হস্তক্ষেপ
মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মীদের দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার আদালতকে নির্দেশ দিতে পারে না। ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলতে চাই, সরকার এ মামলায় কোনো পক্ষ নয়। তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মচারীরা এ মামলা করেছে।’
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয়, দেশের নাগরিক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন বিএনপির মাথা খারাপ করে দিচ্ছে: হাছান মাহমুদ
এর আগে ড. ইউনূস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের একটি চিঠির বিষয়ে একজন টিভি সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা এ ধরনের কোনো চিঠি লিখে থাকলে তারা সরকারকে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করতে বলছেন। সরকার কি তা করতে পারে? এটা কি যৌক্তিক?’
তবে ইউএনবি স্বাধীনভাবে চিঠির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, আপনি বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে: হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশের ‘হস্তক্ষেপ না করার’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ।
ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, আর তা হলো- চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোহানেসবার্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা বলেছেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন নিশ্চিত করতে বাহ্যিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।
বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬০০টিরও বেশি চীনা এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশে কাজ করছে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিক এখানে বসবাস ও কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
রাষ্ট্রদূত ইয়াও অনুসারে, চীনা কোম্পানিগুলো স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সেবা প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা, জনশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অবদান ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের হৃদয়কে আরও কাছাকাছি আনা হয়েছে।’
উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে চীনা কোম্পানি ও নাগরিকদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াও বলেন, চীনা নাগরিক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও যৌথ উন্নয়নের জন্য এখানে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত এবং বৈধ স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’
গত বছরের শেষের দিকে ঢাকায় আসার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কেউ আলোচনা করলে হস্তক্ষেপ মনে করে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের 'অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা' বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১০ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দপ্তরটির মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমাদের এই আকাঙ্ক্ষা থাকছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে বারবার তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
রাশিয়া, চীন ও ইরানের গণমাধ্যমের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মিলার বলেন, ‘আমি জানি না কেন কেউ আমাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানে আপত্তি জানাবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূত ইমরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার 'ফলপ্রসূ' বৈঠক
তিনি বলেন, ‘আমরা এক রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য দেশ যখন আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলে তখন আমরা এটাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে এ ধরনের আলোচনাকে স্বাগত জানাই এবং আমরা জানি না কেন অন্য কোনো দেশ আপত্তি করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন কি না জানতে চাইলে মিলার বলেন, তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানব পাচার মোকাবিলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ওয়াগনারের 'স্বল্পস্থায়ী' বিদ্রোহের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জড়িত ছিল না: বাইডেন
যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জেয়ার আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তার সফরের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়ায় বুধবার তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় 'অভিন্ন সমাধান' এগিয়ে নিতেই তার এই সফর। আরও মুক্ত, উন্মুক্ত, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবদান রাখা এবং পুরো অঞ্চলে শরণার্থী এবং স্থানীয়দের জন্য মানবিক সহায়তা জোরদার করা।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইড এর এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর প্রতিনিধি দলে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, জেয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সার্বজনীন মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে, শরণার্থী ও মানবিক ত্রাণকে সমর্থন করতে, আইনের শাসন ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, সশস্ত্র সংঘাত রোধ করতে এবং মানব পাচার নির্মূলে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হয়না: মোমেন
অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো দেশের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা তাদের বক্তব্য দেবেন প্রসিডিউর আছে বা রুলস অব এনগেজমেন্ট অনুযায়ী। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী।
কোনো বিষয়ে কোনো ইস্যু থাকে অবশ্যই তা তারা আমাদের জানাবেন। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ পরিপক্ব। আমাদের সার্বভৌমত্ব আছে। আমরা স্বাধীন দেশ। তার এই বার্তা সব দেশের জন্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হ্যাঁ যেই হোক না কেন?
আরও পড়ুন: ‘ফুটবলপ্রেমে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মানুষের হৃদয় একই বন্ধনে আবদ্ধ’
মার্কিন ও রুশ উভয় পক্ষের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
মোমেন বলেন, এদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিচার বিভাগ এসব নিয়ে মাতব্বরি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা একমাত্র দেশ পৃথিবীর মধ্যে যে দেশের প্রায় ত্রিশ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য, বিচারের জন্যে, মানবাধিকার রক্ষার জন্য, মানুষের মর্যাদা রক্ষার জন্য। আমাদের মজ্জার মধ্যে, প্রতিটি রক্তের কণিকায় মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি চাই না রাশিয়ান, আমেরিকান কোনো দেশে আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাক।
ঢাকা মেট্রো রেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, হলি আর্টিজান হামলায় জাপানি নাগরিকসহ ২০ জনের বেশি বিদেশি নাগরিক নিহত হওয়া সত্ত্বেও সরকার জাপানের নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাশিয়া: দূতাবাসের বিবৃতি
রাশিয়া বলেছে যে তারা বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে ‘সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
মঙ্গলবার ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে,‘বাংলাদেশের মতো যে সকল রাষ্ট্র বাইরের শক্তির নেতৃত্ব অনুসরণ না করে তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে তাদের পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ নীতি গঠন করে, তারাও একই পন্থা অবলম্বন করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
দূতাবাস বলেছে যে রাশিয়া তাদের আরও উন্নয়নের উপায় স্বাধীনভাবে নির্ধারণ করতে এবং নব্য-ঔপনিবেশিক পদ্ধতির অধীন নয় এমন একটি ব্যবস্থা গঠনে দেশগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে।
১৯৬৫ সালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অগ্রহণযোগ্যতা এবং তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা সম্পর্কিত জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে: ‘যে কোনো কারণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বা বহিরাগত বিষয় অন্য কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।’
দুর্ভাগ্যবশত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (বিশেষ করে, স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে)হস্তক্ষেপ না করার নীতি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ অনেকে বিশ্বাস করে যে তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থে উক্ত নীতি লঙ্ঘন করতে পারে।
রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে, ‘যারা নিজেদেরকে উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে নিজেদের তুলে ধরে সেদেশগুলোর আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো সবচেয়ে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়,তারা শুধু সার্বভৌম জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপই করে না, বরং ব্ল্যাকমেইলিং, অবৈধ বিধিনিষেধ ইত্যাদির অবলম্বনও করে।’
অনেক দেশের সার্বভৌমত্ব অভূতপূর্ব ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে: ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমনটি রাশিয়ান ফেডারেশনের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফেডারেশন কাউন্সিলের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার অ্যাডহক কমিশন দ্বারা প্রমাণিত।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের পদক্ষেপগুলো বহুবিধ এবং এর মধ্যে রয়েছে নিয়ন্ত্রিত অ-বাণিজ্যিক একাধিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা বা সমর্থন করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা, জনমত গঠনের জন্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর ব্যবহার, প্রতিবাদকে উস্কে দেয়া এবং ফেডারেল বা আঞ্চলিক নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা।
এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে কৌশলগত স্বাধীনতা এবং একটি ন্যায্য বিশ্বব্যবস্থার সার্বভৌম দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে।
রাশিয়ার দূতাবাস বলছে, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ রক্ষার অজুহাতে যারা নিজেদেরকে ‘বিশ্বের শাসক’ বলে মনে করে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কাজ চলছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের নীতি স্পষ্টতই বিশ্বব্যবস্থার স্থায়িত্বকে হ্রাস করে, বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় ডেকে আনে। অসম্পূর্ণ তালিকায় যুগোস্লাভিয়া, ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং আফগানিস্তান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেনসহ কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে মিয়ানমার সরকারের ওপর বিভিন্ন দেশের চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর পৌরসভায় শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিকসন বলেন, ‘আজ রোহিঙ্গা ট্রাজেডির পঞ্চম বর্ষপূর্তি। রোহিঙ্গারা অনেক ভাগ্যবান, যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন এদেশের সরকারের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সহযোগিতা পেয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা
তিনি বলেন, ‘এটি খুব সহজ নয় যে এত তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান হবে। এজন্য আমাদের সঙ্গে অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রোহিঙ্গারা যদি চায়, তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে দিতে চাই। এছাড়া আমরা যখনই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো, তখনই তাদের দেশে ফিরে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি এদেশেই থাকতে চায় তাহলে স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ক্যাম্পে অবশ্যই তাদের স্বাভাবিক জীবনমান, রোহিঙ্গা শিশুদের লেখাপড়া ও সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এর আগে তিনি দুই দিনের সফরে চাঁদপুরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প এর বাস্তবায়কৃত কাজ মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেন।
এসময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ইউএনডিপির ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি বেন গুয়েন, এলজিডির যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটওয়ারীসহ চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
বিচারকের হস্তক্ষেপে ফের ১৭ বছরের পুরনো সংসারে ফিরলেন তারা
পঞ্চগড়ে দাম্পত্য কলহের জেরে ধরে রাগের বশবতি হয়ে স্বামী শাহানুর ইসলাম (৪২) প্রায় ছয় মাস আগে স্ত্রী আকতারা বানুকে (৩৬) তালাক দেন। এতে ভেঙে যায় ওই দম্পতির ১৭ বছরের সংসার।
এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করলে অবশেষে বিচারকের হস্তক্ষেপে পুনরায় বিয়ের মাধ্যমে আবারও সংসার শুরু করলেন তারা।
রবিবার পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমানের হস্তক্ষেপে বিচ্ছেদ থেকে মুক্তি পান ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বৃদ্ধ দম্পতিকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
বিচারকের খাস কামরায় মৌলভী ডেকে দুই আইনজীবী ও পরিবারের লোকজনের সামনে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ১ হাজার টাকা নগদ দেন মোহরানায় তাদের পুনরায় বিয়ে পড়ানো হয়।
জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বারপাটিয়া গ্রামে বসবাস করে আসছেন এই দম্পতি।
আদালত, আইনজীবী ও দম্পতি জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে ১৭ বছরের সংসার জীবনে গত ছয় মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে আকতারা বানু বাবার বাসায় ফিরে যান। ছেলে সন্তান রয়ে যায় বাবার সঙ্গে। এ ঘটনার পর আকতারা বানু স্বামীর বিরুদ্ধে গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। রবিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন শাহানুর। তার ইচ্ছে ছিল আদালতেই দেনমোহরের ১ লাখ ১ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু আদালতের এজলাসে জামিন নিতে উপস্থিত হলে নাটকীয়তার মোড় নেয়। তিন সন্তানকে দেখে ওই দম্পত্তি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। জামিন আবেদনের শুনানির সময় বিচারকও তিন সন্তানের মুখ চেয়ে এই দম্পতিকে কলহ ভুলে আবার সংসারে ফেরার অনুরোধ করেন। বিচারকের কথায় কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে ওই দম্পতি আবারও সংসারে ফিরতে সম্মতি জানান। পরে বিচারকের খাস কামরায় আদালত মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক তাদের বিয়ে দেন। পরে আপোষনামা দাখিলের পর আদালতের আইনী প্রক্রিয়া শেষে তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান শাহানুর ও আকতারা বানু দম্পতি।
আকতারা বানু বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এখন আমরা আবারও এক সাথে থাকবো। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নদীতে গোসল করতে নেমে নব দম্পতির মৃত্যু
শাহানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুখে ছিলাম কিন্তু পারিবারিক কাজ কর্ম নিয়ে একটু ঝগড়া বিবাদ হলেই আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যেতো। তাই রাগে আমি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করায় আমি আরও রেগে যাই। আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক আমাকে তিন সন্তানের দিকে চেয়ে আপোষের কথা বলেন। তখন ভেবে চিন্তে আমি আপোষ করার সিদ্ধান্ত নেই।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাজিজুর রহমান বলেন, খুব সামান্য বিষয়ে তালাক দিয়েছিলেন শাহানুর। এই বিচারে একটি সংসার রক্ষা পেয়েছে। আমরা বাদী বিবাদী আইনজীবীরাও এতে খুশি।
চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, কততম বিসিএস থেকে, কীভাবে কতজন চিকিৎসক নিয়োগ দেবেন এটা সরকারের পলিসি মেকিংয়ের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুন। তবে চিকিৎসক নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় হলে আপনারা তখন আদালতে আসতে পারেন।
সোমবার (২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্টের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ রিটকারীদের আইনজীবীদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ডা. রাফা মো. নুরুল ইসলামসহ ১৩৬০ শিক্ষার্থীর পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান এ রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে তালিকাভুক্ত হন ১৩ হাজার ২১৯ জন। এরমধ্য থেকে প্রথম দফায় ৪ হাজার ৫৪২ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেয় সরকার। তখন বলা হয়েছিল-এরা উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শূন্য পদ না থাকার কারণে তাদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা গেল না। পরবর্তীতে নিয়োগের রিকুইজিশন পাওয়া গেলে নন-ক্যাডার হিসেবে বিধিবিধান অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর গত বছর যখন করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেল তখন আরও ২ হাজার জনকে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বাকি থাকে সাড়ে ৬ হাজার।
পড়ুন: কিশোরীকে বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যানের বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
শিশু থাকবে মায়ের কাছে, দেখা করতে পারবেন বাবা: হাইকোর্ট
তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন করে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দেয় সরকার। তারপরই বলা হয় নতুন এ নিয়োগ ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) থেকে নেয়া হবে। এ কারণেই আমরা ৩৯তম বিশেষ বিসিএসএ উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করি। আবেদনে ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণ তালিকাভুক্ত সাড়ে ৬ হাজার চিকিৎসক থেকে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়েছি।
পঞ্চগড়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে ৪ পরিবারের ঈদের জামাত
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ পাহারায় ৪ পরিবারের ৭ জন মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে একদিন আগে ঈদের জামাত আদায়কে কেন্দ্র করে ওই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লি বিরোধিতা করেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশ পাহারায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা ২১ জুলাই
উত্তর কামারপাড়া মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, মসজিদের সহ সভাপতি আব্দুল কাদের জানান, গত রমজান ঈদেও ওই ৪-৫টি পরিবারের সদস্যরা নারীদের নিয়ে মসজিদে একদিন আগে ঈদের নামাজ আদায় করেছিল। এরপর আমরা মসজিদের ৬৮টি পরিবারের মুসল্লিরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নারীদের নিয়ে তাদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেব না। এবারও তারা নারীদের নিয়ে নামাজ আদায় করতে চেয়েছিল। মুসল্লিদের বাঁধায় শুধু ৬-৭ জন মুসল্লি মসজিদে নামাজ আদায় করেছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
উত্তর কামারপাড়া মসজিদের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ জানান, কোরআনে নারী পুরুষ সবার জন্য হুকুম সমান এ কারণে গত রমজান ঈদে আমরা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এবারও প্রায় ৪০ পরিবারের পুরুষ ও নারীরা নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হয়েছিল। কিন্তু মসজিদের একদল মুসল্লি আমাদের মসজিদে নামাজ আদায়ে বাঁধা দেয়। পরে পুলিশি পাহারায় আমরা কয়েকজন ঈদের নামাজ আদায় করেছি।
আরও পড়ুনঃ গ্রিসে বাংলাদেশ কমিউনিটির ঈদুল আজহা উদযাপন
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, ওই মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে একদিন আগে নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করি। আমাদের উপস্থিতিতে ৪টি পরিবারের ৬-৭ জন নামাজ আদায় করেন।