আনুষ্ঠানিক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১-২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন বলে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর অনুযায়ী, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতে সরকার গঠনের পর এটাই হবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফর।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
গত ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গেও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২১-২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে। এছাড়া নতুন কিছু উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারা বলেন, দুই দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার কিছু নির্দেশনা থাকতে পারে।
১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি হবে নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
মঙ্গলবার(১৮ জুন) এক জেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে কোনো অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে বিষয়টি আলোচনায় থাকবে। বিস্তৃত তিস্তা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক প্রকল্প নিয়ে সম্ভাব্য আলোচনা হবে।
এর আগে গত ৯ মে ভারত বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করে, যা 'তিস্তা রিভার কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টুরেশন প্রজেক্ট' নামে পরিচিত।
গত ৯ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আপনারা জানেন, তিস্তা নিয়ে আমরা একটা বড় প্রজেক্ট নিয়েছি। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত। আমাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ দেখতে চাই।’
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়ন করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে এবং সহযোগিতার কিছু ক্ষেত্র নিয়ে কিছু ঘোষণা দেওয়ার বিষয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সম্পর্কের ধারাবাহিকতা থাকবে এবং আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নতুন উদ্যোগ দেখার আশা করি।’
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নতুন ম্যান্ডেটের ধারাবাহিকতায় দুই প্রতিবেশী দেশে নতুন সরকার গঠিত হওয়ায় তারা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী উল্লেখ করে শুক্রবার তিনি বলেন, '২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা যা রেখে এসেছি তা নিয়ে একটি স্টক-টেকিং হবে এবং আমরা আগামী পাঁচ বছরে সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরকালে আগের আলোচনার কথা স্মরণ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সম্পর্কিত অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন, যেটির খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগের উদ্যোগ, তিস্তা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিনিয়োগ, মোংলা বন্দরের ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনারও আশা করা হচ্ছে।
গত এক দশক ধরে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
আগামী ২২ জুনের মোদি-হাসিনা শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ বলছে ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। আর বাংলাদেশ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করে না। ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পাশে ছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমুখী। ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। আমরা একে অপরকে সমর্থন করি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শুক্রবার দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় (দিল্লি সময়) প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং রাত ৯টার দিকে ঢাকায় অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৬ মাস আগে
ঢাকায় ফের আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস খুলল আর্জেন্টিনা
বিপুল সমারোহে ঢাকায় ফের আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস খুলছে আর্জেন্টিনা। সোমবার ঢাকার বনানী এলাকায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এই নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত। এটা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়। এটা একটা আবেগঘন মুহূর্ত।’
আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মুহূর্তটিকে ‘দুই দেশের মধ্যে আরও ভাল এবং শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরির জন্য একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
৪৫ বছর পর আবার দূতাবাস খুলল আর্জেন্টিনা।
১৯৭৮ সালে তৎকালীন লাতিন আমেরিকার দেশ শাসনকারী সামরিক জান্তা ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক কার্যক্রম যেমন- ভ্রমণের জন্য ভিসা ইত্যাদি তখন থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
আর্জেন্টিনা বলেছে যে ‘রাজনৈতিক, কৌশলগত ও বাণিজ্যিক’ কারণে বৈদেশিক নীতি নির্দেশিকা অনুসারে পুনরায় দূতাবাস চালু করা সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
নতুন দূতাবাস উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও গভীর করতে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন আর্জেন্টিনার মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোমেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজেরও আয়োজন করবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুনরায় খোলা ছাড়াও ক্যাফিয়েরো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, দুই দেশের কৃষি ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশ ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছে।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল ও গম আমদানি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট মেরকোসুরে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেরকোসুর বা সাউদার্ন কমন মার্কেট হল একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্লক; যা মূলত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েকে নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত দুই দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করার পাশাপাশি ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে আর্জেন্টিনা সফরকারী দল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
১ বছর আগে
ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
দেশব্যাপী ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) ডিভিশন ও ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এই অনলাইন হাট পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইন আহমেদ পলক এমপির সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল হাট থেকে কোরবানির পশু কেনার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
রেজাউল করিম এমপি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ মাথা উচু করে দাঁড়াবে। এই ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে একদিকে বিক্রেতারা ন্যায্যমূল্য পাবেন অন্যদিকে ক্রেতারা পাবেন সঠিক পশু ক্রয়ের নিশ্চয়তা। হাটে না গিয়ে নিজেকে নিরাপদ রেখে ঘরে বসে কোরবানি পশু পাওয়ার এই সুবিধা আমরা পাচ্ছি কারণ বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে। আজ আমরা যদি ডিজিটালি সক্ষম না হতাম তাহলে এই হাটের মাধ্যমে মানুষকে আজ এতটা সুরক্ষা দেয়ার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়তো কঠিন হয়ে যেত।‘
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার এই কর্মযজ্ঞে বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা নিরলসভাবে কাজ করছে। কৃষক এবং খামারিরা খাদ্য ও পশু উৎপাদন করে দেশকে খাদ্য ও পশু উৎপাদনে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। তিনি সংশ্লিষ্ঠ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দেশের ১৮৪৩ টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৪১টি হাট একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে। এতে ই-ক্যাব ও একশপ সার্বিক সহযোগিতা করছে। তিনি ডিজিটাল হাটকে নিরাপদ সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব বলে অভিহিত করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী স্ক্রো সেবার মাধ্যমে একটি গরু ক্রয় করেন এবং এটি মানবসেবায় দান করেন।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় ও সহযোগিতায় দেশ গবাদি পশুর ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গত বছর আমাদের এক কোটি ১৮ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল,কিন্তু করোনার কারণে বিক্রি হয়েছে ৯৪ লাখ পশু। চলতি বছর এক কোটি ১৯ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এ বছর ১৮৪৩টি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা রেকর্ড সংখ্যক পশু অনলাইনে বিক্রি করতে পারব।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
অনুষ্ঠানে এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান পিএএ বলেন, সরকারি সেবাগুলো তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে কল্যাণময় করে তুলেছে। ডিজিটাল হাটের ধারণা এখন উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সকল প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে এই ডিজিটাল হাট প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীন জাতিসত্ত্বা উপহার দিয়েছেন এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি সমৃদ্ধ দেশ উপহার দিতে কাজ করছেন। কোনোদিন হয়তো কেউ চিন্তা করেনি তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আজ এই অবস্থানে থাকবে। কোভিড ১৯ নিয়ন্ত্রণে আজকের ডিজিটাল হাট যুগপৎ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, সম্পদের সুষম বন্টনে আমরা যদি তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারি তাহলে এর সুফল প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। ই-ক্যাব পেন্ডামিকের শুরু থেকে ডিজিটাল হাট, লকডাউন ম্যানেজমেন্ট, টিসিবি’র পণ্য বিক্রি সব বিষয়ে সরকার এবং জনগণের পাশে রয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণলায় অনলাইনে পশু বিক্রি সংক্রান্ত একটি গাইড লাইন প্রকাশ করে। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে গত ৪ জুলাই চালু হওয়া ঢাকা মহানগরী কেন্দ্রীক ডিজিটাল হাটকে মুলত দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হলো।
৩ বছর আগে