সফল খামারি
শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম একজন গৃহিণী। সাধারণ একজন গৃহবধূ শখের বসে গরু পালতে গিয়ে হয়ে উঠেন একজন সফল খামারি।
২০১৬ সালে তিনটি গরু নিয়ে শুরু করেন খামার। খামারে এখন ৩১টি গরু রয়েছে। উৎপাদিত হচ্ছে দৈনিক ১২০-১৩০ লিটার দুধ। প্রতি লিটার ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন মনোয়ারা। প্রতি কোরবানির ঈদে বিক্রি করেন গরু। এবারের ঈদ উপলক্ষেও বিক্রির জন্য ছয়টি গরু করেছেন মোটাতাজা।
শুরুটা হয়েছিল বাড়ির অল্প কিছু জায়গায়। এখন ৮০ শতক জায়গায় দাঁড়িয়েছে খামার। খামারের দেখাশোনার জন্য রয়েছে পাঁচজন কর্মচারী। গরুর খামারের সাথে সবজি চাষ, হাঁস, দেশি মুরগি ও ছাগল পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
পুকুরে করেছেন মাছের চাষ। এ খামারের নিরাপত্তায় ও সার্বক্ষণিক তদারকিতে লাগানো হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। গরুর পরিচর্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তি। খামারের গো-খাদ্যের যোগানের জন্য আলাদা করে ৬০ শতক জমিতে লাগানো হয়েছে জার্মান ঘাস। খামারের গোবর সবজি চাষে সার হিসেবে ব্যবহার করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করার।
পড়ুন: টুং টাং শব্দ, ব্যস্ততা নেই কুমিল্লার কামার পাড়াতে
মনোয়ারার জানান, এ সাফল্যের পেছনে পরিবারের সদস্যদের ছিল বড় ধরণের সহযোগিতা। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবী স্বামীর অনুপ্রেরণায় তাকে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে।
৫ বছর আগে পরিবারে খাঁটি দুধের চাহিদা মেটাতে তিনটি উন্নত জাতের গাভী কিনেছিলেন মনোয়ারা। সেই থেকেই মূলত খামার গড়ার স্বপ্ন সত্যিই হতে থাকে মনোয়ারার।
তিনি বলেন, বাড়ির আঙিনায় গোয়ালে গাভী পালন শুরু করেছিলাম। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত দুধ এলাকার মানুষজন কিনে নেন। এভাবেই বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। পুষ্টিকর, খাঁটি ও মান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদনে লক্ষ্যে গড়া বলেই এ খামারের নাম দিয়েছি ‘পিওর ডেইরী ফার্ম’।
৩ বছর আগে