বাড়ি ফেরা
সংবর্ধনা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না জিপিএ ৫ পাওয়া দিয়ার
সংবর্ধনা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না জিপিএ৫ পাওয়া দিয়া মনির। নতুন বছরের প্রথম দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সে।
রবিবার দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রয়েল স্টার স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ৫ পাওয়ায় স্কুলের দেয়া সংবর্ধনা শেষে ফেরার সময় কার্ভাডভ্যানের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও একজন আহত হয়।
দিয়া মনি (১৬) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামের পেষ্টিপাড়ার দুলাল হোসেনের মেয়ে।
রয়েল স্টার স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ৫ পায় সে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
জানা যায়, রবিবার সকালে রয়েল স্টার স্কুলে সংবর্ধনা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় নীলফামারী সদর উপজেলার ঢেলাপীর বাজারে কার্ভাডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী দিয়া মনি নিহত এবং চালক সোহাগ ইসলাম গুরুতর আহত হয়।
রয়েল স্টার স্কুলের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। দিয়া মনি একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে ২০২২ সালে এসএসসিতে জিপিএ৫ পাওয়ায় বছরের প্রথম দিনে স্কুলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট গ্রহণ করে।
এমনকি এইচএসসিতে বৃহস্পতিবারের ফলাফলে সে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে চান্স পায়।
নিহত হওয়ার পরও তার হাতে ক্রেস্টটি ছিল। এ মেধাবী ছাত্রীর অকাল মৃত্যুতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শোকাহত।
নীলফামারীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রৌফ জানান, ওভারটেক করার সময় মোটর সাইকেলটিকে পেছন থেকে পিকআপ অথবা কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
এতে দুর্ঘটনাস্হলে আরোহী ছাত্রী নিহত এবং মোটর সাইকেল চালক আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
ঈদে বাড়ি ফেরা: শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল
ঈদের আর মাত্র বাকি আছে দুই দিন। তাই প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে।
রবিবার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। তবে ঘাট ব্যবহারকারীরা ফেরি ও লঞ্চ স্বল্পতার অভিযোগ করছেন।
আরও পড়ুন: ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে রাজধানীতে পৌঁছাল ৮০০ গরু
এই নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি এবং ৮৭ লঞ্চের মধ্যে ৮৪টি চলাচল করছে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। আর ৩টি লঞ্চের কাগজ আপডেট না থাকায় সেগুলো চলতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যাত্রী আর যান বাহনের চাপ সামলাতে না পেরে রবিবার চাঁদপুর থেকে ফেরি 'কাকলী' ও ‘কলমীলতা’ যুক্ত করা হয়েছে বহরে। তারপরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপেক্ষমান গাড়ি ও ট্রাকের লাইন ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। আর ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। লঞ্চ ঘাটে পা রাখার জায়গা নেই। তড়িঘড়ি করে লঞ্চে উঠার চেষ্টা করছে সবাই। করোনা সংক্রমণ বর্তমান ঝুঁকির মধ্যেও এখানে কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু!
প্রশাসন বলছে তারা ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করছে। যাত্রীদের সেবায় দু’টি পৃথক কন্ট্রোল রুম এখানে বসানো হয়েছে। কিন্তু ঘাটে আসা যাত্রীরা কোনও কথা শুনছেন না। স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক শারীরিক দূরত্বও তারা মানছেন না। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন না।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, পদ্মার প্রবল স্রোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে ছোট আকারের লঞ্চগুলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি মানুষ
বিআইডব্লিউটিসির সহ মহাব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তাল পদ্ময় ফেরিগুলো চলতে সমস্যা হচ্ছে। একে তো সব ফেরি চলতে পারছে না অন্যদিকে ফেরিগুলোর যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি। ফলে ফেরির ট্রিপ কমে যাচ্ছে। তাই ঘাটে গাড়ির জটলা বেঁধেছে। শিমুলিয়া ঘাটেই পণ্যবাহী ট্রাকসহ অর্ধ সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে নদী পাড় হওয়ার অপেক্ষায়।’