পিরানহা
চাঁদপুরের বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রতিদিন অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন পুকুর ও ধানের সাথে মাছ চাষ প্রকল্পগুলোতে দিন-দিন এ নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: কারওয়ান বাজারে পিরানহা বিক্রির অভিযোগে ৫ ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
প্রতিদিন ফরিদগঞ্জ সদর বাজারের মৎস্য আড়ত, ভাঁটিয়ালপুর চৌরাস্তা মৎস্য আড়ত, গল্লাক বাজার মৎস্য অড়তসহ আশপাশের ছোটখাটো আড়তে অবাধে এ মাছ পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা আড়ত থেকে ক্রয় করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি ফেরি করে এই নিষিদ্ধ মাছ বিক্রি করছে। ভ্রাম্যমান বিক্রেতা রহিম (৩০) জানান, প্রতি কেজি পিরানহা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ব্রিগেড মাছের মতোই স্বাদ বলে বিক্রি করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত মিস্ত্রিরা, বেচাকেনার ধুম
দেশে পিরানহা মাছ চাষ ও বিপনণ আইনত অপরাধ। উপজেলা সদরের সোনালী মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, পিকআপ ভ্যানে ট্রেতে করে আনা হয় পিরানহা মাছ।একই চিত্র উপজেলার অপরাপর মৎস্য আড়তগুলোতেও দেখা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা ইউএনবি কে জানান, পিরানহা মাছ চাষ ও বিক্রি বেআইনী। লকডাউনের পর ইউএনও’র সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন অমান্য করায় চাঁদপুরে গরুর হাট ভেঙে দিল প্রশাসন
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি বলেন, ‘মানব দেহের জন্য পিরানহা মাছটি ক্ষতিকর বিধায় আইন করেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবো।’চিকিৎসকদের মতে, পিরানহা মাছ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরও বটে। তাই এ মাছটি চাষ ও বিপণনকারীদের বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার বিধানও রয়েছে।উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন এলাকার রাক্ষুসে মাছ পিরানহা। হাঙ্গরের ন্যায় দাঁত বিশিষ্ট অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এ মাছ অন্যান্য মাছের জন্যও হুমকি এবং জলজ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে। এরা দলবদ্ধ আক্রমণ করে নিমিষেই মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতেও সক্ষম। জেলার অন্য কোথায়ও পিরানহা মাছের চাষ হয় কিনা জানা যায়নি।
৩ বছর আগে