রাজা
মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং দি পারতুয়ান আগাং এবং প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরীর জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ উন্নতমানের বাংলাদেশি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২জুন) মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যথাক্রমে ইস্তানা নেগারা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আম গ্রহণ করেন।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে এক হাজার কেজি আম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন কূটনীতিক উপপ্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
হাইকমিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার পাঠানোর এ উদ্যোগটি দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বাংলাদোশ আম তথা কৃষিজাত পণ্যকে মালয়েশিয়ার মাটিতে একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানীপণ্য রূপে তুলে ধরতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধীকে উপহার হিসেবে আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য ১২০০ কেজি আম উপহার পাঠালেন শেখ হাসিনা
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
১ বছর আগে
আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রাজা হলেন তৃতীয় চার্লস
প্রাচীন ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভবে ব্রিটেনের রাজা ঘোষিত হয়েছেন। শনিবার প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বৃহস্পতিবার মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার পর প্রথা অনুযায়ী চার্লস তৃতীয় রাজা হন। তবে যোগদান অনুষ্ঠানটি দেশে নতুন রাজাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক এবং আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং তার পাঁচজন পূর্বসূরিসহ অতীত ও বর্তমান অনেক সিনিয়র রাজনীতিবিদ, অ্যাকসেসন কাউন্সিলের বৈঠকের জন্য সেন্ট জেমস প্রাসাদে অলঙ্কৃত রাষ্ট্রীয় অ্যাপার্টমেন্টে জড়ো হয়েছিলেন।
তারা চার্লসকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা চার্লস তৃতীয় হিসেবে সম্বোধন না করেই মিলিত হয়েছিল। ব্যক্তিগত ঘোষণার মাধ্যমে রাজা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। দায়িত্বপালনকালে তিনি তার মায়ের ‘উৎসাহের উদাহরণ’ অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনারা ও সমগ্র জাতি কতটা গভীরভাবে শোকাহত এবং আমি মনে করি এই অপূরণীয় ক্ষতিতে আমার প্রতি সমগ্র বিশ্ব সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।’
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চার্লসের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্যামিলা, রানী কনসোর্ট এবং তার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম। উইলিয়াম এখন সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং চার্লস দীর্ঘদিন ধরে ওয়েলস প্রিন্স উপাধিতে পরিচিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পরে, একজন কর্মকর্তা সেন্ট জেমস প্যালেসের একটি বারান্দা থেকে উচ্চস্বরে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করবেন। এটি লন্ডনের পুরনো শহর এবং যুক্তরাজ্যের অন্যান্য স্থানেও পড়া হবে।
ব্রিটিশ সিংহাসনে অভূতপূর্ব ৭০ বছর শাসনের পর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে ৯৬ বছর বয়সী রানি মারা যাওয়ার দু'দিন পরও লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এখনও হাজার হাজার লোক আসছেন। যুক্তরাজ্যের অন্যান্য রাজকীয় বাসভবন এবং বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ দূতাবাসগুলোতে দৃশ্যটির পুনরাবৃত্তি হয়েছিল।
শুক্রবার রাজা তার রাজত্বের শুরুতে, একটি টেলিভিশন ভাষণে তার নিজস্ব আধুনিকীকরণ স্ট্যাম্প সহ রানির ‘আজীবন সেবা’ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চার্লস মায়ের মতো ‘সার্বভৌমত্বের প্রতি একনিষ্টতা ও ভক্তি’ অটুট রাখার কথা উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ ২১ শতকের স্থিরতার রাজতন্ত্র গড়ার ইঙ্গিত দেন।
‘আপনার ভূমিকা বা বিশ্বাস যাই হোক না কেন, রানির রাজত্বকালে দেশটি ‘অনেক সংস্কৃতি এবং অনেক বিশ্বাসের’ একটি সমাজ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল এবং ব্রিটেন ও অন্যান্য ১৪টি দেশ যেখানে তিনি রাজা ছিলেন সেখানে মানুষের সেবা করার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি প্রতিফলিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বজুড়ে রানির জন্য অশ্রু ও শ্রদ্ধা
তিনি রাজা হিসেবে তার প্রথম ঘন্টাগুলোতে উদাসীন হিসেবে যে পরিচিতি রয়েছে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন, বাকিংহাম প্রাসাদের গেটে ফুল দিয়ে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে হাত
মিলিয়ে সময় কাটান। ‘সাবাশ, চার্লি!, ‘ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করুন!’ বলে চিৎকার করে জনগণ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় এক নারী তার গালে চুমু দেন।
ব্রিটেন রানির জন্য শোক পালন করছে, রানিকে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হবে। এই আনুষ্ঠানিকতা সতর্কতার সঙ্গে কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে, যা বেশিরভাগ মানুষ আগে থেকেই জানে।
কয়েক দিনের মধ্যে রানির মরদেহ বালমোরাল থেকে প্রথমে এডিনবার্গে এবং তারপরে লন্ডনে আনা হবে, যেখানে সম্ভাব্য ১৯ সেপ্টেম্বরের দিকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে শেষকৃত্যের আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে শায়িত করা হবে।
ভাষণে চার্লস একটি ব্যক্তিগত উদ্ধৃতিতে মাকে হারানোর কষ্টের কথা লিখতে গিয়ে লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় মামা’।
‘আমাদের পরিবার এবং জাতির পরিবারের প্রতি আপনার ভালবাসা এবং ভক্তির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি এত বছর ধরে এত পরিশ্রমের মাধ্যমে সেবা করেছেন,’ তিনি শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’-এর একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন -‘আপনার পরবর্তী যাত্রায় উড়ন্ত দেবতারা গান গাইবে।’
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের নতুন আদেশ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
২ বছর আগে
‘রাজার’ মালিক এখন বাদশা
রাজাকে কিনেছেন বাদশা! কাকতালীয়ভাবেই বাদশা এখন রাজার মালিক। রাজা-বাদশার গল্প শুনে একটু অবাক হচ্ছেন তো? আসলে এই রাজা একটি ষাঁড়ের নাম। রাজার মতো চলাফেরা তার। তাইতো মালিক আদর করে তার নাম রেখেছেন রাজা । আর ক্রয়সূত্রে বাদশাই এখন রাজার মালিক। রাজার দাম পাঁচ লাখ হাঁকলেও বাদশা এটি চার লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জুঁই তিন বছর ধরে ষাঁড়টি পালন করে আসছিলেন। গত কোরবানির ঈদে রাজার দাম উঠেছিল তিন লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
প্রতিবছর ঈদুল আজহা আসলেই দৈহিক আকৃতি ও দামের কারণে কিছু কিছু গরু আলোচনায় আসে। এদের আকর্ষণীয় নামও দেয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দৈহিক আকৃতির কারণে এবারের আলোচিত ষাঁড় হলো রাজা। এর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট। ওজন ২৩ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কালো রঙের।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেয়ায় ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘হত্যা’
রাজার আগের মালিক জাকিয়া সুলতানা জুঁই জানান, ষাঁড়টি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে খড়, বুট ও ছোলার ভুসি, গম, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খৈল, নেপিয়ার ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবারই দিয়েছেন। মোটাতাজা করতে বিশেষ কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেননি। করোনার সময় না হলে ষাঁড়টির দাম আরও বেশি হতো বলে মনে করেন জাকিয়া।গরু ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, ঢাকার এক মহাজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি এটি কিনেছেন। গাড়ি পেলে ষাঁড়টি ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ড্রাগন ফল চাষে ‘আবু তালেবের’ সাফল্য
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি এ ষাঁড়টির ব্যাপারে জানেন। অফিস থেকে ষাঁড়টির সার্বিক খোঁজ-খবর রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি ষাঁড়টির মালিককেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। করোনা না থাকলে ষাঁড়টির মূল্য আরও বেশি হত।
৩ বছর আগে