সার্জারি
কুড়িগ্রামে জোড়া লাগানো দুই কন্যা শিশুর জন্ম
কুড়িগ্রামে নাসরিন বেগম (২৫) নামের এক মা জোড়া লাগানো দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সোমবার (২১ মার্চ) রাতে কুড়িগ্রাম শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে ওই জোড়া লাগানো দুই শিশুর জন্ম হয়।
নাসরিন বেগম কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠাল বাড়ী ইউনিয়নের খামার শিবরাম গ্রামের রানা মিয়ার স্ত্রী। রানা মিয়া একটি পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।
ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, নাসরিন বেগমকে সোমবার ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। রাত ১০টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম হয়। মা ও শিশুরা এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
চিকিৎসকরা জানান, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা সম্ভব হতে পারে।
এবিষয় কন্যা শিশুদের বাবা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মোর্শেদ জানান, বাংলাদেশে ২-৩টি জোড়া লাগানো শিশুর অপারেশন হয়েছে। তার মধ্যে একটি শিশুর অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পিজিতে নিলেই সার্জারি ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসকরা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কলেজ শিক্ষকের আত্মহত্যা!
২ বছর আগে
নবজাতক হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেলেন মা–বাবা!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে এক শিশুকে ফেলে রেখে মা–বাবা পালিয়ে গেছেন। ১৪ দিন বয়সী ঝরনা নামের শিশুটিকে ররিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এ ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিন থেকে মৃত নবজাতক উদ্ধার
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভর্তি তথ্যে শিশুটির বাবার নাম জসিম উদ্দিন ও ঠিকানার স্থানে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উল্লেখ করা রয়েছে। জরুরি যোগাযোগের জন্য দেয়া ফোন নম্বরে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। শিশুটির হাত ও পায়ে জন্মগত ত্রুটি থাকায় মা–বাবা তাকে ফেলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা: মায়ের মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে রোগী কল্যাণ সমিতি দেখাশোনা করছে। হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা ও রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘১৪ দিনের শিশুটিকে ভর্তির দিনই তার মা–বাবা ফেলে গেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা যাবতীয় ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে দিয়েছি। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছে।’
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে বিরল টিউমার নিয়ে শিশুর জন্ম, নবজাতককে রেখে মা চলে গেলেন
চমেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডের প্রধান ডা. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, শিশুটির ক্লাবফুট (মুগুর পা) জটিলতা ছিল। চিকিৎসা করলে এ রোগ ভালো হয়। শিশুটির বাবা-মা পালিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। শিশুটির চিকিৎসা চলছে। যেহেতু বয়স মাত্র ১৪ দিন তাই শিশু খাদ্য, স্যালাইনসহ সব কিছু ব্যবস্থা করা হয়ছে। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সদস্যরা খোঁজ খবর রাখছেন। চিকিৎসা শেষ হলে শিশুটির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
৩ বছর আগে