কমিশন
জাতিসংঘের নারীর মর্যাদাবিষয়ক কমিশনে সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৪-২০২৮ মেয়াদে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, মালি, রোমানিয়া, বলিভিয়া, ব্রাজিল ও কলম্বিয়াও এই সংস্থায় সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচনে জয়লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের রোল মডেল। এই নির্বাচন লিঙ্গ সমতা, নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ।’
বিগত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন এর সদস্য হিসেবে নির্বাচন বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরা এবং অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো ভাগ করার নিমিত্ব একটি অনবদ্য প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে।
৪৫টি সদস্য নিয়ে গঠিত কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন হল জাতিসংঘের প্রধান বৈশ্বিক আন্তঃসরকারি সংস্থা যা লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।
প্রতি বছর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই অঙ্গসংস্থাটির একটি দুই সপ্তাহব্যাপী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এর সদস্য রাষ্ট্র, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনরা বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ সমতা অর্জনের অগ্রগতি মূল্যায়ন, এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিতকরণ, বৈশ্বিক মান নির্ধারণ ও বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একত্রে মিলিত হয়।
উল্লেখ্য, এর পূর্বে বাংলাদেশ ২০১৯-২০২৩ মেয়াদে এই কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেছে।
জাতিসংঘের নারীর মর্যাদাবিষয়ক কমিশনে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার আবারও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যেন দুদক এখন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।
দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের স্থাবর (ব্যাংক হিসাব) ও স্থাবর (জমি-সম্পর্কিত) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আদালতের আদেশের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দুদকের দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অমূলক। যে (আদালতের) আদেশটি দেয়া হয়েছে তা প্রতিশোধমূলক এবং সরকারের নির্দেশে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করে বর্তমান ‘প্রতিশোধমূলক’ সরকার গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল বিনষ্ট ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সরকারের নির্দেশে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আদালত এ রায় দিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং আদালতের নির্দেশিত রায় বাতিল এবং তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
মোশাররফ অভিযোগ করেন, তারেকের যে সম্পত্তির মালিকানা নেই এবং এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, ‘তাকে কাল্পনিক সম্পদের মালিক দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমনকি, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে কর দেয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আদালতের এমন আদেশে সরকার তারেকের নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারবে না এবং তার স্ত্রীকে হেয় করতে পারবে না। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার এবং আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে অন্য দিকে পরিচালিত বা বানচাল করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
মোশাররফ আক্ষেপ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ‘ব্যাপক’ দুর্নীতিতে লিপ্ত হলেও দুদক সরকারের দুর্নীতির দিকে চোখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
বিএনপি নেতা বলেন, তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ এমন সময়ে দেয়া হয়েছে যখন দেশের জনগণ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জেগে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির প্রতি জনতার ঢেউ দেখে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। চলমান আন্দোলনকে ঠেকাতে বা দুর্বল করতে সরকার এসব করছে।’
মোশাররফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোনো দমনমূলক কর্মকাণ্ড জনগণকে দমন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বর্তমান আন্দোলনকে বানচাল করতে পারবে না।
এদিকে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে আদালতের আদেশের প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগকে ৭ দিনের মধ্যে তথ্য দেয়ার নির্দেশ কমিশনের
সাতদিনের মধ্যে তথ্য প্রদানের জন্য হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান তথ্য কমিশনার। সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানী শেষে রবিবার এ নির্দেশ দেয়া হয়।
চারটি তথ্য জানতে চেয়ে শোয়েব চৌধুরী গত ১৬ আগস্ট হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী ও তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের বরাবরে তথ্য অধিকার বিধিমালা অনুযায়ী আবেদন করেন।
জানা গেছে, ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ মামুন সরদার চারটির মধ্যে তিনটি তথ্য প্রদান করেন। একটি তথ্য না দেয়ার পেছনে তিনি ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে তথ্য অধিকার আইনের ধারা উল্লেখ করে তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
আংশিক তথ্য দেয়ায় শোয়েব চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম ইকবালের কাছে আপিল করেন।
আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার চাওয়া তথ্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। এর সঙ্গে সরকারি অর্থ ফাঁকি দেয়ার প্রচেষ্টা যুক্ত রয়েছে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য ‘ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করে’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটা আদালতে বিচারাধীন বিষয় হলেও এ তথ্য প্রকাশে আদালতের নিষেধাঞ্জা নেই। এবং এটি প্রকাশে কোনভাবেই আদালত অবমাননার কারণ হবে না। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন তদন্ত চলমান নেই, এবং থাকলেও এই তথ্য তদন্ত কাজে বিঘ্নতা ঘটাবে না, বরং তদন্তকে বেগমান করবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীও এ সংক্রান্ত কোন তথ্য দেননি।
এ বিষয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার আগারগাওস্থ তথ্য কমিশনে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন। গত ২৩ নভেম্বর উভয় পক্ষকে সমন দেয় তথ্য কমিশন। সমনে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী রবিবার জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়্যাল শুনানী অনুষ্টিত হয়।
শুনানিতে বাদি শোয়েব চৌধুরী ও বিবাদি সহকারি প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান চৌধুরী তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।
শুনানি শেষে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ সাতদিনের মধ্যে সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর চাহিত তথ্য প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুৎ ৯.০৩ টাকা করার প্রস্তাব বিপিডিবি’র
আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচন স্থগিত করা কমিশনের বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নয়: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচন স্থগিত করা নির্বাচন কমিশনের ‘বেপরোয়া’ সিদ্ধান্ত নয়।
তিনি বলেন, এটি বরং একটি ‘সুচিন্তিত’ সিদ্ধান্ত ছিল, যা সমস্ত কমিশনারের সঙ্গে পরামর্শ করেই নেয়া হয়েছিল।
সিইসি বলেন, সব অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করায় কমিশন তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর উপ-নির্বাচনের বিষয়ে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইসি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিটি সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
সিইসি বলেন, কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও ঝিনাইদহ পৌরসভার আগের নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করায় গাইবান্ধায় ঘটে যাওয়া ঘটনার আলোকে আসন্ন নির্বাচনের মূল্যায়ন করা যৌক্তিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধায় নির্বাচন পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায়, ভোটের সময় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের সময় বারবার শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু পুরো নির্বাচনী এলাকায কোথাওই শৃঙ্খলা ছিল না।’
ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয় দেখানোর ব্যাপক অভিযোগের মধ্যে বুধবার গাইনবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন। সিইসি বলেন, নির্বাচনের দিন অনিয়মের কারণে তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
সিইসি এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা ৯১ অনুযায়ী, কমিশন যদি দেখতে পায় কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, তবে ইসি আংশিক বা পুরো আসনে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
এ সিদ্ধান্তের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন কমিশনের সমালোচনা করে ভোটের ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি
নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে: সিইসি
ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পিছনে যারা ছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে কমিশণ গঠন করবো। আমরা জানতে চাই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারা ছিল।’
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমনের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে এ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি কমিশন গঠনে সরকারের পরিকল্পনার কথা বলার পরই এমন ঘোষণা দিলেন বিএনপি।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানুষের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে তাদের ক্যাডার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের কার্যালয় ও কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তাদের দলের ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়েছে।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
ফখরুল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বৃহস্পতিবার আমাদের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা হত্যাকারীর দ্রুত বিচার চাই।’
তিনি সরকারকে সতর্ক করেন যে হত্যা, গুম, দমন পীড়ন ও হামলা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থামানো যাবে না
ফখরু দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দুপুর ১২টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার মাগরিফরাত কামনায় দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।
পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
আত্মনির্ভশীল বাংলাদেশ গড়তে ১৯৭৮ সালের ১ সে্প্টেম্বর ১৯ দফার ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তার স্ত্রী দলের নেতৃত্বে আসেন।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
যৌথ নদী কমিশন: ঢাকা, দিল্লি পানি-বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ ও ভারত তিস্তা ও গঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর ‘পানি বণ্টন চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যা’- নিয়ে আলোচনা করেছে।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে দুই দেশ পানি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে।
জেআরসি সভায় বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের জলশক্তি (পানি সম্পদ) মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
এর আগে চলতি বছর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকে, বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটিতে শনিবার নদী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোমেন ও জয়শঙ্কর
বরিশালে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ হয়তো এই কমিশন চালু করা যাবে।
শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘এস্টাবলিশ পাইলট প্রসেস টু ক্লাসিফাই কেসেস ইন কনসালটেশন উইথ দ্যা জাজেস অব দ্যা লেবার কোর্টস উইথ আ ভিউ টু এড্রেসিং কেস ব্যাকলগস’ শিরোনামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘কমিশন গঠন ও তার কার্যপ্রণালীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড যায় যায় করে যায় না। জনগণ বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করছেন। এখন অর্থনৈতিক ব্যাপারেও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। নিশ্চিয়ই বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ‘প্রাওটাইজ’ করতে হচ্ছে। সেজন্য হয়তো কমিশনের রূপরেখার ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যে আলাপ আলোচনা করা দরকার সেটা হয়ে ওঠেনি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, কিছু দিনের মধ্যে এই আলোচনা করতে পারবেন এবং এই বছর শেষ হওয়া নাগাদ কমিশন চালু করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল, যে নৃসংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
কমিশন কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার যে রূপরেখা সেটা যদি উনি (প্রধানমন্ত্রী) একটু পরিবর্তন করতে চান, তার আগে আমি যদি ওটা বলে দিই তাহলে আমার মনে হয় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ সেটার ব্যাঘাত হয়।’
আনিসুল হক বলেন, তিনি যে রূপরেখা তৈরি করেছেন সেটা্তেই এগিয়ে যাবেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্যান্য সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই সমস্যাগুলো একটা একটা করে শেষ করতে হচ্ছে। সেজন্য তাদের তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
সরকার ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। কারণ এই মামলা ১৪ বছর পর নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন এটি উচ্চ আদালতে তড়িৎ শুনানি করে এর পরিসমাপ্তি ঘটানো হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে রুল
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ফারুক, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক ক্ষমতা দেয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো. এনামুর রহমান এনাম বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে কারও যদি কোন দাবি থাকে সংবিধানের অধ্যাদেশ বাতিল করে তাদের কোন দাবি মানার সুযোগ নেই। অতএব আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক ক্ষমতা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প ঝুঁকি কমাতে বিল্ডিং কোড হালনাগাদ হচ্ছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন শেষে বিদ্যাকূট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যার আলোকে অনেকেই ঘর পেয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ক্রয় করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর রহমান ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে আরও বলেন, কোথাও পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়নি বরং সর্বত্র সুষ্ঠভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঠিক রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার সক্ষমতা আওয়ামীলীগ সরকারের রয়েছে।
এসময় তার সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, বিদ্যাকূট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খোকা, সমাজকর্মী এম.এ. আওয়াল প্রমুখ।
সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,‘সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।’
শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের টিকা দুর্নীতির অভিযোগ কাল্পনিক: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, যথাসময়ে যেভাবে হয়, আমাদের দেশের আইনগত প্রক্রিয়ায় যে বিধান রয়েছে, সেভাবে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী গঠন হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী বছর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রাক্কালে বিএনপি আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন গঠনকে কেন্দ্র করে।’
আরও পড়ুন: পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের কঠোর লকডাউন: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন কমিশন গঠনে, সার্চ কমিটিতে গতবারও বিএনপির প্রতিনিধি থাকার কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘তাদের একজন এখনও আছেন। বিভিন্ন সময় তিনি নোট অব ডিসেন্ট দেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। এটা গণতন্ত্রের বিউটি। তবে বাইরে এসে তিনি মাঝে মাঝে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন, সেটা গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপি ‘সিরিজ’ বৈঠকে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা না করে সরকারবিরোধী ‘সিরিজ ষড়যন্ত্রের রূপকল্প’ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আরও পড়ুন: টিকার চেয়ে মাস্ক বেশি কার্যকর: কাদের
তিনি বলেন, ‘এই সিরিজ সভা সিরিজ বোমার পৃষ্ঠপোষক বিএনপির সিরিজ ষড়যন্ত্রের রূপকল্প তৈরির গোপন বৈঠক। এখানে গণতন্ত্রের কিছু নেই। কীভাবে সরকারকে ঠেকাবে, কীভাবে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করবে, কীভাবে বিভিন্ন অপশক্তিকে উস্কে দেবে। কারণ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ কমিশন: আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে যে কমিশন গঠন করা হবে তা অবশ্যই নিরপেক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। জিয়াউর রহমানসহ সকলের পরিচয়, সকলের ন্যাক্কারজনক কাজ সাক্ষ্যপ্রমাণসহ জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হবে।’
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ জনসম্মুখে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ইনডেমনিটি নামক কালো আইন দ্বারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কালো আইন বাতিলের মাধ্যমে তার পিতা-মাতাসহ আপনজনদের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, পলাতক পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণ ক্ষ্যান্ত হবে না।
আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিরহংকার, সাদামাটা মানুষ। তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মতো আমাদেরকে চলতে হবে। তার আদর্শ ধারণ করতে হবে। ব্যক্তি শেখ মুজিব কি জিনিস ছিলেন সেটাও ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শদীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব বিকাশ কুমার সাহা, সলিসিটর রুনা নাহিদ সহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস