বাড়ি ফেরা
হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে ছেলের মৃত্যু
মেহেরপুরে হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এঘটনায় আহত হয়েছেন তার ছোট বোন পলি খাতুন (২৫)।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল হালিম।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় সিএনজি যাত্রীর মৃত্যু
নিহত আব্দুল হালিম (৪৫) মেহেরপুর সদর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের শিশিরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং তিন মেয়ের বাবা।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরে হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন হালিম ও তার ছোট বোন পলি। এসময় পশু খাদ্যের বস্তা নিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেল তাদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বস্তায় আটকে পড়ে যান হালিম ও পলি।
গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হালিমকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানেই বুধবার সকাল ৮টার দিকে মৃত্যু হয় তার। তার বোন পলি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশুর মৃত্যু
১ মাস আগে
ঈদে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে রবিউল খান ও হুমায়ুন খান নামে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গোডাউনে মিলল ব্যবসায়ীর লাশ
নিহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের ওবায়দুর রহমান খানের দুই ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রবিউল ও হুমায়ুন ঢাকায় জুতার ব্যবসা করেন। ঈদ উপলক্ষে সকালে তারা মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন তারা। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার বলেন, ‘নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: পদ্মায় ট্রলার ডুবে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
৬ মাস আগে
ঈদে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় পোশাক শ্রমিক নিহত
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার অটো্ভ্যানে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় জিয়াউর রহমান নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ভ্যানচালক জামিল। মাইক্রোবাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার সোনাপাতিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে অটোভ্যান করে জিয়াউর রহমান তার গ্রামের বাড়ি হলুদঘরে যাচ্ছিলেন। সোনাপাতিল এলাকায় একটি মাইক্রোবাস অটোভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খরব দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, চালক নুর মোহম্মদসহ মাইক্রোবাসটি আটক করে পুলিশ। চালকের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সাতৈল গ্রামে। এছাড়া আহত ভ্যানচালকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
বগুড়ায় বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ৩ মোটরশ্রমিক নিহত
৮ মাস আগে
তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে হত্যা
বগুড়ার কাহালুতে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেদোয়ান ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাতানজো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ৩ মোটরশ্রমিক নিহত
নিহত রেদোয়ান ওই গ্রামের সাদ মিয়ার ছেলে এবং দূর্গাপুর এনায়েতউল্লাহ দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাহালু থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল আলম বলেন, নিজ গ্রামের পাতানজো জামে মসজিদে তারাবির ৮ রাকাত নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিল রেদোয়ান। এই সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার পর ধান খেতে ফেলে রেখে যায়।
তিনি আরও বলেন, রাত ১০টার দিকে তারাবির নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রেদোয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অজ্ঞাত নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি
৮ মাস আগে
সংবর্ধনা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না জিপিএ ৫ পাওয়া দিয়ার
সংবর্ধনা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না জিপিএ৫ পাওয়া দিয়া মনির। নতুন বছরের প্রথম দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সে।
রবিবার দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রয়েল স্টার স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ৫ পাওয়ায় স্কুলের দেয়া সংবর্ধনা শেষে ফেরার সময় কার্ভাডভ্যানের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও একজন আহত হয়।
দিয়া মনি (১৬) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামের পেষ্টিপাড়ার দুলাল হোসেনের মেয়ে।
রয়েল স্টার স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ৫ পায় সে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
জানা যায়, রবিবার সকালে রয়েল স্টার স্কুলে সংবর্ধনা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় নীলফামারী সদর উপজেলার ঢেলাপীর বাজারে কার্ভাডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী দিয়া মনি নিহত এবং চালক সোহাগ ইসলাম গুরুতর আহত হয়।
রয়েল স্টার স্কুলের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। দিয়া মনি একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে ২০২২ সালে এসএসসিতে জিপিএ৫ পাওয়ায় বছরের প্রথম দিনে স্কুলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট গ্রহণ করে।
এমনকি এইচএসসিতে বৃহস্পতিবারের ফলাফলে সে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে চান্স পায়।
নিহত হওয়ার পরও তার হাতে ক্রেস্টটি ছিল। এ মেধাবী ছাত্রীর অকাল মৃত্যুতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শোকাহত।
নীলফামারীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রৌফ জানান, ওভারটেক করার সময় মোটর সাইকেলটিকে পেছন থেকে পিকআপ অথবা কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
এতে দুর্ঘটনাস্হলে আরোহী ছাত্রী নিহত এবং মোটর সাইকেল চালক আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
১ বছর আগে
ঈদে বাড়ি ফেরা: শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল
ঈদের আর মাত্র বাকি আছে দুই দিন। তাই প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে।
রবিবার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। তবে ঘাট ব্যবহারকারীরা ফেরি ও লঞ্চ স্বল্পতার অভিযোগ করছেন।
আরও পড়ুন: ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে রাজধানীতে পৌঁছাল ৮০০ গরু
এই নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি এবং ৮৭ লঞ্চের মধ্যে ৮৪টি চলাচল করছে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। আর ৩টি লঞ্চের কাগজ আপডেট না থাকায় সেগুলো চলতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যাত্রী আর যান বাহনের চাপ সামলাতে না পেরে রবিবার চাঁদপুর থেকে ফেরি 'কাকলী' ও ‘কলমীলতা’ যুক্ত করা হয়েছে বহরে। তারপরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপেক্ষমান গাড়ি ও ট্রাকের লাইন ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। আর ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। লঞ্চ ঘাটে পা রাখার জায়গা নেই। তড়িঘড়ি করে লঞ্চে উঠার চেষ্টা করছে সবাই। করোনা সংক্রমণ বর্তমান ঝুঁকির মধ্যেও এখানে কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু!
প্রশাসন বলছে তারা ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করছে। যাত্রীদের সেবায় দু’টি পৃথক কন্ট্রোল রুম এখানে বসানো হয়েছে। কিন্তু ঘাটে আসা যাত্রীরা কোনও কথা শুনছেন না। স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক শারীরিক দূরত্বও তারা মানছেন না। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন না।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, পদ্মার প্রবল স্রোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে ছোট আকারের লঞ্চগুলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি মানুষ
বিআইডব্লিউটিসির সহ মহাব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তাল পদ্ময় ফেরিগুলো চলতে সমস্যা হচ্ছে। একে তো সব ফেরি চলতে পারছে না অন্যদিকে ফেরিগুলোর যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি। ফলে ফেরির ট্রিপ কমে যাচ্ছে। তাই ঘাটে গাড়ির জটলা বেঁধেছে। শিমুলিয়া ঘাটেই পণ্যবাহী ট্রাকসহ অর্ধ সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে নদী পাড় হওয়ার অপেক্ষায়।’
৩ বছর আগে