ্দ করবে।
তাদের দেশের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, জাপানের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল প্রধানিমন্ত্রীকে এ তথ্য জানালে উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইপিজেডে জাপানকে জায়গা দিয়েছে, জাপান শিল্পকারখানা স্থাপন করতে চাইলে আমরা আরও (জায়গা) দিতে পারি।’
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতের হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
এদিন জাপানের জেনারেল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কমিটির পরিচালক ও হাউস অব কাউন্সিলর নাকানিশি ইউসুকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাপানি প্রতিনিধি দল বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান উন্নয়ন অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং আরও জোরদার করতে হবে।
প্রতিনিধি দল বলেন, জাপান বাংলাদেশে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কাজ করছে। ‘জাপান অবকাঠামোগত উন্নয়নে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে অবদান রাখছে।’
ঢাকা ও নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রশংসা করে তারা বলেন, এতে যোগাযোগের উন্নতি হবে।
জাপানি প্রতিনিধিদল ভারত মহাসাগরকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শান্তিপূর্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তারা নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি, কারণ সরকার মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একটি সামুদ্রিক অ্যাকোয়ারিয়াম নির্মাণে জাপানের সহায়তাও চেয়েছেন।
এর আগে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে ইয়োহেই সাসাকাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিপ্পন ফাউন্ডেশন ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং বলছি যে তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেঁচে যাওয়া ৮৪ বছর বয়সী ইয়োহেই সাসাকাওয়া বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি কুষ্ঠরোগ নির্মূল এবং কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া চলতি বছরের অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইডব্লিউএএমএ কিমিনন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
৫৬৬ দিন আগে
দেশে প্রথম ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার
দেশে প্রথম ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ও এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই এমওইউ সই হয়। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক এমালফার্ব সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এমওইউর আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডকে ভ্যাকসিন উৎপাদন সংরক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা একটি অত্যাধুনিক প্লান্ট হবে। শুধু করোনা ভ্যাকসিন না অন্যান্য ভ্যাকসিন যেগুলো বাংলাদেশের প্রয়োজন সেগুলোও এখানে তৈরি করতে পারবে।
তিনি বলেন, করোনার সময় আমাদের ৩৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ভিত্তি করে যদি তার মূল্য ধরা হয় তাহলে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন পেয়েছি।
আমরা বেশিরভাগ ফ্রি পেয়েছি। বাকিটা সরকারের অর্থায়নে কেনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এই প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জে স্থাপন করছি। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পাশে জায়গা দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৭-৮ একর জমিতে এই প্লান্ট হবে। এখানে যে ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে, তা অন্তর্জাতিক মানের হবে। আশা করি আমরা বিদেশে এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দুই বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে পারব। পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করতে ৪ বছরের মতো সময় লাগবে। এই প্রজেক্ট পুরোপুরি সফল হলে আমাদের ভ্যাকসিন আমদানির প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, আমরা আশাকরি এই ভ্যাকসিন রপ্তানিও করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করবো। এখানে অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনেরও ব্যবস্থা থাকবে। করোনা ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি যেগুলো আমাদের প্রয়োজন হয় ১২ ধরনের ভ্যাকসিন আস্তে আস্তে তৈরি হবে।
তিনি বলেন, এডিবি'র কাছ থেকে আমরা প্রায় সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তারপরে প্রকৃতপক্ষে যা লাগবে তাই আমাদের খরচ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬৪২ দিন আগে